লক্ষ্মীপুরে অবৈধভাবে মানহীন খাদ্যপণ্য ও নোংরা-অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে আইসক্রিম তৈরির দায়ে দুইটি কারখানা মালিককে তিন লাখ টাকা জরিমানা দিতে হয়েছে। 

এরমধ্যে মতিন ফুড প্রডাক্টসের মালিক আব্দুল মতিনকে দুই লাখ টাকা ও নিউ পপুলার আইসক্রিমের মালিক মো. নুরনবীকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। 

অভিযানে কারখানাটি সিলগালা করে ৪৮০ কেজি চানাচুর, চিপস ও ঝালমুড়ি ধ্বংস করা হয়েছে। 

বুধবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে জেলা শহরের বাড়বাড়ি ও সদর উপজেলার দিঘলী ইউনিয়নের জামিরতলি এলাকায় পৃথক অভিযান চালানো হয়। জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) তথ্যের ভিত্তিতে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় জেলা নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক সুমধু চক্রবর্তী ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান সংশ্লিষ্টরা জানান, কয়েক বছর ধরে আবদুল মতিন অবৈধভাবে কারখানা দিয়ে ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য মিশিয়ে মেয়াদহীন চিপস, ঝালমুড়ি ও চানাচুর তৈরি করে বাজারজাত করে আসছে। তার প্রতিষ্ঠানের বৈধ কাগজপত্র নেই। নির্দিষ্ট মেয়াদহীন এসব খাবার মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ায়। এনএসআই’র তথ্যমতে অভিযান পারিচালনা করে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। এতে প্রতিষ্ঠানের মালিক মতিনের দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ সময় ১৫০ কেজি খোলা চানাচুর, ১৫০ কেজি খোলা চিপস ও ১৮০ কেজি খোলা ঝালমুড়ি ধ্বংস করা হয়। 

এদিকে রাসায়নিক দ্রব্য, পৌরসভার লাইনের পানি দিয়ে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে এবং বিএসটিআই অনুমোদন ছাড়াই আইসক্রিম তৈরি করে আসছে নিউ পপুলার নামে একটি প্রতিষ্ঠান। এতে যৌথ অভিযানে পপুলারের মালিক মো.

নুরনবীকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

ঢাকা/লিটন/টিপু 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আইসক র ম

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতের ৬ প্রতিষ্ঠানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

ইরান থেকে তেল ও পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য কেনার অভিযোগে ৬টি ভারতীয় কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, বিশ্বজুড়ে মোট ২০টি প্রতিষ্ঠানকে এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে, যাদের মধ্যে ভারতের ৬টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা এসব প্রতিষ্ঠান ইরানের পেট্রোলিয়াম পণ্য কেনাবেচা ও বিপণনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ লেনদেনে ইচ্ছাকৃতভাবে অংশ নিয়েছে। এতে তারা যুক্তরাষ্ট্রের ইরানবিষয়ক নিষেধাজ্ঞা ভেঙেছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, যেসব ভারতীয় কোম্পানির ওপর মার্কিন সরকার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সেগুলো হচ্ছে, অ্যালকেমিক্যাল সলিউশনস, গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল কেমিক্যালস, জুপিটার ডাই কেম, রমনিকলাল এস গোসালিয়া অ্যান্ড কোম্পানি, পার্সিসটেন্ট পেট্রোকেম ও কাঞ্চন পলিমার্স।

আরো পড়ুন:

পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্নের ঘোষণা ট্রাম্পের

ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের

 

নিষেধাজ্ঞার ফলে এসব প্রতিষ্ঠানের যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সম্পদ জব্দ করা হবে এবং মার্কিন নাগরিক ও কোম্পানিগুলো তাদের সঙ্গে ব্যবসা করতে পারবে না। এদের অধীন যেসব সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ৫০ শতাংশ বা তার বেশি মালিকানা রয়েছে, তারাও নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে।

ট্রাম্প প্রশাসন বলেছে, এই পদক্ষেপের লক্ষ্য ইরানের ‘ছায়া নৌবহর’ ও বিশ্বব্যাপী মধ্যস্বত্বভোগীদের দমন করা, যারা ইরানি তেল ও পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য পরিবহনে সহায়তা করে থাকে।

যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ইরান থেকে এই ধরনের পণ্য কেনার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো তেহরানকে অতিরিক্ত তহবিল সংগ্রহের সুযোগ করে দিচ্ছে। আর এই অর্থ ব্যবহার করা হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে হিজবুল্লাহ, হুথি বিদ্রোহী, হামাসসহ অন্যান্য জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর সহায়তায় এবং যুদ্ধপরিস্থিতি উসকে দিতে। মার্কিন সরকারের মতে, ইরান সরকারের এই নীতিমালার কারণে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতা ছড়িয়ে পড়ছে এবং এতে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ছে।

ট্রাম্প প্রশাসন ভারতীয় কোম্পানি ছাড়াও তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, চীন ও ইন্দোনেশিয়ার কিছু প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ