রাজধানীতে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ‘ক্যাশিয়ার’সহ গ্রেপ্তার ২
Published: 18th, April 2025 GMT
রাজধানীর গুলশান থেকে তেজগাঁও থানা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক মোশাররফ হোসেন ওরফে মিনতি মোশাররফকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেপ্তার এই ব্যক্তি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ‘ক্যাশিয়ার’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। এদিকে ভাটারায় প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ভীতি প্রদর্শনের ঘটনায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, ভাটারায় প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ভীতি প্রদর্শনের আলোচিত ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত আলিনুর পাভেলকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবির গুলশান বিভাগ। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
ডিবি-গুলশান বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ভাটারার জোয়ার সাহারা খাঁ পাড়া এলাকার বাসিন্দা রাশেদুজ্জামান রাজু। গত ১ এপ্রিল রাত ২টার দিকে পূর্ব শত্রুতার জেরে আলিনুর পাভেলসহ অজ্ঞাত ১০-১২ জনের একটি দল প্রাইভেটকারে রাজুর বাসার সামনে গিয়ে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করে। তারা দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে, বাসার গেটে লাথি দেয় এবং সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর করে। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা খুন-জখমের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভাটারা থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলাটি তদন্তকালে ডিবি-গুলশান বিভাগ বাড়ির আশপাশের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ পর্যালোচনা করে ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে দুষ্কৃতিকারীদের শনাক্ত করে।
এদিকে তেজগাঁও থানা পুলিশ জানায়, খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে বোমা বিস্ফোরণের মামলার আসামি মোশাররফ হোসেন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি শরীয়তপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন বলেও জানা গেছে।
এর আগে সোমবার খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় জড়িত অভিযোগে তেজগাঁও থেকে আওয়ামী লীগ নেতা সায়মনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ গ র প ত র কর
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’