তৃতীয় দিনের মতো রাজপথে সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা
Published: 17th, April 2025 GMT
সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা তৃতীয় দিনের মতো রাজপথে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছে। বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া নয়টায় শহরের আলফাত স্কয়ারে এসে অবস্থান নিয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করতে থাকে তারা।
শিক্ষার্থীরা জানায়, ১৫ কিলোমিটার দূরে সুনামগঞ্জ শহরে এসে ক্লিনিক্যাল ক্লাস করার জন্য কোন পরিবহনের ব্যবস্থা নেই তাদের। মেডিকেল থেকে বের হবার সময় হয়ে গেছে অনেকের। অথচ ক্লিনিক্যাল ক্লাসের ব্যবস্থা হচ্ছে না। হাসপাতালের ও মেডিকেলের বিশাল কমপ্লেক্সের কাজ প্রায় শেষ। সামান্য কাজের জন্য বার বার সময় চাওয়া হয়। যা তাদের জন্য ক্ষতিকর।
তারা আরও জানায়, সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের অবস্থাও ভালে নয়। এই অবস্থায় নিরূপায় হয়ে বিপন্ন শিক্ষাজীবন রক্ষায় আন্দোলনে নেমেছে তারা। ওয়ার্ড ও হাসপাতাল চালু, পরিবহন ব্যবস্থাকরণ এবং সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের প্রয়োজনীয় উন্নয়ন না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস বর্জন ও আন্দোলন চলবে তাদের।
বিক্ষোভ কর্মসূচীতে শিক্ষার্থী সাকিব, পৃথিরাজ, নুরনিহার প্রমুখ বক্তব্য দেন। এর আগে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা, স্বাস্থ্যসেবা সচিব বরাবরে স্মারকলিপি দেয় তারা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ন মগঞ জ স ন মগঞ জ অবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
ঋণ নেওয়ার আগে যে ১০টি বিষয় অবশ্যই জানা উচিত
নানা কারণে আপনার ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। অনেক সময় মানুষ ব্যক্তিগত ঋণ, গৃহঋণ নেয়। আবার গাড়ি কেনার জন্যও অনেকে ঋণ নেন। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেও ঋণ নেওয়া হয়।
কিন্তু অনেকেই ঋণের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু মৌলিক শব্দ সম্পর্কে জানেন না। ব্যাংকের কর্মকর্তারা যখন এসব শব্দ বলেন, তখন অনেক কিছুই বোঝেন না ঋণ নিতে ইচ্ছুক গ্রাহকেরা। ফলে নিয়মকানুন না জেনেই ঋণ নেন। এতে নানা অপ্রত্যাশিত ঝামেলা তৈরি হয়। তাই ঋণ নেওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বোঝা খুব দরকার।
১. আসল টাকা (প্রিন্সিপাল)
আপনি যে পরিমাণ টাকা ঋণ নিচ্ছেন, সেটিই আসল। এর ওপরই সুদ ধরা হয়। কিস্তি পরিশোধের সঙ্গে আসল ধীরে ধীরে কমতে থাকে।
২. সুদের হার (ইন্টারেস্ট রেট)
ঋণ নেওয়ার আগে সবচেয়ে ভাবতে হয় সুদের হার নিয়ে। সুদের হার বেশি হলে খরচ বেড়ে যায়। ঋণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সুদের হার। এটি স্থিরও হতে পারে, আবার বাজারদরের ওপর নির্ভর করে বাড়তে-কমতেও পারে।
৩. মাসিক কিস্তি (ইএমআই)
ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ বাবদ প্রতি মাসে যে নির্দিষ্ট টাকা আপনাকে দিতে হবে। সেটি হলো ইএমআই বা ঋণের কিস্তি।
৪. ঋণের মেয়াদ
কত বছরের মধ্যে ঋণ শোধ করতে হবে, সেটিই হলো ঋণের মেয়াদ। মেয়াদ বেশি হলে কিস্তি ছোট হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা বেড়ে যায়। ছোট মেয়াদে কিস্তি বড় হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা কমে।
৫. অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)
শুধু সুদ ও আসল নয়, বরং ঋণের সব খরচ (যেমন ফি, চার্জ) মিলিয়ে আসল ব্যয় কত হবে, তার হিসাব হলো অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)। এটিই প্রকৃত খরচ বোঝায়।
৬. আগাম পরিশোধ (প্রিপেমেন্ট)
ঋণের বোঝা কমাতে অনেকে ঋণের সুদ ও আসলের টাকা আগেই শোধ করে দিতে চান। এতে সুদের খরচ কমে যায়।
৭. প্রসেসিং ফি
আপনি ঋণের জন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আবেদন করলেন। কিন্তু ঋণ আবেদন মঞ্জুর থেকে শুরু করে ছাড় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কিছু মাশুল দিতে হয়। এটিই প্রসেসিং ফি। এটি কখনো ঋণের টাকা থেকে কেটে নেওয়া হয়, আবার কখনো আলাদা দিতে হয়।
৮. স্থগিতকাল (মোরাটোরিয়াম)
বিশেষ পরিস্থিতিতে কিছুদিনের জন্য কিস্তি বন্ধ রাখার সুযোগকেই বলে স্থগিতকাল। তবে এই সময়েও সুদ জমতে থাকে। অনেক সময় ঋণ পরিশোধের জন্য বিশেষ কিস্তি ভাগও করে দেওয়া হয়।
৯. জামানত (কোলেটারাল)
ঋণের নিরাপত্তা হিসেবে আপনার সম্পদ (যেমন বাড়ি, সোনা, জমি) ব্যাংকে বন্ধক রাখা হয়। কিস্তি না দিলে ব্যাংক ওই সম্পদ বিক্রি করে টাকা তুলে নেয়।
১০. লোন-টু-ভ্যালু রেশিও
আপনি যত টাকা ঋণ নিচ্ছেন আর জামানতের মূল্য কত—এই অনুপাতকে বলে লোন টু ভ্যালু রেশিও (এলটিভি)। এর অনুপাত যত কম হয়, ব্যাংকের ঝুঁকি তত কম।