শিল্প খাতে গ্যাসের দাম বাড়ল ৩৩ শতাংশ
Published: 13th, April 2025 GMT
বিদ্যমান শিল্পে অপরিবর্তিত রেখে বাড়ল নতুন শিল্পের গ্যাসের দাম। শিল্পের বয়লারে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম ঘনমিটার প্রতি ৩০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪০ টাকা এবং ক্যাপটিভে ৩১.৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪২ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। সে হিসেবে দেশের শিল্প খাতে গ্যাসের দাম ৩৩ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন দাম ঘোষণা করেন বিইআরসির চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য মিজানুর রহমান, সদস্য সৈয়দা সুলতানা রাজিয়া, আব্দুর রাজ্জাক ও শাহীদ সারোয়ার।
নতুন শিল্পের পাশাপাশি এখন যারা অনুমোদিত লোডের বেশি গ্যাস ব্যবহার করছেন সেসব শিল্প প্রতিষ্ঠানকেও ৩০ টাকার পরিবর্তে ৪০ টাকা দরে বিল দিতে হবে। নতুন দর চলতি এপ্রিল মাসের বিল থেকেই কার্যকর হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বিইআরসি চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ জানান, শিল্প গ্রাহকদের প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের বিল ৩০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪০ টাকা করা হয়েছে। ক্যাপটিভে গ্যাসের দাম ৩০.
বিদ্যমান গ্রাহকদের দর (শিল্প ও ক্যাপটিভে গ্যাসের দাম যথাক্রমে ৩০ ও ৩১.৭৫ টাকা) অপরিবর্তিত রেখে নতুন ও প্রতিশ্রুত গ্রাহকদের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছিল পেট্রোবাংলা। প্রতিশ্রুত গ্রাহকদের (ইতোমধ্যে অনুমোদিত) অর্ধেক বিল বিদ্যমান দরে, অর্ধেক ৭৫.৭২ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়।
অন্যদিকে, নতুন শিল্প ও ক্যাপটিভে গ্যাসের দাম যথাক্রমে ৩০ ও ৩১.৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫.৭২ টাকা করা।
ঢাকা/হাসান/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র হকদ র
এছাড়াও পড়ুন:
রামেক হাসপাতালে ইআরসিপি স্যুট, জটিল রোগের চিকিৎসা মিলবে সহজেই
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে এন্ডোস্কোপিক রেট্রোগ্রেড কোলাঞ্জিও প্যানক্রিয়াটিকোগ্রাফি (ইআরসিপি) স্যুট চালু করা হয়েছে। ফলে, এখানে সহজেই অনেক জটিল রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব হবে।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকালে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফ এম শামীম আহাম্মদ ইআরসিপি স্যুট উদ্বোধন করেন।
ইআরসিপি স্যুট একটি অত্যাধুনিক ও বিশেষায়িত ইউনিট, যেখানে গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট, হেপাটোলজিস্ট, হেপাটোবাইলিয়ারি সার্জন ও গ্যাস্ট্রোএন্টারোসার্জনরা চিকিৎসা কার্যক্রম চালাবেন। খাদ্যনালী, পিত্তথলি ও অগ্ন্যাশয়ের জটিল রোগের ক্ষেত্রে পেট না কেটে এখন থেকে শুধু এন্ডোস্কোপি প্রযুক্তির মাধ্যমে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা করা যাবে।হাস
পাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফ এম শামীম আহাম্মদ জানিয়েছেন, এতদিন এই বিশেষায়িত ইউনিটটি অসম্পূর্ণ অবস্থায় ছিল। সম্প্রতি এক ভার্চুয়াল সভায় তিনি স্বাস্থ্য উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এর পর দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি চলে আসে।
তিনি বলেন, “খাদ্যনালী চিকন হয়ে যাওয়া এবং পিত্তথলি ও অগ্ন্যাশয়ের পাথরের চিকিৎসাগুলো এখন থেকে সহজেই করা যাবে। বেসরকারি হাসপাতালে এসব চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। আমরা চেষ্টা করব, এ সেবা যেন সাধারণ মানুষ স্বল্প খরচে পেতে পারেন।”
উদ্বোধনের দিনেই এক রোগীকে সফলভাবে চিকিৎসাসেবা দিয়ে সুস্থ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন রামেক হাসপাতালের পরিচালক।
ঢাকা/কেয়া/রফিক