কারাবন্দীদের জন্য ‘অন্তরঙ্গ’ সময় কাটানোর কক্ষ চালু করেছে ইতালি
Published: 19th, April 2025 GMT
কারাবন্দীদের জন্য প্রথমবারের মতো অন্তরঙ্গ সময় (যৌন মিলন) কাটানোর কক্ষ চালু করেছে ইতালি। গতকাল শুক্রবার ইতালির মধ্যবর্তী উমব্রিয়া অঞ্চলের একটি কারাগারে বিশেষভাবে প্রস্তুত কক্ষে এক বন্দীকে তাঁর নারী সঙ্গীর সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ দেওয়ার মধ্য দিয়ে এ প্রকল্প চালু করা হয়েছে।
ইতালির সাংবিধানিক আদালতের একটি আদেশের পর কোনো কোনো বন্দীর জন্য সঙ্গীর সঙ্গে একান্তে সাক্ষাতের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ওই আদেশে বলা হয়েছে, বন্দীদের কারাগারের বাইরে থেকে আসা সঙ্গীর সঙ্গে ‘অন্তরঙ্গ সাক্ষাতের’ অধিকার রয়েছে।
বন্দীদের অধিকারবিষয়ক উমব্রিয়ার ন্যায়পাল জিউসেপে কাফোরিও সংবাদ সংস্থা এএনএসএকে বলেন, ‘আমরা খুশি, কারণ সবকিছুই শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তবে যাঁরা সাক্ষাৎ করবেন, তাঁদের গোপনীয়তা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।’
টের্নি শহরের কারাগারে প্রথম অন্তরঙ্গ সাক্ষাতের ঘটনার পর জিউসেপে কাফোরি বলেন, ‘আমরা বলতে পারি, এটি একধরনের পরীক্ষামূলক উদ্যোগ ছিল। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আরও কিছু সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হবে।’
২০২৪ সালের জানুয়ারিতে প্রকাশিত আদালতের ওই আদেশে বলা হয়, প্রহরীদের নজরদারি ছাড়া বন্দীদের তাঁদের স্বামী-স্ত্রী বা দীর্ঘমেয়াদি সঙ্গীর সঙ্গে একান্তে দেখা করার অধিকার থাকা উচিত।
আদেশে উল্লেখ করা হয়, ইউরোপের অধিকাংশ দেশেই এ ধরনের দাম্পত্য সাক্ষাৎ অনুমোদিত। এ তালিকায় আছে ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেন, নেদারল্যান্ডস ও সুইডেনসহ অন্যান্য দেশ।
গত সপ্তাহে ইতালির বিচার মন্ত্রণালয় একটি নির্দেশনা জারি করে। সেখানে বলা হয়, যেসব বন্দীকে এমন অন্তরঙ্গ সাক্ষাতের অনুমতি দেওয়া হবে, তাদের একটি বিছানা ও টয়লেটসহ কক্ষে দুই ঘণ্টা পর্যন্ত সময় কাটানোর সুযোগ থাকতে হবে।
তবে নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, সেই কক্ষের দরজা বন্ধ করা যাবে না, যাতে প্রয়োজনে কারারক্ষীরা হস্তক্ষেপ করতে পারেন।
ইউরোপের যেসব দেশের কারাগারে ধারণক্ষমতার চেয়ে বন্দীর সংখ্যা অনেক বেশি, সেসব দেশের মধ্যে অন্যতম ইতালি। দেশটির কারাগারে সম্প্রতি আত্মহত্যার হারও বেড়েছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ইতালির কারাগারগুলোতে বর্তমানে ৬২ হাজারের বেশি বন্দী রয়েছে, যা সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতার চেয়ে ২১ শতাংশ বেশি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: বন দ দ র
এছাড়াও পড়ুন:
আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য
এশিয়া কাপে আজকের রাত যেন এক নাটকীয় অধ্যায়। ‘বি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে আবুধাবির মাঠে মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় শুরু হওয়া এই লড়াই কেবল দুই দলের নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের ভাগ্যও। কোটি টাইগার সমর্থক তাই আজ তাকিয়ে থাকবে টিভি পর্দায়। কারণ, এই ম্যাচেই নির্ধারিত হবে, বাংলাদেশ কি সুপার ফোরে উড়াল দেবে, নাকি গ্রুপ পর্বেই শেষ হবে স্বপ্নযাত্রা।
গ্রুপের সমীকরণ এখন টানটান নাটকের মতো। তিন ম্যাচে পূর্ণ ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে শ্রীলঙ্কা। সমান ৪ পয়েন্ট থাকলেও রান রেটে পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের ঝুলিতে আছে ২ পয়েন্ট; এক জয় ও এক হারের ফল। হংকং অবশ্য তিন ম্যাচেই হেরে অনেক আগেই বিদায় নিয়েছে।
আরো পড়ুন:
আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান
আরব আমিরাতকে ১৪৭ রানের টার্গেট দিল পাকিস্তান
এখন হিসাবটা এমন—
আফগানিস্তান হেরে গেলে বাংলাদেশ নিশ্চিতভাবেই সুপার ফোরে।
আফগানিস্তান জিতলে সমীকরণ জটিল হবে। তখন শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের পয়েন্ট সমান ৪ হলেও নেট রান রেটে স্পষ্ট এগিয়ে থাকবে আফগানরা (২.১৫০)। শ্রীলঙ্কার রান রেট ১.৫৪৬, আর বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে -০.২৭০-তে।
অর্থাৎ আফগানিস্তান যদি জেতে, তবে বাংলাদেশকে তাকিয়ে থাকতে হবে এক অসম্ভব সমীকরণের দিকে। সেটা হলো- লঙ্কানদের অন্তত ৭০ রানের ব্যবধানে হারতে হবে এবং তা করতে হবে ৫০ বল হাতে রেখে। অন্যথায় রান রেটের খেলায় পিছিয়েই থাকতে হবে টাইগারদের। তবে বৃষ্টি যদি হানা দেয় কিংবা ম্যাচ কোনো কারণে পরিত্যক্ত হয়, তাহলে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা দু’দলই নিশ্চিতভাবেই চলে যাবে সুপার ফোরে।
ম্যাচকে ঘিরে দুই শিবিরেই চাপ-উত্তেজনার আবহ। আফগানিস্তানের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার গুলবাদিন নাইব মনে করেন, চাপটা আসলে শ্রীলঙ্কার ওপরই বেশি, “আমরা এসব টুর্নামেন্ট খেলতে অভ্যস্ত, আমাদের কোনো চাপ নেই। শ্রীলঙ্কা ভালো দল ঠিকই, তবে তারাও চাপে থাকবে। আমার মনে হয় দারুণ একটা ম্যাচ হবে।”
অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার অলরাউন্ডার দাসুন শানাকা বাংলাদেশ প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “প্রতিটি ম্যাচই আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। হ্যাঁ, বাংলাদেশের সমর্থকরা আমাদের জয়ের জন্য অপেক্ষা করছে। আমরাও জয়ের লক্ষ্যেই মাঠে নামব।”
হংকংয়ের বিপক্ষে জিতলেও শ্রীলঙ্কাকে ঘাম ঝরাতে হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতা বলছে, আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়টা সহজ হবে না তাদের জন্যও। শেষ পর্যন্ত কারা হাসবে জয়ের হাসিতে, আর কোন সমীকরণে দাঁড়াবে বাংলাদেশের ভাগ্য; এই প্রশ্নের উত্তরই দেবে আজকের আবুধাবির রাত।
ঢাকা/আমিনুল