‘নিশানের ফাঁসি চাই’ স্লোগান দিয়ে ‘দাগি’ দেখলেন নিশোর ভক্তরা
Published: 19th, April 2025 GMT
এবারের ঈদে মুক্তি পেয়েছে আফরান নিশো অভিনীত সিনেমা ‘দাগি’। এসভিএফ আলফা আই এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেড ও চরকি প্রযোজিত সিনেমাটি দর্শকদের মাঝে সাড়া ফেলেছে। মুক্তির তিন সপ্তাহ পরও শিহাব শাহীন পরিচালিত এ সিনেমার বেশ কিছু শো যাচ্ছে হাউসফুল।
দেশের বাইরে অস্ট্রেলিয়াতেও দর্শকের উন্মাদনা চোখে পড়েছে। এবার ‘দাগি’র উন্মাদনায় এলাহি আয়োজন করে সিনেমা দেখলেন আফরান নিশোর শতাধিক ভক্ত। শোডাউন নিয়ে প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে সিনেমাটি দেখলেন তাঁরা।
শনিবার বিকেলে স্টার সিনেপ্লেক্সের এসকেএস টাওয়ার শাখায় এক শর বেশি নিশো–ভক্ত ‘দাগি’ সিনেমা দেখেন। এর আগে ‘দাগি’ সিনেমার ব্যানার হাতে ‘নিশানের ফাঁসি চাই’ স্লোগানে র্যালি নিয়ে এসকেএস টাওয়ারে প্রবেশ করেন তাঁরা। এ সময় তাঁদের পরনে ছিল ‘দাগি’ সিনেমার ‘৭৮৬’ লেখা সেই পোশাক।
আফরান নিশোর ভক্তদের এমন আয়োজনে উচ্ছ্বসিত ‘দাগি’ টিম। ভক্তদের উৎসাহ দিতে তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন ‘দাগি’ সিনেমার অনেকে।
বিষয়টি নিয়ে ‘দাগি’ সিনেমা প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আফরান নিশো বাংলাদেশের অন্যতম বড় তারকা। ঈদে তাঁর সিনেমা ‘‘দাগি’’ মুক্তি পেয়েছে। ভক্তদের উন্মাদনা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আয়োজনটা এমন হবে, সেটা ভাবিনি। গতকালই আমরা বিষয়টি জানতে পেরেছি। ফলে তাঁদের উৎসাহ দিতে আমরা এসেছি।’
শিহাব শাহীন পরিচালিত ‘দাগি’ সিনেমায় আফরান নিশোর বিপরীতে অভিনয় করেছেন তমা মির্জা। আরও অভিনয় করেছেন সুনেরাহ বিনতে কামাল, শহীদুজ্জামান সেলিম, গাজী রাকায়েত, মিলি বাশার, রাশেদ মামুন অপুসহ অনেকে।
আরও পড়ুন‘দাগি’ কতটা দাগ কাটতে পারল০৯ এপ্রিল ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আফর ন ন শ
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’