নাফ নদীতে বড়শিতে ধরা পড়ল ২২ কেজি ওজনের একটি কোরাল মাছ
Published: 16th, April 2025 GMT
কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীতে ফেলা বড়শিতে ২২ কেজি ওজনের একটি কোরাল মাছ ধরা পড়েছে। সাড়ে চার ফুট লম্বা এ কোরাল মাছের দাম হাঁকানো হয় ২৬ হাজার ৪০০ টাকা। আজ বুধবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে নাফ নদী টেকনাফ পৌরসভা এক দিনের ট্রানজিট জেটিঘাটের বড়শিতে মাছটি ধরা পড়ে।
প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন টেকনাফ পৌরসভার ট্রানজিট জেটিঘাটের ইজারাদার আবদুর রশিদ। তিনি বলেন, স্থানীয় ইয়াসমিন আক্তার নামের এক নারীর মালিকানাধীন বড়শিতে এ মাছটি ধরা পড়েছে। টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা মৃত হাসান আলীর স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার। তাঁর বড়শিতে মাছটি ধরেন ফিরোজ আহম্মদ নামের এক জেলে। তিনি বলেন, আজ দুপুরের দিকে কয়েক দফা নদীতে বড়শি ফেলা হয়েছিল; কিন্তু কোনো মাছ ধরা না পড়লেও শেষ মুহূর্তে বিশাল আকারের কোরাল মাছ ধরা পড়ে। মাছ ধরা পড়ার বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় লোকজন ও পর্যটকেরা একনজর দেখার জন্য ভিড় জামান।
ঢাকার খিলগাঁও থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক দম্পতি জানান, আগে এমন বড় কোরাল মাছ টেলিভিশনে দেখেছি; কিন্তু আজ নিজের চোখে দেখলাম। তবে ঢাকায় আমরা এই মাছকে ভেটকি মাছ বলি।
জেলে ফিরোজ আহমদ বলেন, বড়শির মালিক ইয়াসমিন আক্তার মাছটি প্রতি কেজি ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করতে বলেছেন। এ জন্য ২৬ হাজার ৪০০ টাকা দাম হাঁকানো হয়েছিল। নুরুল আমিন নামের একজন মাছ ব্যবসায়ী ২৬ হাজার টাকায় মাছটি কিনে নেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রায় সময় নাফ নদীতে এখন কোরাল মাছ ধরা পড়ে। নাফের কোরালের স্বাদও বেশ ভালো।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন ফ নদ
এছাড়াও পড়ুন:
হাত-পা বাঁধা ও কম্বলে প্যাঁচানো মরদেহ উদ্ধার
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার একটি ডোবা থেকে হাত-পা বাঁধা ও কম্বল দিয়ে প্যাঁচানো অবস্থায় এক অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সকাল ৭টার দিকে সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের রতনপুর আনসার ক্যাম্পের পাশের ডোবা থেকে মরদেহটি উদ্ধার হয়।
আরো পড়ুন:
উত্তর বাড্ডায় বদ্ধ ঘরে মিলল নারী-পুরুষের মরদেহ
নিখোঁজের ১২ দিন পর কৃষকের গলিত মরদেহ উদ্ধার
মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম মজিবর মাঝি (৪৫)। তিনি বরিশাল জেলার হিজলা থানার বাসিন্দা। মুন্সীগঞ্জ সদরের রামপাল ইউনিয়নের শান্তিনগর এলাকায় থেকে তিনি অটোরিকশা চালাতেন। গত শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) থেকে তার সন্ধান পাচ্ছিলেন না স্বজনরা।
নিহত মজিবরের ছেলে মো. রাসেল বলেন, “বাবা মুন্সীগঞ্জে একা থাকতেন। তিনি স্থানীয় একটি গ্যারেজ থেকে ভাড়ায় অটোরিকশাটি চালাতেন। গত শুক্রবার মাওয়া যাওয়ার কথা বলে তিনি বের হন। এরপর আর ফেরেননি। গতকাল গ্যারেজ মালিক ফোন দিয়ে জানালে, আমি থানায় সাধারণ ডায়েরি করি। আজ সকালে বাবার মরদেহ ডোবায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায়। অটোরিকশাটির কোনো হদিস নেই।”
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম সাইফুল আলম বলেন, “মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”
ঢাকা/রতন/মাসুদ