জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের পদোন্নতির রায় হাইকোর্টের মাধ্যমে বাতিলসহ ৬ দফা দাবিতে পাবনা টার্মিনাল গোল চত্বরে ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। এতে যানবাহনের দীর্ঘ সৃষ্টি হয়েছে। দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

বুধবার দুপুর ১২টার দিকে পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বাইপাস সড়ক হয়ে টার্মিনাল গোল চত্বরে পৌঁছায়। এসময় তারা ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।

তারা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করেন। খণ্ড খণ্ড ভাগ হয়ে সড়কেই খেলাধুলা করছেন। এছাড়াও নানা স্লোগানে স্লোগানে তাদের দাবি তুলে ধরছেন। অবরোধের কারণে সড়কে যানবাহনের দীর্ঘ সারি পড়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।

শিক্ষার্থীরা বলেন, জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের অবৈধ পদোন্নতির রায় হাইকোর্টের মাধ্যমে বাতিল করতে হবে, ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে যে কোনো বয়সে ভর্তির সুবিধা বাতিল করতে হবে, উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও সমমান পদে চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ার ও মনোটেকনোলজি হতে পাশকৃতদের সংরক্ষিত পদের বিপরিতে নিয়োগ দিতে হবে।

এ বিষয়ে পাবনা সদর থানার পরিদর্শক (ওসি-তদন্ত) মো.

মনিরুজ্জামান বলেন, এর আগেও তারা একই দাবিতে অবরোধ করেছিল, আজও করেছে। আমরা সেখানে আছি। সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে আছেন। বিষয়টি নিয়ে আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতেছি।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প বন সড়ক অবর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

সুদানে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী হতাহতের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার শোক

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের অতর্কিত ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীদের হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

প্রধান উপদেষ্টা শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, “শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালনের সময় আমাদের ছয়জন বীর শান্তিরক্ষীর শাহাদাত বরণ এবং আরো আটজনের আহত হওয়ার সংবাদে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের বিপুল অবদান আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত; বীরদের এই আত্মত্যাগ একদিকে জাতির গৌরব, অন্যদিকে গভীর বেদনার।”

আরো পড়ুন:

সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত: আইএসপিআর

ঢামেক হাসপাতালে নিরাপত্তা জোরদার

তিনি নিহত শান্তিরক্ষীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। একই সঙ্গে আহত শান্তিরক্ষীদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আহত শান্তিরক্ষীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিত করতে  জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইতিমধ্যেই জাতিসংঘের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। এই দুঃসময়ে সরকার শান্তিরক্ষীদের পরিবারগুলোর পাশে থাকবে।”

বিবৃতিতে তিনি এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা আন্তর্জাতিক শান্তি ও মানবতার বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধ।”

তিনি জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা আরও জোরদারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।

নিহত শান্তিরক্ষীদের মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা এবং আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ চালিয়ে যাবে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ