ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আমীনের নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ করেছে নতুন রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আ-আম জনতা পার্টি। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার বনানীতে একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দলটি আত্মপ্রকাশ করে।

আত্মপ্রকাশকালে দলের ঘোষণাপত্র পাঠ করেন নতুন এই দলের আহ্বায়ক মোহাম্মদ রফিকুল আমীন। এ সময় তিনি দলটির পক্ষ থেকে ৯ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন। দলের সদস্যসচিবের দায়িত্ব পেয়েছেন গণ অধিকার পরিষদ থেকে পদত্যাগ করে আসা ফাতিমা তাসনীম।  ২৯৭ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করেছে এই দল।

আত্মপ্রকাশকালে রফিকুল আমীন বলেন, 'বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করা, সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার মাধ্যমে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা এবং বাংলাদেশের সাধারণ জনগণকে রাজনৈতিকভাবে সচেতন করে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশের আপামর জনতা 'বাংলাদেশ আ-আম জনতা পার্টি (বিএজেপি)' নামে একটি নতুন গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেছে।'

বাংলাদেশ আ-আম জনতা পার্টির স্লোগান হলো, 'শিক্ষা-সমতা সু-বিচার যেখানে, আ-আম জনতা হাঁটবে সেখানে'।

বিএজিপির এই আহ্বায়ক বলেন, ' মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই ২৪ এর গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ, প্রতিরক্ষাব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ ও সার্বভৌমত্ব বজায় রাখা, আইনের সু-শাসন, সবার জন্য শিক্ষা, দুর্নীতিমুক্ত প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা, সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ, জেন্ডার সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে আয় বৈষম্য নিরসন ও সামাজিক সুরক্ষা, ধর্মীয় সংখ্যালঘু, অনুন্নত সম্প্রদায় এবং অনগ্রসর গোষ্ঠীর প্রতি বিশেষ দৃষ্টি প্রদান করা হবে বাংলাদেশ আ-আম জনতা পার্টির মূল ভিত্তি। '

রফিকুল আমীন বলেন, 'গ্রামীণ জীবনভিত্তিক উন্নয়ন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের মাধ্যমে পল্লী উন্নয়ন কর্মসূচিতে অগ্রাধিকার প্রদান এবং খাদ্য, বস্ত্র, স্বাস্থ্য, বাসস্থান ও শিক্ষার চাহিদা পূরণে এ ধরনের কর্মসূচির বাস্তবায়নে বাংলাদেশ আ-আম জনতা পার্টি সক্রিয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকবে।’

স্বাধীন ও স্বয়ংসম্পূর্ণ বিচার বিভাগের জন্য নির্বাহী বিভাগ থেকে পৃথককরণ, প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো ঢেলে সাজানো ও সকল প্রকার প্রভাবমুক্ত বিচার কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে বাংলাদেশ আ-আম জনতা পার্টি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকবে বলেও ঘোষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জনতার দলের সদস্যসচিব আজম খান, এবি পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান কর্নেল (অব) দিদারুল আলম, নিরাপদ সড়ক চাই-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চনসহ বিভিন্ন ব্যক্তি  উপস্থিত ছিলেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

সুদানে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী হতাহতের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার শোক

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের অতর্কিত ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীদের হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

প্রধান উপদেষ্টা শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, “শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালনের সময় আমাদের ছয়জন বীর শান্তিরক্ষীর শাহাদাত বরণ এবং আরো আটজনের আহত হওয়ার সংবাদে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের বিপুল অবদান আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত; বীরদের এই আত্মত্যাগ একদিকে জাতির গৌরব, অন্যদিকে গভীর বেদনার।”

আরো পড়ুন:

সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত: আইএসপিআর

ঢামেক হাসপাতালে নিরাপত্তা জোরদার

তিনি নিহত শান্তিরক্ষীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। একই সঙ্গে আহত শান্তিরক্ষীদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আহত শান্তিরক্ষীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিত করতে  জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইতিমধ্যেই জাতিসংঘের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। এই দুঃসময়ে সরকার শান্তিরক্ষীদের পরিবারগুলোর পাশে থাকবে।”

বিবৃতিতে তিনি এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা আন্তর্জাতিক শান্তি ও মানবতার বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধ।”

তিনি জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা আরও জোরদারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।

নিহত শান্তিরক্ষীদের মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা এবং আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ চালিয়ে যাবে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ