Samakal:
2025-12-13@19:07:18 GMT

ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে ১৭৬ ইটভাটা

Published: 17th, April 2025 GMT

ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে ১৭৬ ইটভাটা

দিনাজপুরে লোকালয়ে গড়ে উঠেছে অসংখ্য ইটভাটা। পরিবেশ অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসনসহ কোনো দপ্তরেরই ছাড়পত্র নেননি মালিকরা। ভাটাগুলো বছরের পর বছর ধরে পরিবেশ দূষিত করে চলছে। এর প্রভাবে আশপাশের কৃষিজমির ফলনও কমছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সদর উপজেলার শেখপুরা ইউনিয়নের পূর্ব রামনগর এলাকার এমবি ব্রিকসের চারপাশে বসতবাড়ি, আবাদি জমি ও লিচু বাগান। আধা কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে বিদ্যালয়। ইটভাটার কালো ধোঁয়ায় ক্ষতি হচ্ছে ফসলের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, ইটভাটাটি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও শেখপুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলামের। তিনি আত্মগোপনে থাকলেও তাঁর বাহিনী রয়ে গেছে। তাদের দাপট কমেনি। এ কারণে কৃষকের ক্ষতি হলেও মুখ খোলার সাহস নেই কারও। 
শুধু এই ইটভাটা নয়, দিনাজপুরের ২৪২টি ইটভাটার মধ্যে ১৭৬টিই অবৈধ। এসব ইটভাটায় নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। এর মধ্যে সদর উপজেলাতে ১১টি, পার্বতীপুরে ৩২টি, কাহারোলে ৫টি, বীরগঞ্জে ২১টি, চিরিরবন্দরে ২৯টি, খানসামায় ৭টি, বোচাগঞ্জে ১৩টি, বিরামপুরে ৬টি, ঘোড়াঘাটে ৬টি, ফুলবাড়ীতে ১১টি, বিরলে ১৩টি, নবাবগঞ্জে ২১টি, হাকিমপুরে ১টি অবৈধ ইটভাটা রয়েছে। 
এদিকে দেরিতে হলেও দিনাজপুরে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। গত চার মাসে ১৬টি ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করে ৫২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ৮ এপ্রিল এক দিনেই সদর উপজেলার এসআরবি ব্রিকস, চিরিরবন্দরের এবি ব্রিকস, আরএস ব্রিকস, নিউ আরএস ব্রিকস, এসকে ব্রিকস, পার্বতীপুরের এসএইচবি ব্রিকস, এসআরবি-২ ব্রিকস, এমএসবি ব্রিকসে অভিযান চালিয়ে ৪৮ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। পরের দিন নবাবগঞ্জের হরিপুর এলাকায় এমএস ব্রিকসকে ১ লাখ ও এসএনএম ব্রিকসকে ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। 
এর আগে গত ১০ মার্চ হাকিমপুরের মেসার্স আইপি ব্রিকসকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে ইটভাটার আগুন নিভিয়ে ও চুল্লিসহ চিমনি ভেঙে দেওয়া হয়। ৯ মার্চ চিরিরবন্দরের মেসার্স আরএ ব্রিকসের এবং ৭ মার্চ নবাবগঞ্জের মেসার্স ডব্লিউআরএস ব্রিকসের চুল্লি ও চিমনি ভেঙে উৎপাদন কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি চিরিরবন্দরের আরকে ব্রিকস ও এমআর ব্রিকসে অভিযান চালিয়ে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ৪ ফেব্রুয়ারি বিরলে এইচআরবি ব্রিকসকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। 
জরিমানার পাশাপাশি এসব ইটভাটার আগুন নিভিয়ে চুল্লি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তর, উপজেলা প্রশাসন ও সহকারী কমিশনার (ভূমি)। সহযোগিতা করেন সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‍্যাব, আনসারসহ সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। 
দিনাজপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মলিন মিয়া জানান, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া কেউ ইট উৎপাদন করতে পারেন না। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি অবৈধ ইটভাটায় পর্যায়ক্রমে অভিযান চালানো হয়েছে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইটভ ট সদর উপজ ল ব র কসক ইটভ ট র

এছাড়াও পড়ুন:

সুদানে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী হতাহতের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার শোক

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের অতর্কিত ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীদের হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

প্রধান উপদেষ্টা শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, “শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালনের সময় আমাদের ছয়জন বীর শান্তিরক্ষীর শাহাদাত বরণ এবং আরো আটজনের আহত হওয়ার সংবাদে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের বিপুল অবদান আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত; বীরদের এই আত্মত্যাগ একদিকে জাতির গৌরব, অন্যদিকে গভীর বেদনার।”

আরো পড়ুন:

সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত: আইএসপিআর

ঢামেক হাসপাতালে নিরাপত্তা জোরদার

তিনি নিহত শান্তিরক্ষীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। একই সঙ্গে আহত শান্তিরক্ষীদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আহত শান্তিরক্ষীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিত করতে  জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইতিমধ্যেই জাতিসংঘের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। এই দুঃসময়ে সরকার শান্তিরক্ষীদের পরিবারগুলোর পাশে থাকবে।”

বিবৃতিতে তিনি এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা আন্তর্জাতিক শান্তি ও মানবতার বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধ।”

তিনি জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা আরও জোরদারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।

নিহত শান্তিরক্ষীদের মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা এবং আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ চালিয়ে যাবে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ