০, ৮, ১৩, ১৭, ১৮—ছোটদের গণিত বইয়ে ‘ছোট থেকে বড় সংখ্যা’ হিসেবে বেশ মানিয়ে যায়। কিন্তু একজন রোহিত শর্মার সঙ্গে একদম বেমানান।

এবারের আইপিএলে এখন পর্যন্ত পাঁচ ইনিংস ব্যাটিং করেছেন রোহিত। সংখ্যাগুলো তাঁর একেকটি ইনিংসের রান। ১১.২০ গড়ে মোটে ৫৬ রান, সর্বোচ্চ ১৮। কেউ কেউ বলতে পারেন, এমন রানখরা অনেকেরই যায়। কথা সত্যি। কিন্তু রোহিতের রানখরা শুধু এ বছরের নয়। আইপিএলে সর্বশেষ তিন আসর ধরেই রানের মধ্যেই নেই ভারতের ‘হিটম্যান’।

পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৩ আইপিএলের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কম ব্যাটিং গড় ঋদ্ধিমান সাহার ২০.

২৮। আর দ্বিতীয় সর্বনিম্ন ২৪.৩৯ গড়ধারী ব্যাটসম্যানটিই রোহিত শর্মা। হিসাবটি করা হয়েছে যে সব অন্তত ব্যাটসম্যান অন্তত ২৫ ইনিংস ব্যাট করেছেন তাঁদের ধরে। ঋদ্ধিমান অনেক দিন ধরেই ভারতের প্রথম সারির খেলোয়াড় নন। টি-টোয়েন্টিসুলভ ব্যাটসম্যান হিসেবেও কখনো পরিচিতি ছিল না। আর ব্যাটিংও করেন মিডল অর্ডার বা আরও নিচের দিকে।

এবারের আইপিএলে একবারও ২০ রানের ঘর ছুঁতে পারেননি রোহিত শর্মা।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সুদানে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী হতাহতের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার শোক

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের অতর্কিত ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীদের হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

প্রধান উপদেষ্টা শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, “শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালনের সময় আমাদের ছয়জন বীর শান্তিরক্ষীর শাহাদাত বরণ এবং আরো আটজনের আহত হওয়ার সংবাদে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের বিপুল অবদান আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত; বীরদের এই আত্মত্যাগ একদিকে জাতির গৌরব, অন্যদিকে গভীর বেদনার।”

আরো পড়ুন:

সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত: আইএসপিআর

ঢামেক হাসপাতালে নিরাপত্তা জোরদার

তিনি নিহত শান্তিরক্ষীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। একই সঙ্গে আহত শান্তিরক্ষীদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আহত শান্তিরক্ষীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিত করতে  জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইতিমধ্যেই জাতিসংঘের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। এই দুঃসময়ে সরকার শান্তিরক্ষীদের পরিবারগুলোর পাশে থাকবে।”

বিবৃতিতে তিনি এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা আন্তর্জাতিক শান্তি ও মানবতার বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধ।”

তিনি জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা আরও জোরদারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।

নিহত শান্তিরক্ষীদের মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা এবং আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ চালিয়ে যাবে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ