ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের রাউন্ড রবিন লিগের খেলা শেষ হলো আজ। গত ৩ মার্চ ঢাকার ১২ ক্লাব নিয়ে শুরু হয়েছিল দেশের একমাত্র লিস্ট ‘এ’ প্রতিযোগিতা। কয়েকটি প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ ম্যাচ ছাড়া এবারের লিগের বেশিরভাগই ম্যাচ হয়েছে ম্যাড়ম্যাড়ে। আলোড়ন তৈরি করতে পেরেছে কয়েকটি পারফরম্যান্স। এছাড়া সব পারফরম্যান্সই গড়পড়তা।
১২ ক্লাব থেকে সুপার লিগে উঠেছে ছয়টি ক্লাব। বাকি তিনটি ক্লাবের সফর এবারের মতো শেষ। পয়েন্ট তালিকার শেষ তিনটি দল খেলবে রেলিগেশন লিগ। সেখান থেকে একটি দল টিকে যাবে। দুটি দল নেমে যাবে প্রথম বিভাগে।
১১ ম্যাচে নয় জয় নিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে আবাহনী লিমিটেড। শিরোপাধারীরা এবারের লিগেও দারুণ ছন্দে আছে। সমান ম্যাচে সমান জয় মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবেরও। রেটে পিছিয়ে থেকে তারা আছে দুই নম্বরে। আবাহনীর রান রেট ১.
আরো পড়ুন:
তিন ফিফটির সঙ্গে রবিউলের তোপে অগ্রণীর বড় জয়
শেষ ম্যাচেও ধানমন্ডির হার, জিতেও রেলিগেশন লিগে পারটেক্স
পরের চারটি স্থানে আছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স, গুলশান ক্রিকেট ক্লাব, অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ও লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। গাজী গ্রুপ ১১ ম্যাচে আটটিতে জিতেছে। গুলশান ক্রিকেট ক্লাব ও অগ্রণী ব্যাংক জিতেছে সাতটি করে ম্যাচ। এছাড়া লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ১১ ম্যাচে ছয় ম্যাচ জিতেছে।
সুপার লিগের লড়াই শুরু হবে ১৬ এপ্রিল থেকে। পরদিন হবে রেলিশেগন ম্যাচ।
পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব, ব্রাদার্স ইউনিয়ন লিমিটেড ও শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব খেলবে রেলিগেশন লিগ। তিন দল জিতেছে যথাক্রমে তিন, দুই ও এক ম্যাচ। তাদের মধ্যে লিগে কে টিকে থাকে সেটাই দেখার।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
তাইজুলকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে অবমূল্যায়িত বোলার’ বললেন তামিম
চট্টগ্রাম টেস্টে আজ প্রথম দিনে জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংসে ৬০ রানে ৫ উইকেট পেয়েছেনতাইজুল ইসলাম। টেস্টে এ নিয়ে ১৬তমবার ইনিংসে ৫ উইকেট পেলেন বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনার। প্রথম দিনের খেলা শেষে তাইজুলের প্রশংসা করে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দেন তামিম ইকবাল।
আরও পড়ুনতাইজুলের মনে হয় না তারা খেলা বোঝে১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের সাবেক অধিনায়কের পেজে তাইজুলের একটি ছবি পোস্ট করে লেখা হয়, ‘এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে অবমূল্যায়িত (আন্ডাররেটেড) বোলার। এখন খেলা অন্য বোলারদের পরিসংখ্যান দেখুন, তাহলে আমার কথাটা বুঝতে পারবেন। আরেকবার ৫ উইকেট নিয়ে দারুণ খেলেছ তাইজুল।’
২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে টেস্ট ও ডিসেম্বরে ওয়ানডে অভিষেক তাইজুলের। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক ২০১৯ সালে। ওয়ানডে (২০) ও টি-টোয়েন্টির (২) চেয়ে টেস্ট ম্যাচই (৫২) বেশি খেলেন তাইজুল। চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চলতি টেস্টে প্রথম দিনের পারফরম্যান্সসহ মোট ৫৩ টেস্টে এ পর্যন্ত ২২৪ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল। তাঁর টেস্ট সংস্করণের পারফরম্যান্সটা যাচাই করে দেখা যায়।
এখনো যাঁরা খেলছেন তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেট নাথান লায়নের। অস্ট্রেলিয়ার অফ স্পিনারের টেস্ট অভিষেক ২০১১ সালে। তাইজুলের টেস্ট অভিষেকের সময় থেকে লায়নের পারফরম্যান্স— ১০৩ টেস্টে ২৯.৪৮ গড়ে ৪৪১ উইকেট। মোট ২৪ বার ৫ উইকেট নিলেও তাইজুলের অভিষেকের পর থেকে ১৯ বার ৫ উইকেট নেন লায়ন। তবে অস্ট্রেলিয়া দল বাংলাদেশের চেয়ে অনেক বেশি টেস্ট খেলায় লায়ন এ সময়ে তাইজুলের চেয়ে অনেক বেশি টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছেন। বোলিং গড় এবং স্ট্রাইকরেটে লায়ন ও তাইজুলের মাঝে ব্যবধান বেশি না। তাইজুলের বোলিং গড় ৩১.৫৬, স্ট্রাইক রেট ৬১.৯, যেখানে লায়নের স্ট্রাইকরেট ৬১.৬ ও গড় ৩০.১৯।
আরও পড়ুনতাইজুলের ভেলকি, শেষ সেশনে গেল ৭ উইকেট২ ঘণ্টা আগেভারতের স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন গত বছর ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়েন। টেস্টে তার অভিষেক ২০১১ সালে। তাইজুলের টেস্ট অভিষেক থেকে এই সংস্করণে ৮৫ ম্যাচে ২২.৮৪ গড়ে ৪৩০ উইকেট নেন অশ্বিন। এ সময়ে ২৮ বার পেয়েছেন ৫ উইকেট। অস্ট্রেলিয়ার মতো ভারতও বেশি বেশি টেস্ট খেলায় স্বাভাবিকভাবেই এ সময়ে তাইজুলের তুলনায় বেশি টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছেন অশ্বিন।
ভারতের আরেক স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজার ক্ষেত্রেও একই কথা খাটে। তাইজুলের অভিষেকের দুই বছর আগে টেস্টে অভিষেক জাদেজার। তাইজুলের অভিষেকের সময় থেকে এ পর্যন্ত ৬৮ টেস্টে ২৭৮ উইকেট নিয়েছেন জাদেজা। তবে তাঁর চেয়ে এ সময়ে বেশি সংখ্যকবার ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল। জাদেজা এ সময়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন ১৩ বার, তাইজুল নিয়েছেন ১৬ বার।
তাইজুল ৫ উইকেট নেওয়ার পর তাঁকে জড়িয়ে ধরেন অধিনায়ক নাজমুল