সদর উপজেলার আলীরটেক ইউনিয়নের পুরাতন গোগনগর মসজিদ রোডে এলাকায় ড্রেনের মুখ অপসারণ ও খাল ভরাট করে সড়ক নির্মাণে ক্ষতিগ্রস্ত পাঠান বাড়ির এলাকাবাসীর উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবর (১২ এপ্রিল) সকালে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা আলীরটেক ইউনিয়ন পুরাতন গোগনগর মসজিদ রোডে  এলাকায় নির্মাণাধীন ড্রেনের মুখ নদী মুখি করার দাবিতে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। 
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমাদের এখানে যে খাল দেখছেন সেটা অনেকপুরাতন।

এখাল দিয়ে নৌকা চলাচল করত। এখালের পানি সবসময় সচ্ছল থাকাতে আমাদের মা, বোনসহ স্ত্রী, সন্তানেরা এখালের পানি ব্যবহার করতেন। এখালের উপর একটি ব্রীজ ছিল। সেটাকে ভেঙ্গে জাকির চেয়ারম্যান ভরাট করে সড়ক নির্মাণে মরাখালে পরিণত হয়েছে। 

সবাই এ খালে এখন ময়লা ফেলাতে শুরু করছে এবং পানিও দুর্গন্ধ যুক্ত হয়ে গেছে। এছাড়া সামান্য বৃষ্টিতে সড়কের উপরে উঠে দুর্গন্ধযুক্ত পানি বাড়িতে প্রবেশ করে। ফলে চর্মরোগ সহ বিভিন্ন ধরণের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। অতিদ্রুত বন্ধ  এখালকে মুক্ত করার দাবী জানাই।

বক্তারা আরও বলেন, বর্তমানে যে ড্রেন নির্মাণের কাজ করছে আমরা সাধুবাদ জানাই। কিন্তু এ ড্রেন দিয়ে যেনো জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না হয়। আমরা জানতে পেরেছি ড্রেনের ময়লা পানি এ মরাাখালে দিকে মুখ দিয়েছে এতে করে   দুর্গন্ধে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হবে।

আমাদের দাবি যে ড্রেন নির্মান করা হচ্ছে সে ড্রেনের ময়লা পানি আগে নদীতে ফেলা হত এখনও যেন নদীতে ফালা হয়। তা না হলে পাঠান বাড়ির এলাকা দিয়ে আরেকটি ড্রেনের সংযোগ করে ময়লা পানি নদী মুখি করার দাবি করছি। 

এসময় সালাম পাঠান, চুন্নু পাঠান, আবুব্কর সিদ্দিক, রমজান আলী, মনু মিয়া মোহাম্মদ আলী, মোহর চাঁন, বিউটি বেগম, নূরনাহার বেগম সহ এলাকার সর্বস্তরের মহিলা -পুরুষ মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন। 

এবিষয়ে আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ডের ফিরোজ মেম্বার এর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি যনান, আপনার বাড়িতে যেমন একজন মুরুব্বী রয়েছে তেমনই আমার মুরুব্বী আছে তার অনুমিত ছাড়া কিছু বলতে পারবনা। সম্পূর্ণ নিষেধ রয়েছে।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: সড়ক সদর ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

রংপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁর স্ত্রীকে হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন

রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার রহিমাপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে বীর মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায় ও তাঁর স্ত্রী সুবর্ণা রায়কে হত্যা করার প্রতিবাদে মানববন্ধন হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে রংপুর–দিনাজপুর মহাসড়কের তারাগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। বক্তারা বলেন, নিজ বাড়িতে দম্পতিকে হত্যা করা হলো অথচ পুলিশ গত পাঁচ দিনেও ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করতে পারল না। ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।

মানববন্ধনে রংপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের আহ্বায়ক আনছার আলী, যুগ্ম আহ্বায়ক শাজাহান খান, সদস্যসচিব ফজলার রহমান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের আহ্বায়ক আলী হোসেন ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি রেজাউল করিম বক্তব্য দেন।

পুলিশ জানায়, গত শনিবার রাতে নিজ বাড়িতে খুন হন বীর মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায় ও তাঁর স্ত্রী সুবর্ণা রায়। গত রোববার সকালে প্রতিবেশীরা ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া না পেয়ে সন্দেহ হলে মই বেয়ে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করেন। প্রধান দরজার চাবি খুঁজে পেয়ে খুলে ঘরে ঢোকার পর প্রথমে ডাইনিং রুমে যোগেশ চন্দ্র রায়ের ও রান্নাঘরে সুবর্ণা রায়ের রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান তাঁরা।

আরও পড়ুনরংপুরে নিজ বাড়ি থেকে মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁর স্ত্রীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার০৭ ডিসেম্বর ২০২৫

পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। ময়নাতদন্ত শেষে গত সোমবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে যোগেশ চন্দ্র রায় ও সুবর্ণা রায়ের লাশ তাঁদের বাড়ি নিয়ে আসা হয়। এরপর যোগেশ চন্দ্র রায়কে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। রাষ্ট্রীয় সম্মান শেষে তাঁদের সৎকার করা হয়। এ ঘটনায় দম্পতির বড় ছেলে শোভেন চন্দ্র রায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে তারাগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পদচারী–সেতু নির্মাণের দাবিতে গাজীপুরে মানববন্ধন ও মহাসড়ক অবরোধ
  • শিবচরে শিশু ধর্ষণে অভিযুক্ত যুবকের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
  • রংপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁর স্ত্রীকে হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন