মেয়াদোত্তীর্ণ আমদানি বিল কমে ৫ ভাগের এক ভাগে
Published: 13th, April 2025 GMT
মেয়াদ পার হলেও অনেক ব্যাংক আমদানি দায় পরিশোধ না করায় বৈদেশিক মেয়াদোত্তীর্ণ স্বীকৃত বিল বেড়ে গত নভেম্বর শেষে ৪৪ কোটি ৫৩ লাখ ডলারে ওঠে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জোর তদারকির পর মার্চ শেষে তা কমে ৮ কোটি ৮৯ লাখ ডলারে নেমেছে। এর মানে, চার মাসে পাঁচ ভাগের এক ভাগে নেমেছে। সামান্য বিলও যেন অপরিশোধিত না থাকে, সে জন্য ব্যাংকগুলোর সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা নেওয়ার জন্য গতকাল নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, ডলার সংকটসহ বিভিন্ন কারণে বেশ আগে থেকেই আমদানি দায় বকেয়া ছিল। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতনের পর হঠাৎ এ প্রবণতা আরও বেড়ে যায়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনলাইন ইমপোর্ট মনিটরিং সিস্টেমের (ওআইএমএস) নভেম্বরভিত্তিক তথ্য অনুযায়ী, শুধু বৈদেশিক মেয়াদোত্তীর্ণ বিলের পরিমাণ ছিল ৪৪ কোটি ৫৩ লাখ ডলার।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ার বিষয়টি মাথায় রেখে এ বিষয়ে কঠোর তদারকি শুরু করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একাধিক বৈঠক করে মেয়াদোত্তীর্ণ বিল না কমালে এডি লাইসেন্স বাতিলসহ বিভিন্ন হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। বিভিন্ন উদ্যোগের মধ্যে অপরিশোধিত বিল কমে গত ডিসেম্বরে ২০ কোটি ডলারে নামে। মার্চ শেষে আরও কমে ৮ কোটি ৮৯ লাখ ডলারে নেমেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, স্থানীয় মেয়াদোত্তীর্ণ বিলও কমেছে। গত ডিসেম্বরে মেয়াদোত্তীর্ণ স্থানীয় স্বীকৃত বিল ছিল ৩১ কোটি ২০ লাখ ডলারে। গত মার্চে আরও কমে ১৫ কোটি ৩২ লাখ ডলারে নেমেছে। রপ্তানির জন্য ব্যাক টু ব্যাক এলসির বিপরীতে স্থানীয় কাঁচামাল ক্রয়ের ক্ষেত্রে এই বিল সৃষ্টি হয়।
গতকালের সার্কুলারে বলা হয়, আমদানির বিপরীতে বিল মূল্য যথাসময়ে পরিশোধ না করলে দেশের ব্যাংক ব্যবস্থার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। বৈদেশিক বাণিজ্যের ব্যয় বেড়ে যায়। এখন থেকে বিল দ্রুত পরিশোধ নিশ্চিত করতে হবে। মেয়াদোত্তীর্ণ স্বীকৃত বিল পরিশোধের সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা নিতে হবে। যেসব শাখায় মেয়াদোত্তীর্ণ অপরিশোধিত স্বীকৃত বিল বেশি, সেসব শাখায় বিশেষ পরিবীক্ষণ ব্যবস্থা চালু করতে হবে। মামলার কারণে কোনো বিল পরিশোধ না হলে সরবরাহকারী ব্যাংককে জানাতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনলাইন পদ্ধতিতে তথ্য আপলোডের আগে ভালোভাবে তথ্য যাচাই করতে হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আমদ ন পর শ ধ ন আমদ ন
এছাড়াও পড়ুন:
সুদানে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী হতাহতের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার শোক
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের অতর্কিত ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীদের হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, “শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালনের সময় আমাদের ছয়জন বীর শান্তিরক্ষীর শাহাদাত বরণ এবং আরো আটজনের আহত হওয়ার সংবাদে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের বিপুল অবদান আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত; বীরদের এই আত্মত্যাগ একদিকে জাতির গৌরব, অন্যদিকে গভীর বেদনার।”
আরো পড়ুন:
সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত: আইএসপিআর
ঢামেক হাসপাতালে নিরাপত্তা জোরদার
তিনি নিহত শান্তিরক্ষীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। একই সঙ্গে আহত শান্তিরক্ষীদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আহত শান্তিরক্ষীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিত করতে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইতিমধ্যেই জাতিসংঘের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। এই দুঃসময়ে সরকার শান্তিরক্ষীদের পরিবারগুলোর পাশে থাকবে।”
বিবৃতিতে তিনি এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা আন্তর্জাতিক শান্তি ও মানবতার বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধ।”
তিনি জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা আরও জোরদারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।
নিহত শান্তিরক্ষীদের মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা এবং আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ চালিয়ে যাবে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল