ঈদের আগের দিন থেকেই টেলিভিশনের পাশাপাশি ওটিটি প্লাটফর্মসহ বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেলে দর্শক দেখছেন ঈদের অনুষ্ঠান। এগুলোর মধ্যে দর্শকের প্রথম পছন্দে আছে নাটক। ঈদে উপলক্ষে যে নাটকগুলো প্রকাশ করা হয়েছে ১৫ দিন পরও সেগুলো উপভোগ করছেন দর্শক।
‘মেঘবালিকা’
জাকারিয়া সৌখিন পরিচালিত নাটকটি প্রকাশ পায় ৪ এপ্রিল। ইউটিউবে আপলোড হওয়া পর ট্রেন্ডিংয়ে চলে আসে। অপূর্ব ও নিহা জুটির ‘মেঘবালিকা’ এখন পর্যন্ত ইউটিউবে সবার র্শীর্ষে অবস্থান করছে। কন্টেন্ট এর বিচারে ট্রেন্ডিংয়ে নাটকটির স্থান ৩ নম্বরে! ৮ দিনে নাটকটি দেখেছে ৯১ লাখ মানুষ।
‘লাভ মি মোর’
সাজিদ হোসেন বাপ্পি পরিচালিত ও তৌসিফ মাহবুব অভিনীত নাটকটি গত ৯ এপ্রিল প্রকাশ পায়। মাত্র ২ দিনে ট্রেন্ডিংয়ে চলে আসে। চার দিনে নাটকটি দেখে ২৭ লাখের বেশি দর্শক। রোববার নাটকে ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে এটি দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে। কন্টেন্ট এর বিচারে ট্রেন্ডিংয়ে নাটকটির স্থান ৫ নম্বরে! তৌসিফ মাহবুব ছাড়াও এতে অভিনয় করেছেন ফারজানা বুশরা, নিদ্রা দে নেহাসহ আরও অনেকে।
‘একান্নবর্তী’
এরপরই রয়েছে নির্মাতা মহিন খান নাটক ‘একান্নবর্তী’। ৫ এপ্রিল নাটকটি প্রকাশ পায়। রোববার এটি রয়েছে তৃতীয় স্থানে, যা ৮ দিনে ৭২ লাখ দর্শক দেখেছে। নিলয় আলমগীর ও হিমি অভিনীত নাটকটিতে আরও অভিনয় করেছেন দিলারা জামান, তারিক আনাম খান, সাবেরী আলম, মনিরা মিঠু, মাসুম বাসারসহ আরও অনেকে।
‘হৃদয়ের এক কোণে’
সুলতান এন্টারটেনমেন্টের ইউটিউবে নাটকটি আপলোড করা হয় ৪ এপ্রিল। জোভান ও তটিনী অভিনীত এই নাটকটির অবস্থান তিন নম্বরে হলেও কন্টেন্ট এর বিচারে ট্রেন্ডিংয়ে নাটকটির অবস্থান ৫ নম্বরে। ৮ দিনে ৭২ লাখের বেশি মানুষ নাটকটি দেখেছে।
‘তোমাদের গল্প’
ঈদের অন্যতম আলোচিত নাটকটগুলোর একটি ‘তোমাদের গল্প’। ৩১ মার্চ এটি ইউটিউবে প্রকাশ করা হয়। ১২ দিনে নাটকটি দেখেছে এক কোটি ১০ লাখের বেশি দর্শক। মোস্তফা কামাল রাজ পরিচালিত ও ফারহান আহমেদ জোভান, তানজিম সাইয়ারা তটিনী অভিনীত নাটকটি ট্রেন্ডিংয়ে ৫ নম্বরে। এতে আরও অভিনয় করেছেন, দিলারা জামান, সাবেরী আলম, শিল্পী সরকার অপু, মাহমুদুল ইসলাম মিঠু, এমএনইউ রাজুসহ আরও অনেকে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন টক ত ন টকট ন টকট র অবস থ ন
এছাড়াও পড়ুন:
সুদানে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী হতাহতের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার শোক
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের অতর্কিত ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীদের হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, “শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালনের সময় আমাদের ছয়জন বীর শান্তিরক্ষীর শাহাদাত বরণ এবং আরো আটজনের আহত হওয়ার সংবাদে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের বিপুল অবদান আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত; বীরদের এই আত্মত্যাগ একদিকে জাতির গৌরব, অন্যদিকে গভীর বেদনার।”
আরো পড়ুন:
সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত: আইএসপিআর
ঢামেক হাসপাতালে নিরাপত্তা জোরদার
তিনি নিহত শান্তিরক্ষীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। একই সঙ্গে আহত শান্তিরক্ষীদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আহত শান্তিরক্ষীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিত করতে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইতিমধ্যেই জাতিসংঘের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। এই দুঃসময়ে সরকার শান্তিরক্ষীদের পরিবারগুলোর পাশে থাকবে।”
বিবৃতিতে তিনি এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা আন্তর্জাতিক শান্তি ও মানবতার বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধ।”
তিনি জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা আরও জোরদারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।
নিহত শান্তিরক্ষীদের মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা এবং আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ চালিয়ে যাবে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল