এবারের ঈদে মুক্তি পেয়েছে আফরান নিশো অভিনীত সিনেমা ‘দাগি’। এসভিএফ আলফা আই এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেড ও চরকি প্রযোজিত সিনেমাটি দর্শকদের মাঝে সাড়া ফেলেছে। মুক্তির তিন সপ্তাহ পরও শিহাব শাহীন পরিচালিত এ সিনেমার বেশ কিছু শো যাচ্ছে হাউসফুল।

দেশের বাইরে অস্ট্রেলিয়াতেও দর্শকের উন্মাদনা চোখে পড়েছে। এবার ‘দাগি’র উন্মাদনায় এলাহি আয়োজন করে সিনেমা দেখলেন আফরান নিশোর শতাধিক ভক্ত। শোডাউন নিয়ে প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে সিনেমাটি দেখলেন তাঁরা।
শনিবার বিকেলে স্টার সিনেপ্লেক্সের এসকেএস টাওয়ার শাখায় এক শর বেশি নিশো–ভক্ত ‘দাগি’ সিনেমা দেখেন। এর আগে ‘দাগি’ সিনেমার ব্যানার হাতে ‘নিশানের ফাঁসি চাই’ স্লোগানে র‍্যালি নিয়ে এসকেএস টাওয়ারে প্রবেশ করেন তাঁরা। এ সময় তাঁদের পরনে ছিল ‘দাগি’ সিনেমার ‘৭৮৬’ লেখা সেই পোশাক।

আফরান নিশোর ভক্তদের এমন আয়োজনে উচ্ছ্বসিত ‘দাগি’ টিম। ভক্তদের উৎসাহ দিতে তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন ‘দাগি’ সিনেমার অনেকে।
বিষয়টি নিয়ে ‘দাগি’ সিনেমা প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আফরান নিশো বাংলাদেশের অন্যতম বড় তারকা। ঈদে তাঁর সিনেমা ‘‘দাগি’’ মুক্তি পেয়েছে। ভক্তদের উন্মাদনা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আয়োজনটা এমন হবে, সেটা ভাবিনি। গতকালই আমরা বিষয়টি জানতে পেরেছি। ফলে তাঁদের উৎসাহ দিতে আমরা এসেছি।’

শিহাব শাহীন পরিচালিত ‘দাগি’ সিনেমায় আফরান নিশোর বিপরীতে অভিনয় করেছেন তমা মির্জা। আরও অভিনয় করেছেন সুনেরাহ বিনতে কামাল, শহীদুজ্জামান সেলিম, গাজী রাকায়েত, মিলি বাশার, রাশেদ মামুন অপুসহ অনেকে।

আরও পড়ুন‘দাগি’ কতটা দাগ কাটতে পারল০৯ এপ্রিল ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আফর ন ন শ

এছাড়াও পড়ুন:

চাকরি খেয়ে ফেলব, কারারক্ষীকে কারাবন্দী আ’লীগ নেতা

‘চাকরি খেয়ে ফেলব, দেখে নেব তোমাকে, চেন আমি কে?’ কারবন্দী কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজু (৪৯) মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে ২ কারারক্ষীকে এভাবে হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। 

জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে দেখতে যান তার কয়েকজন স্বজন। কারা নিয়মানুযায়ী সাক্ষাৎ কক্ষে বেঁধে দেওয়া সময়ে কথা শেষ করার কথা থাকলেও তিনি তার মানতে রাজি নন। তিনি দীর্ঘ সময় কথা বলতে চাইলে সাক্ষাৎ কক্ষে দায়িত্বরত মহিলা কারারক্ষী পপি রানী কারাবন্দী নেতার স্বজনদের সময়ের মধ্যে কথা শেষ করতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হন আওয়ামী লীগ নেতা সাজু। তখন তিনি বলেন, ‘এই আপনি কে? ডিস্টার্ব করছেন কেন? চিনেন আমাকে? চাকরি খেয়ে ফেলব।’

এ সময় সাক্ষাৎ কক্ষে সাজুর স্বজনরাও পপি রানীর সঙ্গেও আক্রমণাত্মক আচরণ করেন। পপি রানীকে নিরাপদ করতে সুমন নামের আরেকজন কারারক্ষী এগিয়ে এলে তাকে লাথি দিয়ে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন সাজু। উত্তেজনার একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত উপস্থিত হন প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি সাজুর স্বজনদের সাক্ষাৎ কক্ষ থেকে চলে যেতে বলেন। তারাও চলে যাওয়ার সময়ে কারারক্ষীদের গালিগালাজ করেন। 

এ ব্যাপারে কারারক্ষী পপি রানী  বলেন, ‘আমি ডিউটিরত অবস্থায় তিনি আমাকে প্রভাব দেখিয়ে চাকরি খাওয়ার হুমকি দেন ও গালিগালাজ করেন। আমি জেলার স্যারের কাছে বিচার প্রার্থনা করছি।’

প্রত্যক্ষদর্শী কারারক্ষী মো. সুমন বলেন, ‘আমরা তো ছোট পদে চাকরি করি, আমাদের নানান নির্যাতন সহ্য করতে হয়। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া আর কিছু বলতে পারব না।’

প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সাক্ষাৎ কক্ষের ভেতরে পুলিশ সদস্যকে গালিগালাজ করা হয়। পরে আমি গিয়ে পরিবেশ শান্ত করি।’ 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম কারাগারের জেলার এ জি মো. মামুদ বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। বন্দীরা আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলেও আমরা মানবিকতা প্রদর্শন করি। কেউ অতিরিক্ত কিছু করলে জেলের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উল্লেখ্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রংপুর শহরের সড়ক ও জনপথ কার্যালয়ের কাছ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও শিক্ষার্থী আশিক হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ