Samakal:
2025-12-13@19:08:57 GMT

হাসপাতাল থেকে শিশু চুরি

Published: 20th, April 2025 GMT

হাসপাতাল থেকে শিশু চুরি

মাদারীপুরে জেলা হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড থেকে ছয় মাসের এক শিশু চুরি হয়েছে। শিশুটিকে নিয়ে ইজিবাইকে করে দ্রুত পালিয়ে যায় বোরকা পরা এক নারী; যা ধরা পড়েছে সিসিটিভি ফুটেজে। 

গতকাল শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের ষষ্ঠ তলার শিশু ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনা তদন্তে এরই মধ্যে থানা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশ মাঠে নেমেছে। 

চুরি হওয়া শিশু আব্দুর রহমানের বাবা সুমন মুন্সি সদর উপজেলার মহিষেরচর পাকা মসজিদ এলাকার বাসিন্দা।
স্বজনরা জানান, তিন দিন আগে অসুস্থ দুই বছরের ছোট মেয়ে জামিলাকে এ হাসপাতালের ষষ্ঠ তলার শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বড় মেয়েকে খাওয়াচ্ছিলেন মা সুমি আক্তার। এ সময় তাঁর ছয় মাসের শিশু রহমানকে গোলাপি রঙের বোরকা পরা এক নারী কোলে তুলে নেয়। আদর করার জন্য হাসপাতালের বারান্দায় নিয়ে যায়। এর পরই মায়ের চোখ ফাঁকি দিয়ে রহমানকে নিয়ে সটকে পড়ে সে। রহমানকে অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পাওয়া গেলে থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।

হাসপাতালের বাইরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, রহমানকে কোলে নিয়ে ইজিবাইকে করে হাসপাতাল ছেড়ে যাচ্ছে এক নারী। হাসপাতালে নিরাপত্তা না থাকায় এমন ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ স্বজনদের। রহমানকে উদ্ধার ও এ ঘটনার জন্য শাস্তি দাবি করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।

রহমানের মা সুমি আক্তার বলেন, ‘আমার আদরের সন্তানকে কোলে নিয়ে এভাবে ওই নারী পালিয়ে যাবে বুঝতে পারিনি। চোখের পলকেই এ ঘটনা ঘটেছে। আমি আমার সন্তানকে ফেরত চাই।’ 

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) চাতক চাকমা বলেন, হাসপাতাল থেকে এক শিশু চুরির ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ হাতে এসেছে। এরই মধ্যে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এই চক্রে যে বা যারাই জড়িত থাকুক, সবার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে কথা বলতে রাজি হয়নি সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা নুরুল আমিন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

সবার নজরের বাইরে থাকা চৈতী দেশের জন্য আনল স্বর্ণপদক

একটু বড় হওয়ার পর মেয়েকে দেখে চিন্তায় পড়ে যান মা–বাবা। অন্য শিশুদের মতো বাড়ছে না সে। হাত–পা ছোট, উচ্চতাও থমকে গেছে। পরে বুঝতে পারেন—চৈতী বামন।

যে মেয়েকে নিয়ে একসময় দুশ্চিন্তার পাহাড়ে আটকা পড়েছিল পরিবার, আজ সেই চৈতীই আনন্দের আলো ছড়াচ্ছে। দেশের জন্য প্রথমবারের মতো এশিয়ান ইয়ুথ প্যারা গেমসে স্বর্ণপদক এনে দিয়েছে চৈতী রানী দেব।

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভূনবীর গ্রামের শিলু রানী দেব ও সত্য দেবের মেয়ে চৈতীর বয়স ১৩ বছর। উচ্চতা মাত্র ৩ ফুট ৭ ইঞ্চি। কিন্তু তার লক্ষ্য নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া । সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে চলমান এশিয়ান ইয়ুথ প্যারা গেমস ২০২৫–এ বর্শা নিক্ষেপ ও ১০০ মিটার দৌড়ে সে জিতে নিয়েছে দুটি স্বর্ণপদক। ৭ ডিসেম্বর এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে, চলবে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

চৈতীর প্রতিভা আছে। অনুশীলনে সে খুব আন্তরিক। সে কিছু করতে চায়। আশা করছি, ওকে দিয়ে একটা ভালো ফলাফল পাবমেহেদী হাসান, বিকেএসপির প্রধান প্রশিক্ষক

চৈতীর স্বর্ণপদক পাওয়ার বিষয়টি দুবাই থেকে প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন স্পোর্টস ফর হোপ অ্যান্ড ইনডিপেনডেন্সের (শি) প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী শারমিন ফারহানা চৌধুরী।

যে মেয়েকে সবাই দেখত শুধু উচ্চতায়

ভূনবীর দশরথ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী চৈতী একসময় গ্রামবাসীর নজরে পড়ত শুধু তার খর্বাকৃতির জন্য। খেলাধুলায় তার যে অসাধারণ প্রতিভা আছে, তা ছিল চোখের আড়ালে।

তবে এই ছবি এখন বদলে গেছে। গ্রামবাসী বাড়িতে এসে খোঁজ নেন। শিক্ষকেরা খেলতে উৎসাহ দেন, ছবি তোলেন। স্কুলে সে এখন ‘তারকা’।

দুবাইয়ে বর্শা নিক্ষেপে স্বর্ণপদক জয়ের পর চৈতী

সম্পর্কিত নিবন্ধ