সিদ্ধিরগঞ্জে স্ত্রী-সন্তানসহ তিনজনকে হত্যায় ব্যবহৃত বঁটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকালে মিজমিজি পশ্চিমপাড়া এলাকায় নিহতদের বাড়িসংলগ্ন একটি পুকুর থেকে বঁটিটি উদ্ধার করা হয়। রিমান্ডে থাকা গ্রেপ্তার ইয়াছিনের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয়। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহিনূর আলম বলেন, ইয়াছিনকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি হত্যায় ব্যবহৃত বঁটির সন্ধান দেন। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুকুর থেকে সেটি উদ্ধার করা হয়।

এর দুই দিন আগে নিহত ব্যক্তিদের রক্তমাখা কাপড় জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তার ইয়াছিন একা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে আমাদের জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, নিখোঁজের চার দিন পর গত ১১ এপ্রিল দুপুরে নিজেদের বসবাসরত বাড়ির সামনে বস্তাবন্দী অবস্থায় একই পরিবারের তিনজনের খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন মিজমিজি পশ্চিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা মৃত সেরাদের মেয়ে স্বপ্না আক্তার (৩৫), তাঁর ছোট বোন লামিয়া আক্তার (২২) ও লামিয়ার ছেলে হাবিব (৩)। এ ঘটনায় পুলিশ লামিয়ার স্বামী ইয়াছিনকে (২৩) আটক করে। 

এ ঘটনায় লামিয়া ও স্বপ্নার বোন মুনমুন বাদী হয়ে লামিয়ার স্বামী ইয়াছিন, তাঁর বাবা মো.

দুলাল ও বোন মোসা. শিমুকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: হত য স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ