রিশাদ হোসেন ফিল্ডিং করছিলেন। টিভি ক্যামেরা তখন একবার রিশাদকে খুঁজে নিল। পিএসএলে ধারাভাষ্যকারের দায়িত্বে থাকা কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরাম ঠিক সেই মুহূর্তে বললেন, ‘এই ছেলেকে আমার কাছে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ মনে হচ্ছে।’

রিশাদের লেগ ব্রেক আর গুগলিরও প্রশংসা করে গেলেন আকরাম। করবেন না–ই বা কেন? রিশাদ যে ততক্ষণে ৩ উইকেট পেয়ে গেছেন!

গত রোববারও ৩ উইকেট নিয়ে পিএসএলে নিজের অভিষেক ম্যাচটা রাঙিয়ে রেখেছিলেন রিশাদ। তাঁর দল লাহোর কালান্দার্স সেদিন কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সকে হারিয়েছিল ৭৯ রানে। বাংলাদেশের এই লেগ স্পিন অলরাউন্ডার আজ উইকেট ৩টি নিলেন আরও অল্প সময়ে, মাত্র ১১ বলের ব্যবধানে। তাতে ‘পিএসএল ক্লাসিকো’ হিসেবে পরিচিত লড়াইয়ে করাচি কিংসকে ৬৫ রানে হারিয়ে দিল লাহোর।

করাচি ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬ উইকেটে ২০১ রান করেছিল লাহোর। ফখর জামানের ৭৬ আর ড্যারিল মিচেলের ৭৫ রানের ইনিংস দুটিই মূলত লাহোরের সংগ্রহকে দুইশর ওপারে নিয়ে যায়।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে লাহোর অধিনায়ক শাহিন আফ্রিদির তোপের পর রিশাদের ঘূর্ণিতে ৫ বল বাকি থাকতেই ১৩৬ রানে অলআউট হয়ে যায়। তিন ম্যাচে দুই জয়ে পয়েন্ট তালিকার দুইয়েই থাকল লাহোর।

দুই ম্যাচে দুই জয় ও নেট রানরেটে এগিয়ে থাকার সুবাদে শীর্ষে আছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইসলামাবাদ ইউনাইটেড।  

সংক্ষিপ্ত স্কোর

লাহোর কালান্দার্স: ২০ ওভারে ২০১/৬
(ফখর ৭৬, মিচেল ৭৫, বিলিংস ১৯; হাসান ৪/২৮, আব্বাস ১/৪৭)।

করাচি কিংস: ১৯.

১ ওভারে ১৩৬ অলআউট
(খুশদিল ৩৯, হাসান ২৭; রিশাদ ৩/২৬, আফ্রিদি ৩/৩৪, রাজা ২/১৩)।

ফল: লাহোর কালান্দার্স ৬৫ রানে জয়ী।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ:  ফখর জামান।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প এসএল উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

২০৭ রানে শেষ অস্ট্রেলিয়া, জয়ের জন্য প্রোটিয়াদের লক্ষ্য ২৮২

লর্ডসে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের তৃতীয় দিনেই জমে উঠেছে খেলা। দ্বিতীয় ইনিংসে অ্যালেক্স ক্যারি ও মিচেল স্টার্কের দৃঢ়তায় ২০৭ রান তুলেছে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ইনিংসে ৭৪ রানের লিড থাকায় দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে জয়ের লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ২৮২ রান।

ম্যাচে বল হাতে ঝলক দেখিয়েছেন কাগিসো রাবাদা। প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসেও নেন চারটি। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৯ উইকেট তুলে নেন এই প্রোটিয়া গতিতারকা। অস্ট্রেলিয়ার শেষ ব্যাটার হিসেবে অপরাজিত ছিলেন মিচেল স্টার্ক, খেলেছেন ৫৮ রানের কার্যকরী ইনিংস।

প্রথম ইনিংসে ২১২ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। স্টিভ স্মিথ ও বেউ ওয়েবস্টার ছাড়া কেউই উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারেননি। জবাবে কামিন্সের আগুনে পেসে ১৩৮ রানেই অলআউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা।

দ্বিতীয় ইনিংসে ফের ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। ৭৩ রানের মধ্যে ৭ উইকেট হারায় তারা। একে একে ব্যর্থ হন উসমান খাজা (৬), ক্যামেরুন গ্রিন (০), ট্র্যাভিস হেড (৯), স্টিভ স্মিথ (১৩) ও কামিন্স (৬)। সেখান থেকে দলের হাল ধরেন অ্যালেক্স ক্যারি ও মিচেল স্টার্ক। অষ্টম উইকেটে দুজন গড়েন ৬১ রানের জুটি। ক্যারি করেন ৪৩ রান, স্টার্ক তুলে নেন ফিফটি।

শেষ উইকেটে জশ হ্যাজলউডকে নিয়ে আরও একবার প্রতিরোধ গড়েন স্টার্ক। দুইজন মিলে ৫৯ রানের জুটি গড়ে দলকে নিয়ে যান ২০০ পেরিয়ে। শেষ পর্যন্ত হ্যাজলউডকে ফিরিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে অলআউট করেন এইডেন মার্করাম।

এখন প্রোটিয়াদের সামনে সুযোগ ইতিহাস গড়ার। প্রথমবারের মতো টেস্ট বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হতে তাদের প্রয়োজন ২৮২ রান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আগামী বছরে কি আবার আইপিএল-পিএসএল সংঘাত
  • অজিদের হারিয়ে টেস্টের চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকা 
  • ২৮২ রানের টার্গেটে ব্যাট করছে দ. আফ্রিকা
  • দেশের ক্রিকেট নিয়ে সাকিবের সঙ্গে যে আলোচনা হয়েছে মিরাজের
  • ২০৭ রানে শেষ অস্ট্রেলিয়া, জয়ের জন্য প্রোটিয়াদের লক্ষ্য ২৮২