আঙুলের কাটা দাগে দুই শিশু হত্যারহস্য উদ্ঘাটন
Published: 19th, April 2025 GMT
গাজীপুরের টঙ্গীতে দুই ভাইবোন মালিহা আক্তার (৬) ও মো. আবদুল্লাহকে (৪) তাদের মা আলেয়া বেগম হত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। গত শুক্রবার বিকেলে ঘরে থাকা বঁটি দিয়ে তাদের কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তবে কেন বা কী কারণে আলেয়া সন্তানদের হত্যা করেছেন, সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়নি পুলিশ।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের টঙ্গী জোনের উপকমিশনার এনএম নাসির উদ্দিন বলেন, হত্যার সময় মায়ের হাত থেকে বাঁচার চেষ্টা করে দুই শিশু। এ সময় আলেয়ার দুটি আঙুলে দাগ পড়ে। এই সূত্র ধরে হত্যার রহস্য উন্মোচন হয়েছে।
টঙ্গীর পূর্ব আরিচপুরের রূপবানের টেক এলাকার আটতলা ভবনের তৃতীয় তলার একটি বাসা থেকে শুক্রবার দুই শিশুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত মালিহা ও আব্দুল্লাহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার তাতুয়াকান্দি গ্রামের আব্দুল বাতেন ও আলেয়া বেগম দম্পতির সন্তান। ঘটনার পর তাদের হেফাজতে নেয় পুলিশ।
টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি ফরিদুল ইসলাম বলেন, ওই ভবনের আশপাশে কয়েকটি সিসিটিভি ক্যামেরা আছে। এসব ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, শুক্রবার বিকেল থেকে সন্ধ্যার আগে-পরে তাদের ভাড়া বাসায় আলেয়া ছাড়া কেউ যাতায়াত করেননি। ঘটনার পর তিনি পাশের বাড়ি থেকে দুই দেবরকে ডেকে আনেন। তাঁর কথাবার্তা অসংলগ্ন হওয়ায় সন্ধ্যায় পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়। ওই সময় আলেয়ার হাতে কাটা দাগ দেখে পুলিশের সন্দেহ বাড়ে। এক পর্যায়ে মধ্যরাতে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেন। এ ঘটনায় আব্দুল বাতেন মামলা করেছেন।
আব্দুল বাতেন বলেন, ‘আমার স্ত্রীর একটু সমস্যা আছে। সে কাউ কাউ (ঝামেলা) পছন্দ করত না। ডাক্তার দেখানো হয়েছিল। সে মাইগ্রেনের সমস্যায় ভুগছিল। মানসিক সমস্যা আছে কিনা, এ বিষয়ে ডাক্তার কিছু বলতে পারেনি।’
জানা গেছে, আব্দুল বাতেনের তিন সন্তানের মধ্যে বড় মেয়ে ছিল নানাবাড়িতে। শুক্রবার দুপুরে বাসায় থাকা শিশুদের বাবা, মা ও দাদি একসঙ্গে খাবার খান। এর পর আলেয়া একটি কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। দাদি ওপর তলার ফ্ল্যাটে বেড়াতে যান এবং বাবা তাদের ঘরে রেখে বাইরে যান। কিছু সময় পর আলেয়ার চিৎকারে তাদের দাদি ওপর তলা থেকে নেমে আসেন। রক্তাক্ত দুই শিশুকে দেখে তিনি বাতেনকে খবর দেন। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: শ ক রব র
এছাড়াও পড়ুন:
সুদানে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী হতাহতের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার শোক
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের অতর্কিত ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীদের হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, “শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালনের সময় আমাদের ছয়জন বীর শান্তিরক্ষীর শাহাদাত বরণ এবং আরো আটজনের আহত হওয়ার সংবাদে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের বিপুল অবদান আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত; বীরদের এই আত্মত্যাগ একদিকে জাতির গৌরব, অন্যদিকে গভীর বেদনার।”
আরো পড়ুন:
সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত: আইএসপিআর
ঢামেক হাসপাতালে নিরাপত্তা জোরদার
তিনি নিহত শান্তিরক্ষীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। একই সঙ্গে আহত শান্তিরক্ষীদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আহত শান্তিরক্ষীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিত করতে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইতিমধ্যেই জাতিসংঘের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। এই দুঃসময়ে সরকার শান্তিরক্ষীদের পরিবারগুলোর পাশে থাকবে।”
বিবৃতিতে তিনি এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা আন্তর্জাতিক শান্তি ও মানবতার বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধ।”
তিনি জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা আরও জোরদারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।
নিহত শান্তিরক্ষীদের মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা এবং আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ চালিয়ে যাবে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল