প্রথম আলো:

দর্শকদের প্রত্যাশা কি বেড়ে গেল?

তানজিম সাইয়ারা তটিনী : হ্যাঁ, সেটা বুঝতে পারছি। এখন আমার কোরবানির ঈদের কাজ নিয়ে ভয় লাগছে। কারণ, এবারের প্রতিটি কনটেন্ট এত পছন্দ করেছেন দর্শক, এত ভালো ফিডব্যাক পাওয়ার কারণে প্রত্যাশা অনেক বেড়ে যায়। আবার এটা ধরে রাখাটাও কঠিন। সব সময় তো একই মানের ভালো কাজের চিত্রনাট্য হাতে আসে না। চেষ্টা করছি এর মধ্যে থেকেই সেরা কাজগুলো বাছাই করতে।

প্রথম আলো :

ঈদে আপনার পছন্দের চরিত্র ছিল কোনটা?

তানজিম সাইয়ারা তটিনী : দর্শকেরা ‘তোমাদের গল্প’, ‘মন দিওয়ানা’, ‘হৃদয়ের এককোণে’, ‘প্রেম ভাই’ কাজগুলোর প্রশংসা করছেন। একেকটা একেক ধরনের কাজ। সব কটির চিত্রনাট্য পছন্দের জন্যই করা। তবে দর্শকপ্রিয়তার কথা যদি বলি, তাহলে মোস্তফা কামাল রাজ ভাইয়ের ‘তোমাদের গল্প’ নাটকটি দর্শক বেশি পছন্দ করেছেন। পারিবারিক গল্পের নাটক। এটার শুটিং করার সময়ে মনেই হয়নি চরিত্রগুলো আমার আপন চাচা বা ভাই না। তখন মনে হয়েছিল, হিট না হলেও এই কনটেন্ট দর্শক পছন্দ করবেন। এখানে আমার চরিত্রের নাম ছিল শালু। সুহাসিনীর পরে শালুর প্রতি ভালোবাসা জন্মেছে। চরিত্রটি দিয়ে দর্শক আমাকে বেশি পছন্দ করছেন। এই চরিত্রটি মনে রাখার মতো। এর আগে ‘পথে হলো দেরি’ কনটেন্টটি জনপ্রিয়তা পেলেও সেই চরিত্রটি দর্শকদের মনে এতটা জায়গা পায়নি। বুঝতে পারছি, শালুকে পছন্দ করছেন দর্শক।

তানজিম সাইয়ারা তটিনী.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তরুণ গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে মো. রাব্বি মিয়া (২০) নামের এক তরুণ আহত হওয়ার ঘটনায় ১০ জনের নামে মামলা হয়েছে। গুলির ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার সকালে আহত রাব্বির মা জোহরা খাতুন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

গুলিবিদ্ধ রাব্বি উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামের হেলাল মিয়ার ছেলে। বর্তমানে রাব্বি পরিবারের সঙ্গে নবীনগর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মাঝিকাড়া এলাকায় ভাড়া থাকেন। তিনি পেশায় একজন অ্যাম্বুলেন্সচালক।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন নবীনগর উপজেলার টিঅ্যান্ডটিপাড়ার বাসিন্দা মো. আতাউর রহমান (৪৮), জাহিদ মিয়া (১৯), জুবায়েদ মুন্সী (১৯), মো. আহসান উল্লাহ (৪৪) ও মো. জসিম উদ্দিন (৪৪)। তাঁরা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. খুরশিদ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ নভেম্বর টিঅ্যান্ডটিপাড়ার বাসিন্দা মো. সানি (২০) ও একই পাড়ার মো. জিসানের মধ্যে কথা–কাটাকাটি ও তর্ক হয়। একপর্যায়ে ঝগড়ার সময় সানি জিসানকে ছুরিকাঘাত করেন। এ ঘটনার জেরে উভয় পক্ষ সালিস ডাকে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে নবীনগর পৌর এলাকার কালীবাড়ি মোড়ের জমিদারবাড়ির মাঠে সানিসহ তাঁর লোকজন ও জিসানসহ তাঁর লোকজন সালিসে বসেন।

গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত রাব্বি সানির পক্ষের সমর্থক। তবে সালিসের রায়ে সানি ও তাঁর লোকজন সম্মত হননি। সালিস ছেড়ে ওঠার সময় জিসানসহ তাঁর লোকজন সানির লোকজনের ওপর হামলা চালান। একপর্যায়ে জিসান বন্দুক বের করে গুলি করেন। এতে রাব্বি গুলিবিদ্ধ হন এবং প্রতিপক্ষের হামলায় সানি আহত হন।

গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন রাব্বিকে উদ্ধার করে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, তরুণের বুকের বাঁ পাশের পাঁজরে গুলি লেগেছে।

নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল মধ্যরাত পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গুলির ঘটনার সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ