অনেকে জানেই না আমি বরিশালের মেয়ে...
Published: 17th, April 2025 GMT
প্রথম আলো:
দর্শকদের প্রত্যাশা কি বেড়ে গেল?
তানজিম সাইয়ারা তটিনী : হ্যাঁ, সেটা বুঝতে পারছি। এখন আমার কোরবানির ঈদের কাজ নিয়ে ভয় লাগছে। কারণ, এবারের প্রতিটি কনটেন্ট এত পছন্দ করেছেন দর্শক, এত ভালো ফিডব্যাক পাওয়ার কারণে প্রত্যাশা অনেক বেড়ে যায়। আবার এটা ধরে রাখাটাও কঠিন। সব সময় তো একই মানের ভালো কাজের চিত্রনাট্য হাতে আসে না। চেষ্টা করছি এর মধ্যে থেকেই সেরা কাজগুলো বাছাই করতে।
প্রথম আলো :
ঈদে আপনার পছন্দের চরিত্র ছিল কোনটা?
তানজিম সাইয়ারা তটিনী : দর্শকেরা ‘তোমাদের গল্প’, ‘মন দিওয়ানা’, ‘হৃদয়ের এককোণে’, ‘প্রেম ভাই’ কাজগুলোর প্রশংসা করছেন। একেকটা একেক ধরনের কাজ। সব কটির চিত্রনাট্য পছন্দের জন্যই করা। তবে দর্শকপ্রিয়তার কথা যদি বলি, তাহলে মোস্তফা কামাল রাজ ভাইয়ের ‘তোমাদের গল্প’ নাটকটি দর্শক বেশি পছন্দ করেছেন। পারিবারিক গল্পের নাটক। এটার শুটিং করার সময়ে মনেই হয়নি চরিত্রগুলো আমার আপন চাচা বা ভাই না। তখন মনে হয়েছিল, হিট না হলেও এই কনটেন্ট দর্শক পছন্দ করবেন। এখানে আমার চরিত্রের নাম ছিল শালু। সুহাসিনীর পরে শালুর প্রতি ভালোবাসা জন্মেছে। চরিত্রটি দিয়ে দর্শক আমাকে বেশি পছন্দ করছেন। এই চরিত্রটি মনে রাখার মতো। এর আগে ‘পথে হলো দেরি’ কনটেন্টটি জনপ্রিয়তা পেলেও সেই চরিত্রটি দর্শকদের মনে এতটা জায়গা পায়নি। বুঝতে পারছি, শালুকে পছন্দ করছেন দর্শক।
তানজিম সাইয়ারা তটিনী.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দ্বিজাতিতত্ত্বের কবর দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম, এখানে সাম্প্রদায়িকতার জায়গা নেই: জেড আই খান পান্না
মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর দ্বিজাতিতত্ত্বের কবর দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না বলেছেন, এই দেশে সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান নেই।
আজ শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট বারের হলরুমে ‘বাংলাদেশে মানবাধিকার সংকট ও আইনি প্রতিকার পাওয়ার পথ’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জেড আই খান পান্না। সেমিনারটির আয়োজন করে আন্তর্জাতিক সংস্থা হিউম্যান রাইটস কংগ্রেস ফর বাংলাদেশ মাইনোরিটিস (এইচআরসিবিএম), বাংলাদেশ চ্যাপ্টার।
বক্তব্যে জেড আই খান পান্না বলেন, ‘এখানে সংখ্যালঘুর কথা বলা হচ্ছে। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এখন আমি সবচেয়ে বেশি সংখ্যালঘু। আজ মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতার মালা দেখি, জুতা দিয়ে বাড়ি দিতে দেখি, কিন্তু কিছু করতে পারি না। তাই আমি সবচেয়ে বড় অসহায়।’
এসব কথা বলতে বলতে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না কেঁদে ফেলেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, জীবনে কখনো জেনে-বুঝে অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি। যাঁরা মুক্তিযুদ্ধকে ধারণ করেন, তাঁদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
জেড আই খান পান্না আরও বলেন, ৩০ লাখ শহীদ আর ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, কারও সঙ্গে এর তুলনা চলে না। এটা সাম্প্রদায়িকতার দেশ না। সংবিধানে যেন কেউ হাত না দেয়। সরকারের অনেকেই বিদেশি হয়েও স্বদেশি ভাব দেখাচ্ছেন।
সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকার যেন নিঃশেষ হয়ে গেছে। সমাজে ন্যায়বিচার বা সুবিচার পাওয়ার কথা থাকলেও তা মিলছে না। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিচার হয় না। কেউ কেউ ধরা পড়লেও পরে বেরিয়ে যায়।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুমন কুমার রায় বলেন, সব সরকারের আমলেই বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত। বর্তমান নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেও সবচেয়ে বেশি উপেক্ষিত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী। সংস্কার কমিশনে সংখ্যালঘুদের কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই। রংপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় হামলা হলেও সরকারের কোনো প্রতিক্রিয়া আসে না, এমনকি দুঃখও প্রকাশ করে না।
গত বছরের ৫ আগস্টের পর সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের প্রেক্ষিতে প্রতিবাদ শুরু হলে তা দমন করতেই ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে উল্লেখ করে সুমন কুমার দাবি করেন, বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সনাতনী সম্প্রদায়ের বাক্স্বাধীনতা বন্ধ করতে, নেতৃত্ব দমন করতে এসব করা হচ্ছে।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জে কে পাল। সঞ্চালনায় ছিলেন এইচআরসিবিএমের বাংলাদেশ চ্যাপটারের আহ্বায়ক লাকি বাছাড়। সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরশেদ ও মো. গোলাম মোস্তফা।