অবৈধভাবে তৈরি হচ্ছে মানহীন চিপস-চানাচুর-আইসক্রিম
Published: 17th, April 2025 GMT
লক্ষ্মীপুরে অবৈধভাবে মানহীন খাদ্যপণ্য ও নোংরা-অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে আইসক্রিম তৈরির দায়ে দুইটি কারখানা মালিককে তিন লাখ টাকা জরিমানা দিতে হয়েছে।
এরমধ্যে মতিন ফুড প্রডাক্টসের মালিক আব্দুল মতিনকে দুই লাখ টাকা ও নিউ পপুলার আইসক্রিমের মালিক মো. নুরনবীকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানে কারখানাটি সিলগালা করে ৪৮০ কেজি চানাচুর, চিপস ও ঝালমুড়ি ধ্বংস করা হয়েছে।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে জেলা শহরের বাড়বাড়ি ও সদর উপজেলার দিঘলী ইউনিয়নের জামিরতলি এলাকায় পৃথক অভিযান চালানো হয়। জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) তথ্যের ভিত্তিতে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় জেলা নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক সুমধু চক্রবর্তী ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান উপস্থিত ছিলেন।
অভিযান সংশ্লিষ্টরা জানান, কয়েক বছর ধরে আবদুল মতিন অবৈধভাবে কারখানা দিয়ে ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য মিশিয়ে মেয়াদহীন চিপস, ঝালমুড়ি ও চানাচুর তৈরি করে বাজারজাত করে আসছে। তার প্রতিষ্ঠানের বৈধ কাগজপত্র নেই। নির্দিষ্ট মেয়াদহীন এসব খাবার মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ায়। এনএসআই’র তথ্যমতে অভিযান পারিচালনা করে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। এতে প্রতিষ্ঠানের মালিক মতিনের দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ সময় ১৫০ কেজি খোলা চানাচুর, ১৫০ কেজি খোলা চিপস ও ১৮০ কেজি খোলা ঝালমুড়ি ধ্বংস করা হয়।
এদিকে রাসায়নিক দ্রব্য, পৌরসভার লাইনের পানি দিয়ে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে এবং বিএসটিআই অনুমোদন ছাড়াই আইসক্রিম তৈরি করে আসছে নিউ পপুলার নামে একটি প্রতিষ্ঠান। এতে যৌথ অভিযানে পপুলারের মালিক মো.
ঢাকা/লিটন/টিপু
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মহাকাশে পাঠানো হলো আইসক্রিম
স্পেসএক্সের ফ্যালকন–৯ রকেটে করে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনের (আইএসএস) উদ্দেশে রওনা হয়েছে নর্থরপ গ্রুম্যান কোম্পানির কার্গো মহাকাশযান ‘সিগনাস এক্সএল’। ১৪ সেপ্টেম্বর ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল স্পেস ফোর্স স্টেশন থেকে এটি উৎক্ষেপণ করা হয়। এই মিশনে মহাকাশযানে ৫ টনের বেশি গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহ পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে যন্ত্রাংশ, নাইট্রোজেন, অক্সিজেনসহ বিভিন্ন গবেষণাসামগ্রী। মহাকাশচারীদের জন্য বিশেষ খাবার হিসেবে ক্ল্যামস, ওয়েস্টার্স, স্মোকড স্যামন, রোস্টেড টার্কি ও আইসক্রিম পাঠানো হয়েছে।
এই মিশন সিগনাস এক্সএলের প্রথম যাত্রা। পুরোনো সংস্করণের সিগনাসের চেয়ে প্রায় ১.৬ মিটার লম্বা ও ২ হাজার ৬০০ পাউন্ড বেশি মালামাল বহন করতে সক্ষম। ১৭ সেপ্টেম্বর সিগনাস এক্সএল মহাকাশ স্টেশনের রোবটিক বাহুর কাছে পৌঁছাবে। কার্গো মহাকাশযানটিতে অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, খাদ্য সরবরাহসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ রয়েছে। এর মধ্যে স্টেশনের ইউরিন প্রসেসর ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সিস্টেমের প্রতিস্থাপন যন্ত্রাংশও অন্তর্ভুক্ত।
সিগনাস এক্সএল আগের রকেটের চেয়ে প্রায় ১.৬ মিটার লম্বা। নাসা ও নর্থরপ গ্রুম্যান এই অভিযানকে আইএসএসের সরবরাহ ক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে। মহাকাশচারীদের দীর্ঘমেয়াদি মিশনে টিকে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামসহ গবেষণার উপকরণ পাঠানোর ক্ষেত্রে দ্রুততার সঙ্গে কাজের অংশ হিসেবে এই মিশন পরিচালনা করা হচ্ছে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া