একসময়ের ক্রীড়াঙ্গনের উজ্জ্বল নক্ষত্র ও জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত ক্রীড়াবিদ রনজিত দাসের আত্মজীবনী গ্রন্থ ‘ক্রীড়াঙ্গনের ফেলে আসা দিনগুলো’–এর প্রকাশনা অনুষ্ঠান সম্পন্ন হলো সিলেটে। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিকেল ৪টায় লেখকের নিজ বাসভবন করেরপাড়ার কমলাকান্ত ভবনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠান পরিণত হয় এক স্মৃতিময় মিলনমেলায়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক মো.

ইউসুফ আলী। স্বাগত বক্তব্য দেন পাক্ষিক ‘ক্রীড়াজগত’ পত্রিকার সম্পাদক দুলাল মাহমুদ।  

গ্রন্থ প্রকাশ উপলক্ষে শুভেচ্ছা বক্তব্যে স্মৃতিচারণ ও প্রশংসা করেন প্রাক্তন খেলোয়াড় এলহাম সুলতান, আজাদ স্পোর্টিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান, প্রাক্তন খেলোয়াড় প্রবীর রঞ্জন দাশ ভানু, ক্রীড়া সংগঠক নিষেন্দু দেব নাকু ও রতন মজুমদার, বিভাগীয় ক্রিকেট আম্পায়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আশরাফ আরমান, সিলেট জেলা ফুটবল খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির সভাপতি রুবেল আহমেদ নান্নুসহ আরও অনেকে।

পরিবারের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রনজিত দাসের সহধর্মিণী রেখা দাস, সন্তান রীমা দাস, রূপা দাস, রাজীব দাস এবং জামাতা নির্মল কান্তি তালুকদার ও কাজলকান্তি দাস।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন

এছাড়াও পড়ুন:

বিশ্ব ইজতেমা মার্চে 

প্রতিবছর জানুয়ারিতে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করা হলেও এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে তা পিছিয়ে মার্চ মাসে করা হবে।

সোমবার (৩ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ এ তথ্য জানিয়েছেন তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ বা শুরায়ী নেজামের শীর্ষ নেতা মুফতি কেফায়েতুল্লাহ আজহারি।

আরো পড়ুন:

শেষ হলো দাওয়াতে ইসলামীর ইজতেমা

দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা শুরু 

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিগত বছরগুলোতে দুই পর্বে বিশ্ব ইজতেমা হলেও আগামী বছর এক পর্বে হবে। মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারী বা সাদপন্থিদের ইজতেমা আয়োজনের সুযোগ থাকবে না। 

মুফতি কেফায়েতুল্লাহ বলেছেন, “তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ তাবলিগি এ মেহনতকে দ্বীনি মেহনত হিসেবে বিশ্বাস করে। দ্বীনি কাজের অংশ হিসেবে বর্তমান সরকারের অনুরোধ শ্রদ্ধার সঙ্গে গ্রহণ করে আমরা আগামী বিশ্ব ইজতেমা মার্চে আয়োজনের বিষয়ে একমত হয়েছি। আমরা বিশ্বাস করি, এ সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমে সরকারের প্রতি সহযোগিতার শামিল।”

বিশ্ব ইজতেমা সাদপন্থিরা আয়োজন করতে পারবেন কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “সরকারের কাছে তারা লিখিত দিয়ে গতবার শেষবারের মতো ইজতেমার আয়োজন করেছিল। সেক্ষেত্রে তাদের আর ইজতেমা করার সুযোগ নেই।”

বিশ্ব ইজতেমা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তিনটি অনুরোধ তুলে ধরা হয়।
১. আগামী ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের আগেই ইজতেমার দিন-তারিখ ঘোষণা এবং সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোকে অবহিত করা।

২. ইজতেমা যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানকে অস্থায়ীভাবে কেপিআই (কি পয়েন্ট ইন্সটলেশন) ঘোষণা।

৩. ইজতেমায় আসা বিদেশি অতিথিদের সময়মতো উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে ভিসা সহজীকরণ-সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করা।

ঢাকা/রায়হান/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ