গোগনগরে খাল ভরাট করে সড়ক নির্মাণের প্রতিবাদে মানববন্ধন
Published: 12th, April 2025 GMT
সদর উপজেলার আলীরটেক ইউনিয়নের পুরাতন গোগনগর মসজিদ রোডে এলাকায় ড্রেনের মুখ অপসারণ ও খাল ভরাট করে সড়ক নির্মাণে ক্ষতিগ্রস্ত পাঠান বাড়ির এলাকাবাসীর উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবর (১২ এপ্রিল) সকালে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা আলীরটেক ইউনিয়ন পুরাতন গোগনগর মসজিদ রোডে এলাকায় নির্মাণাধীন ড্রেনের মুখ নদী মুখি করার দাবিতে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমাদের এখানে যে খাল দেখছেন সেটা অনেকপুরাতন।
এখাল দিয়ে নৌকা চলাচল করত। এখালের পানি সবসময় সচ্ছল থাকাতে আমাদের মা, বোনসহ স্ত্রী, সন্তানেরা এখালের পানি ব্যবহার করতেন। এখালের উপর একটি ব্রীজ ছিল। সেটাকে ভেঙ্গে জাকির চেয়ারম্যান ভরাট করে সড়ক নির্মাণে মরাখালে পরিণত হয়েছে।
সবাই এ খালে এখন ময়লা ফেলাতে শুরু করছে এবং পানিও দুর্গন্ধ যুক্ত হয়ে গেছে। এছাড়া সামান্য বৃষ্টিতে সড়কের উপরে উঠে দুর্গন্ধযুক্ত পানি বাড়িতে প্রবেশ করে। ফলে চর্মরোগ সহ বিভিন্ন ধরণের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। অতিদ্রুত বন্ধ এখালকে মুক্ত করার দাবী জানাই।
বক্তারা আরও বলেন, বর্তমানে যে ড্রেন নির্মাণের কাজ করছে আমরা সাধুবাদ জানাই। কিন্তু এ ড্রেন দিয়ে যেনো জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না হয়। আমরা জানতে পেরেছি ড্রেনের ময়লা পানি এ মরাাখালে দিকে মুখ দিয়েছে এতে করে দুর্গন্ধে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হবে।
আমাদের দাবি যে ড্রেন নির্মান করা হচ্ছে সে ড্রেনের ময়লা পানি আগে নদীতে ফেলা হত এখনও যেন নদীতে ফালা হয়। তা না হলে পাঠান বাড়ির এলাকা দিয়ে আরেকটি ড্রেনের সংযোগ করে ময়লা পানি নদী মুখি করার দাবি করছি।
এসময় সালাম পাঠান, চুন্নু পাঠান, আবুব্কর সিদ্দিক, রমজান আলী, মনু মিয়া মোহাম্মদ আলী, মোহর চাঁন, বিউটি বেগম, নূরনাহার বেগম সহ এলাকার সর্বস্তরের মহিলা -পুরুষ মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন।
এবিষয়ে আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ডের ফিরোজ মেম্বার এর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি যনান, আপনার বাড়িতে যেমন একজন মুরুব্বী রয়েছে তেমনই আমার মুরুব্বী আছে তার অনুমিত ছাড়া কিছু বলতে পারবনা। সম্পূর্ণ নিষেধ রয়েছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: সড়ক সদর ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
‘ডাকসু হলো, রাকসু হলো, চাকসু কেন থেমে গেল’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) দ্রুত তফসিল ঘোষণার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (৩০ জুলাই) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা ‘হয় মোদের চাকসু দে, নইলে গদি ছাইড়া দে’, ‘ডাকসু হলো, রাকসু হলো, চাকসু কেন থেমে গেল’, ‘চাকসু মোদের অধিকার, রুখে দেওয়ার সাধ্য কার’—এমন স্লোগান দেন।
আরো পড়ুন:
আনাতোলিয়ান রোভার চ্যালেঞ্জে বিশ্বে তৃতীয় ইউআইইউ
জবির প্রভাবশালী আওয়ামীপন্থি ‘ক্যাডার’ শিক্ষকরা যেখানে আছেন
আইন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন রিয়াদ বলেন, “জুলাই মাসে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ হওয়ার ঘটনাগুলো আমাদের জানা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষার্থীও সে সময় শহীদ হয়েছিলেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়েই সবার আগে চাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কথা ছিল, কিন্তু এখনও কোনো অগ্রগতি নেই। অথচ ডাকসু, রাকসু, জাকসুর তফসিল ঘোষণা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আগামী ১ আগস্ট সিন্ডিকেট সভায় চাকসুর নীতিমালা অনুমোদনের বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। এরপর আগস্টের প্রথম সপ্তাহেই তফসিল ঘোষণার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। “যদি তা না হয়, তাহলে আমরা দুর্বার ছাত্রআন্দোলনের দিকে যাব,” বলেন তিনি।
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ও নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, “দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এরইমধ্যে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষিত হলেও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে। আমরা এতদিন রোডম্যাপ চেয়েছিলাম, এখন আর রোডম্যাপ নয়—তফসিল চাই।”
তিনি আরো বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সমস্যার একমাত্র সমাধান হচ্ছে সক্রিয় ছাত্র সংসদ। তাই আগামী আগস্টের প্রথম সপ্তাহে তফসিল এবং সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন চাই।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, “আগামী ১ আগস্ট সিন্ডিকেট সভায় চাকসুর নীতিমালা চূড়ান্ত হলে নির্বাচন কমিশনার তফসিল ঘোষণা করবেন।”
চাকসু গঠনের ধারণা মূলত এসেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসুর আদলে। বাংলাদেশে ১৯৭৩ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রসংসদ গঠন প্রক্রিয়া শুরু হয়।
১৯৭০ সালে চাকসুর প্রথম কেবিনেট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ নির্বাচন হয় ১৯৯০ সালের ৮ মে। এই নির্বাচনে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল বিজয়ী হয়েছিল। এরপর দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে আর কোনো চাকসু নির্বাচন হয়নি।
২০২৫ সালে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হওয়ায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাকসু ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জাকসুর মতো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও চাকসু নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছেন।
ঢাকা/মিজানুর রহমান/ইভা