রূপগঞ্জে ৫ শতাধিক হতদরিদ্র মানুষের মাঝে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা সেবাসহ চশমা ও ওষুধ বিতরণ করা হয়েছে।

তারাব পৌর ইসলামিক পাঠাগার ও সমাজকল্যাণ পরিষদের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ও ইস্পাহানি ইসলামিয়া চক্ষু ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের সার্বিক সহযোগীতায় বিনামূল্যে এ চক্ষু চিকিৎসা সেবা প্রদান করে। 

রোববার (২০ এপ্রিল) দিনব্যাপী  উপজেলার খাদুন এলাকায় চাইল্ড কেয়ার কিন্ডার গার্ডেন এন্ড হাই স্কুল এ চক্ষু সেবা প্রদান করা হয়। এ সময় রোগীদেরকে বিনামূল্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখানো, চোখের ছানী পরীক্ষা, চশমা বিতরণ, ঔষধ প্রয়োজনীয় অপারেশনের ব্যবস্থাসহ চক্ষু হাসপাতালে যাতায়াতসহ বিভিন্ন সেবা প্রদান করা হয়।

ইস্পাহানি ইসলামিয়া চক্ষু ইন্সটিটিউটের মেডিকেল টিমের সদস্য ডা.

খালেদ ইরফান চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন।

 ইসলামি পাঠাগার ও সমাজকল্যাণ পরিষদের তারাব পৌর শাখার সভাপতি খন্দকার আল-আমীনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নারায়ণগঞ্জ ১ রূপগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন মোল্লা।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ইসলামি পাঠাগার ও সমাজকল্যাণ সহ সভাপতি তানভীর হাসান মিলন, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আয়নাল হক, রূপগঞ্জ সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি নাজমুল হুদা, ইসমাইল হোসেনসহ আরো অনেকে।

এ সময় আয়োজকরা বলেন, বর্তমান বাজারে সব পন্যের দাম উর্ধগতি। সাধারণ জীবন যাপনে দরিদ্ররা হিমসিম খাচ্ছে।এর মাঝে যারা চোখের সমস্যায় ভুগছেন,তাদের অনেকেই টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারেন না। তাই আমরা তারাব পৌর  ইসলামিক পাঠাগার ও সমাজকল্যাণ পরিষদ ও ইস্পাহানি ইসলামিয়া চক্ষু ইন্সটিটিউটের উদ্যোগে এ সেবাদান অব্যাহত রেখেছি।

এতে ইতোমধ্যে শত শত রোগী বিনামূল্যে সেবা গ্রহণ করে উপকৃত হয়েছেন। সেবা নিতে আসা কিছু রোগীকে বিনামূল্যে অপারেশনের জন্য বাছাই করা হয়েছে। বিনামূল্যে তাদের অপারেশন করা হবে। পর্যায়ক্রমে আমাদের এই চক্ষু সেবা কার্যক্রম রূপগঞ্জের সকল পৌরসভা ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের জনগণের মাঝে পৌঁছে দেয়া হবে।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ র পগঞ জ ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।

জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’

জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ