Samakal:
2025-11-03@07:19:53 GMT

হাসপাতাল থেকে শিশু চুরি

Published: 20th, April 2025 GMT

হাসপাতাল থেকে শিশু চুরি

মাদারীপুরে জেলা হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড থেকে ছয় মাসের এক শিশু চুরি হয়েছে। শিশুটিকে নিয়ে ইজিবাইকে করে দ্রুত পালিয়ে যায় বোরকা পরা এক নারী; যা ধরা পড়েছে সিসিটিভি ফুটেজে। 

গতকাল শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের ষষ্ঠ তলার শিশু ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনা তদন্তে এরই মধ্যে থানা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশ মাঠে নেমেছে। 

চুরি হওয়া শিশু আব্দুর রহমানের বাবা সুমন মুন্সি সদর উপজেলার মহিষেরচর পাকা মসজিদ এলাকার বাসিন্দা।
স্বজনরা জানান, তিন দিন আগে অসুস্থ দুই বছরের ছোট মেয়ে জামিলাকে এ হাসপাতালের ষষ্ঠ তলার শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বড় মেয়েকে খাওয়াচ্ছিলেন মা সুমি আক্তার। এ সময় তাঁর ছয় মাসের শিশু রহমানকে গোলাপি রঙের বোরকা পরা এক নারী কোলে তুলে নেয়। আদর করার জন্য হাসপাতালের বারান্দায় নিয়ে যায়। এর পরই মায়ের চোখ ফাঁকি দিয়ে রহমানকে নিয়ে সটকে পড়ে সে। রহমানকে অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পাওয়া গেলে থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।

হাসপাতালের বাইরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, রহমানকে কোলে নিয়ে ইজিবাইকে করে হাসপাতাল ছেড়ে যাচ্ছে এক নারী। হাসপাতালে নিরাপত্তা না থাকায় এমন ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ স্বজনদের। রহমানকে উদ্ধার ও এ ঘটনার জন্য শাস্তি দাবি করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।

রহমানের মা সুমি আক্তার বলেন, ‘আমার আদরের সন্তানকে কোলে নিয়ে এভাবে ওই নারী পালিয়ে যাবে বুঝতে পারিনি। চোখের পলকেই এ ঘটনা ঘটেছে। আমি আমার সন্তানকে ফেরত চাই।’ 

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) চাতক চাকমা বলেন, হাসপাতাল থেকে এক শিশু চুরির ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ হাতে এসেছে। এরই মধ্যে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এই চক্রে যে বা যারাই জড়িত থাকুক, সবার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে কথা বলতে রাজি হয়নি সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা নুরুল আমিন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

সত্য মিথ্যা যাচাই না করে শেয়ার করবেন না, মেসেজটা তৃণমূলে ছড়িয়ে দিন: সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, 'আমাদের একটা অভ্যাস হয়ে গেছে একটা নেতিবাচক সংবাদ দেখলেই যাচাই-বাছাই না করে শেয়ার করে দেওয়া হয়। অত্যন্ত ভিত্তিহীন সংবাদও আমরা শেয়ার করে দেই।'

সিইসি বলেন, 'দয়া করে সত্য মিথ্যা যাচাই না করে শেয়ার করবেন না। এই মেসেজটা তৃণমূলে ছড়িয়ে দিন। তথ্যটা যেন আগে যাচাই করে তারপরে শেয়ার করেন।'

আজ সোমবার রাজধানীর ভাটারায় আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নে (এজিবি) এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন সিইসি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ভুয়া সংবাদের প্রচার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপপ্রয়োগ রোধে করণীয় সম্পর্কে তিনি এসব কথা বলেন।

থানা আনসার কোম্পানি/প্লাটুন সদস্যদের আনসার মৌলিক প্রশিক্ষণের (৪র্থ ধাপ) সমাপনী উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিইসি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো সংবাদ দেখা মাত্রই নাগরিকদের যাচাইবাছাই করতে আহ্বান জানান সিইসি। নিশ্চিত হওয়ার আগে শেয়ার না করতে বলেন তিনি।

জাতীয় নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে আনসার ভিডিপির ভূমিকাকে মূল শক্তি বলে উল্লেখ করেন সিইসি। তিনি বলেন, 'এনারাই অধিক সংখ্যায় নিয়োজিত থাকেন। এবং আমাদের হিসেব করতে গেলে প্রথম এদেরকেই হিসেব করতে হয় যে, কতজন আনসার ভিডিপি সদস্য আমরা মোতায়েন করতে পারব। মূল কাজটা আঞ্জাম (সম্পাদন) দিতে হয় কিন্তু আনসার এবং ভিডিপির সদস্যদের।'

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ। নির্বাচনকালীন জনগণের নিরাপত্তা, ভোট কেন্দ্রের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা এবং সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণে আনসার বাহিনী সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছে বলে জানান তিনি। নির্বাচনে দেশজুড়ে প্রায় ৬ লাখ আনসার ও ভিডিপি সদস্য দায়িত্বপালন করবেন বলেন মহাপরিচালক।

অনুষ্ঠানে মহড়ায় ঢাকা মহানগর আনসারের চারটি জোনের অধীন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৩২০ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য অংশ নেন।  আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নের সদস্যরা টহল, দায়িত্ব বণ্টন ও জরুরি প্রতিক্রিয়া অনুশীলনে অংশ নেন।

মহড়ায় ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জামাদি নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া, ভোটারদের শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে ভোট প্রদানে সহায়তা, জাল ভোট প্রতিরোধ, প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা এবং সেনা, বিজিবি, র‍্যাব ও পুলিশের সঙ্গে দ্রুত সমন্বয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন জোনের অধিনায়ক এবং প্রশিক্ষণ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ