বাংলাদেশ রাউন্ডের সেরা আট শিক্ষার্থী ‘টেক ফর গুড’ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য চীন ভ্রমণের সুযোগ পাবেন। চ্যাম্পিয়ন পাবেন ব্র্যান্ডের মেটবুক। প্রথম ও দ্বিতীয় রানারআপের জন্য থাকছে প্যাড আর স্মার্টওয়াচ 

শিক্ষার্থীর জ্ঞান বিকাশে ও বাংলাদেশের আইসিটি খাতের উন্নয়নে উদ্ভাবনী ব্র্যান্ড হুয়াওয়ে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’ প্রতিযোগিতা ঘোষণা করেছে। স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা এতে অংশ নিতে পারবেন।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকার এআই, ক্লাউড ও সেমিকন্ডাক্টর খাতের জন্য জাতীয় নীতিমালা প্রণয়নে কাজ করছে। এসব বিষয়ের জন্য বৃহৎ ডিজিটাল রূপান্তরের মাস্টারপ্ল্যান চালু করব। আইসিটি ও টেলিযোগাযোগ খাতে হুয়াওয়ে ব্র্যান্ডের উল্লেখযোগ্য অংশীদারিত্ব রয়েছে। অতএব, তাদের এখানে ভূমিকা রয়েছে, যা এমন রূপান্তরকে সাহায্য করতে পারে। হুয়াওয়েকে এআই, ডিজিটাল ও কম্পিউটার প্রযুক্তির ল্যাবের মাধ্যমে আরও বেশি সংখ্যক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কাজ করতে স্বাগত জানাই, যাতে দেশের তরুণরা সুযোগ পেতে পারে। 

সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ ডিজিটাল রূপান্তরের দিকে এগিয়ে চলেছে। রূপান্তর প্রক্রিয়ায় হুয়াওয়ে বাংলাদেশের অংশীজন। উদ্ভাবনী এ ব্র্যান্ড ও চীনকে দারুণ বৈশ্বিক উদ্যোগের জন্য সাধুবাদ জানাই। এমন উদ্যোগের মাধ্যমে সারাবিশ্বে ১৮ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে সহায়তা করেছে। অন্যদিকে, পাঁচ শতাধিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছে।
হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়া অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট ও  বাংলাদেশের সিইও উ জি বলেন, অনেক বছর ধরে এই প্রতিযোগিতা বৈশ্বিক উদ্ভাবন ও স্থানীয় সম্ভাবনার মধ্যে সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করেছে। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ, আন্তঃসাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা এবং আধুনিক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি হাতে-কলমে শেখার সুযোগ পেয়েছেন। তাদের অনুপ্রাণিত করতে, সুদক্ষ করে গড়ে তুলতে ও ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করার লক্ষ্যে এমন উদ্যোগে কাজ করছি, যেন তারা দেশের ডিজিটাল অগ্রগতির নেতৃত্ব দিতে পারে।

বাংলাদেশে চীনা দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সিলর লি শাওপেং বলেন, স্থানীয় মেধা বিকাশে হুয়াওয়ের প্রতিশ্রুতির সঙ্গে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে চীন-বাংলাদেশ সহযোগিতা সুদৃঢ় করেছে। টানা ১১ বছর ধরে কর্মসূচি সম্পন্ন করেছে। ১২০ জনের বেশি বাংলাদেশি অংশগ্রহণকারী চীনে প্রশিক্ষণের সুযোগ পেয়েছেন। তাদের অনেকেই এখন বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে শীর্ষ পর্যায়ে কাজ করছেন। অনেকে হুয়াওয়ে বাংলাদেশের হয়ে কাজ করছেন। ফলে প্রতিযোগিতাটি এখন চীন-বাংলাদেশ সহযোগিতার ক্ষেত্রেও অবদান রাখছে।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক জ করছ ক জ কর র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

গরমে আরাম পাবেন ডালবাহার খেলে, দেখুন রেসিপি

উপকরণ

মটরের ডাল ২০০ গ্রাম, মিষ্টিকুমড়া ১ ফালি, ডগাসহ মিষ্টিকুমড়ার শাক ১ আঁটি, পটোল ৩টি, কাঁকরোল ২টি, ঝিঙে ১টি, মুলা ২টি, মিষ্টি আলু ২টি, কাঁচা মরিচ ১০–১২টি, শুকনা মরিচ ২–৩টি, তেজপাতা ২–৩টা, পাঁচফোড়ন ১ টেবিল চামচ, ঘি ২ টেবিল চামচ, চিনি ১ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো, হলুদ ১ চা-চামচ।

আরও পড়ুনগ্রেভি সসে চিকেন ডাম্পলিং–এর রেসিপি২০ মে ২০২৫প্রণালি

মটর ডাল সিদ্ধ করে নিন। ওপরের সব সবজি ও শাক পরিষ্কার করে মাপমতো কেটে নিন। সিদ্ধ ডালে পরিমাণমতো পানি দিন। এবার কড়াইয়ে লবণ, হলুদ ও কাঁচা মরিচ ঢেলে দিয়ে ডালটাকে আগুনের আঁচে ফুটতে দিন। তারপর একে একে সবজিগুলো পাত্রে ঢালুন। সবজি আধা সিদ্ধ হয়ে এলে কড়াইয়ে কুমড়ার শাক ঢেলে দিন। এরপর পরিমাণমতো চিনি মেশান। সবজি ও শাক সিদ্ধ হয়ে গেলে ডালটা নামিয়ে রাখুন। এবার অন্য একটা কড়াই চুলায় দিন। কড়াইতে ঘি ঢেলে আগুনের আঁচ দিন। ঘি গরম হয়ে গেলে তাতে শুকনা মরিচ, তেজপাতা ও পাঁচফোড়ন দিন। গন্ধ বের হলে আগে তুলে রাখা ডাল, শাক ও সবজি পরের পাত্রটিতে ঢালুন এবং নাড়ুন। ৩ থেকে ৪ মিনিট ধরে ফোটার সময় দিন। তারপর আগুন নিভিয়ে দিয়ে আরও ৩ থেকে ৪ মিনিট পাত্রটি ঢেকে রাখুন।

আরও পড়ুনকরলা ভাজি মুচমুচে করবেন যেভাবে, দেখুন রেসিপি১৯ মে ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ