বাংলা নববর্ষে যবিপ্রবিতে আয়োজিত হবে উদ্যোক্তা মেলা
Published: 13th, April 2025 GMT
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) আয়োজিত হতে যাচ্ছে ‘তারুণ্য ও উদ্যোক্তা মেলা এবং দেশীয় সংস্কৃতি উৎসব-২০২৫’।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের তত্ত্বাবধানে আগামীকাল সোমবার (১৪ এপ্রিল) দিনব্যাপী এই উৎসব উদযাপন করা হবে।
ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গ্রামীণ সংস্কৃতিকে তুলে ধরার পাশাপাশি লোকসংস্কৃতিকে তুলে ধরার জন্য দেশাত্মবোধকগান, রবীন্দ্র সংগীত, নজরুলগীতি, আধুনিকগান, লোকসংগীত, নাটক, আবৃত্তি, রম্য বিতর্ক, লাঠি খেলা, যেমন খুশি তেমন সাজো ইত্যাদি আয়োজনের মধ্য দিয়ে উৎসবটি উদযাপিত হবে।
এছাড়া তরুণদের উদ্যোক্তা হতে উদ্বুদ্ধ করতে তারুণ্য ও উদ্যোক্তা উৎসব বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড.
এ বিষয়ে উৎসবের দায়িত্বে থাকা যবিপ্রবির ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. রাফিউল হাসান বলেন, “আনন্দ শোভাযাত্রার মাধ্যমে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানের কর্মসূচি শুরু হবে। অনুষ্ঠানের দেশীয় সংস্কৃতি তুলে ধরার পাশাপাশি জুলাই আন্দোলনের ভাবমূর্তি তুলে ধরতে জুলাই বিপ্লবে আহত শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞতা ও জুলাইয়ের প্রামাণ্যচিত্র চিত্র তুলে ধরা হবে। এছাড়া প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়ের নির্দেশনা বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে তারুণ্য ও উদ্যোক্তা মেলার আয়োজন করেছি।”
তিনি বলেন, “এ লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের জন্য ৩০-৩৫টি স্টল বানানো হয়েছে , যেখানে বিক্রি হবে দেশীয় পণ্যসহ বিভিন্ন দেশীয় খাবার। এছাড়া তরুণ উদ্যোক্তাদের উৎসাহ প্রদানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সফল উদ্যোক্তা শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে নতুন উদ্যোক্তা ও শিক্ষার্থীদের জন্য দিক নির্দেশনামূলক আলোচনা সভার আয়োজন থাকবে।”
তিনি আরো বলেন, “পহেলা বৈশাখে প্রতিবারই রাতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে। তবে এবার গাজায় ইসরাইলি নির্মমতায় মানবিক দিক বিবেচনা করে ক্লাব প্রতিনিধিদের সঙ্গে পরামর্শ করে গাজার মানুষের প্রতি সমবেদনা জানাতে রাতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়নি।”
ঢাকা/ইমদাদুল/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ ন র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
আষাঢ়ের প্রথম দিন আজ
ঝমঝম বৃষ্টি, কর্দমাক্ত পথঘাট, খাল-বিলে থৈ থৈ পানি- এমন দৃশ্যপট সামনে না থাকলেও ভেবে নিতে দোষ কি। কারণ, আজ পহেলা আষাঢ়।
রবি ঠাকুরের ভাষায়— ‘আবার এসেছে আষাঢ় আকাশও ছেয়ে... আসে বৃষ্টিরও সুবাসও বাতাসও বেয়ে...’।
অবশ্য একেবারে নিরাশ করেনি আষাঢ়। রাজধানীতে সকাল থেকেই আকাশে মেঘের আনাগোনা আর কোথাও হালকা বৃষ্টি জানান দিচ্ছে প্রকৃতিতে বর্ষার আগমন। বর্ষার আগমন যেন স্বস্তি-শান্তি ও আনন্দের। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস নগরবাসীর জীবনে এক আনন্দের বার্তা।
বাংলার প্রকৃতিতে আলাদা বৈশিষ্টময় বর্ষা ঋতুর আজ যাত্রা শুরু হলো।
বলা হয়, গ্রীষ্মের খরতাপের ধূসর নাগরিক জীবন আর রুদ্র প্রকৃতিতে প্রাণের স্পন্দন জাগায় বর্ষা। জ্যৈষ্ঠের প্রচণ্ড খরতাপে রুক্ষ প্রকৃতি সজীব হয়ে উঠবে বর্ষার বর্ষণের মৃদঙ্গ-ছোঁয়ায়, এটাই যে সকল বাঙালির চাওয়া।
আষাঢ়ের রিমঝিম বৃষ্টি গ্রীষ্মের ধুলোমলিন জীর্ণতাকে ধুয়ে ফেলে গাঢ় সবুজের সমারোহে প্রকৃতি সাজে পূর্ণতায়। রঙিন হয়ে পুকুর-বিলে ফোটে শাপলা-পদ্ম। বর্ষা ঋতু তার বৈশিষ্ট্যের কারণে স্বতন্ত্র। বর্ষার প্রবল বর্ষণে নির্জনে ভালোবাসার সাধ জাগে, চিত্তচাঞ্চল্য বেড়ে যায়। বর্ষার নতুন জলে স্নান সেরে প্রকৃতির মনও যেন নেচে ওঠে। ফুলে ফুলে শোভিত হয় প্রকৃতি। তাই বর্ষাবিহীন বাংলাদেশ ভাবাই যায় না।
বর্ষা বাঙালি জীবনে নতুন প্রাণসঞ্চারকারী। বৃষ্টিস্নাত কদম ফুলের সৌন্দর্য্য যে দেখেছে, মুগ্ধ নয়নে চেয়ে না থেকে পারেনি। এর বর্ণনায় পল্লীকবি জসীমউদদীন লিখেছেন- ‘বনের ঝিয়ারি কদম্বশাখে নিঝঝুম নিরালায়, / ছোট ছোট রেণু খুলিয়া দেখিছে, অস্ফুট কলিকায়।’
বৃষ্টি হলে গ্রামের নদী নালা পুকুরে জল জমে থৈ থৈ করে। বর্ষা আনন্দ-বেদনার সারথী। সবুজের সমারোহে, মাটিতে নতুন পলির আস্তরণে বর্ষা আনে জীবনেরই বারতা।
উন্নয়নের নামে চলমান প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংসের প্রক্রিয়া বন্ধের দাবি নিয়ে প্রতি বছরের মতো এ বছরও বর্ষা ঋতুকে বরণ করে নিতে ‘বর্ষা উৎসব’ আয়োজন করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী।
রবিবার (১৫ জুন) আষাঢ়ের প্রথমদিনে বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকালে সুর-সংগীতে প্রকৃতি-বন্দনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে উৎসবের কর্মসূচি।
ঢাকা/টিপু