স্নাতক শিক্ষার্থীর জন্য প্রতিযোগিতা
Published: 20th, April 2025 GMT
বাংলাদেশ রাউন্ডের সেরা আট শিক্ষার্থী ‘টেক ফর গুড’ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য চীন ভ্রমণের সুযোগ পাবেন। চ্যাম্পিয়ন পাবেন ব্র্যান্ডের মেটবুক। প্রথম ও দ্বিতীয় রানারআপের জন্য থাকছে প্যাড আর স্মার্টওয়াচ
শিক্ষার্থীর জ্ঞান বিকাশে ও বাংলাদেশের আইসিটি খাতের উন্নয়নে উদ্ভাবনী ব্র্যান্ড হুয়াওয়ে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’ প্রতিযোগিতা ঘোষণা করেছে। স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা এতে অংশ নিতে পারবেন।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকার এআই, ক্লাউড ও সেমিকন্ডাক্টর খাতের জন্য জাতীয় নীতিমালা প্রণয়নে কাজ করছে। এসব বিষয়ের জন্য বৃহৎ ডিজিটাল রূপান্তরের মাস্টারপ্ল্যান চালু করব। আইসিটি ও টেলিযোগাযোগ খাতে হুয়াওয়ে ব্র্যান্ডের উল্লেখযোগ্য অংশীদারিত্ব রয়েছে। অতএব, তাদের এখানে ভূমিকা রয়েছে, যা এমন রূপান্তরকে সাহায্য করতে পারে। হুয়াওয়েকে এআই, ডিজিটাল ও কম্পিউটার প্রযুক্তির ল্যাবের মাধ্যমে আরও বেশি সংখ্যক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কাজ করতে স্বাগত জানাই, যাতে দেশের তরুণরা সুযোগ পেতে পারে।
সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ ডিজিটাল রূপান্তরের দিকে এগিয়ে চলেছে। রূপান্তর প্রক্রিয়ায় হুয়াওয়ে বাংলাদেশের অংশীজন। উদ্ভাবনী এ ব্র্যান্ড ও চীনকে দারুণ বৈশ্বিক উদ্যোগের জন্য সাধুবাদ জানাই। এমন উদ্যোগের মাধ্যমে সারাবিশ্বে ১৮ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে সহায়তা করেছে। অন্যদিকে, পাঁচ শতাধিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছে।
হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়া অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশের সিইও উ জি বলেন, অনেক বছর ধরে এই প্রতিযোগিতা বৈশ্বিক উদ্ভাবন ও স্থানীয় সম্ভাবনার মধ্যে সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করেছে। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ, আন্তঃসাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা এবং আধুনিক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি হাতে-কলমে শেখার সুযোগ পেয়েছেন। তাদের অনুপ্রাণিত করতে, সুদক্ষ করে গড়ে তুলতে ও ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করার লক্ষ্যে এমন উদ্যোগে কাজ করছি, যেন তারা দেশের ডিজিটাল অগ্রগতির নেতৃত্ব দিতে পারে।
বাংলাদেশে চীনা দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সিলর লি শাওপেং বলেন, স্থানীয় মেধা বিকাশে হুয়াওয়ের প্রতিশ্রুতির সঙ্গে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে চীন-বাংলাদেশ সহযোগিতা সুদৃঢ় করেছে। টানা ১১ বছর ধরে কর্মসূচি সম্পন্ন করেছে। ১২০ জনের বেশি বাংলাদেশি অংশগ্রহণকারী চীনে প্রশিক্ষণের সুযোগ পেয়েছেন। তাদের অনেকেই এখন বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে শীর্ষ পর্যায়ে কাজ করছেন। অনেকে হুয়াওয়ে বাংলাদেশের হয়ে কাজ করছেন। ফলে প্রতিযোগিতাটি এখন চীন-বাংলাদেশ সহযোগিতার ক্ষেত্রেও অবদান রাখছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক জ করছ ক জ কর র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
পাল্টাপাল্টি হামলার তীব্রতা বাড়ল
ইরান ও ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলা ঘিরে আরও অশান্ত হয়ে উঠেছে মধ্যপ্রাচ্য। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে হামলার তীব্রতা বাড়াচ্ছে দুই দেশ। ইসরায়েলে গত শনিবার রাতভর ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। একই রাতে ইরানের গ্যাসক্ষেত্র ও তেল শোধনাগারে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ হামলায় ইরানের কতজন নিহত হয়েছে, তা সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি।
গতকাল রোববার ছিল দুই দেশের পাল্টাপাল্টি হামলার তৃতীয় দিন। শনিবার রাতের পর রোববার দিনের বেলায়ও পাল্টাপাল্টি হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল ও ইরান। এদিন ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কথা জানিয়েছে ইয়েমেনের সশস্ত্র
গোষ্ঠী হুতি। চলমান সংঘাতে এই প্রথম ইরানপন্থী কোনো গোষ্ঠী যোগ দিল। এমন পরিস্থিতিতে দুই দেশকে শান্ত করার জন্য প্রচেষ্টা শুরু করেছে বিভিন্ন দেশ।
গতকাল রাত একটায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা চলছিল। এ রাতেও তেহরানের নিয়াভারান, ভালিয়াসর ও হাফতে তির স্কয়ার এলাকায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। ইরানের পূর্বাঞ্চলে মাশহাদ বিমানবন্দরে একটি ‘রিফুয়েলিং’ উড়োজাহাজে আঘাত হানার কথা জানায় ইসরায়েলি বাহিনী। এই উড়োজাহাজগুলো আকাশে থাকা অবস্থায় অন্য উড়োজাহাজে জ্বালানি সরবরাহ করতে সক্ষম। ইরান থেকেও ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার খবর পাওয়া গেছে।
ইসরায়েলে ব্যাপক হামলা ইরানেরইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি ঠেকানোর কথা বলে গত বৃহস্পতিবার রাতে দেশটিতে প্রথমে হামলা চালায় ইসরায়েল। ওই রাতে ইসরায়েলের দুই শতাধিক যুদ্ধবিমান ইরানের ‘পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র’ স্থাপনায় আঘাত হানে। শুক্র ও শনিবারও ইরানে হামলা চলে। পাল্টা জবাব দিচ্ছে তেহরানও। তবে ইসরায়েলে শনিবার রাতভর ইরান যে হামলা চালিয়েছে, তা ছিল সবচেয়ে ব্যাপক।
ইসরায়েলে শনিবার প্রথম দফায় ইরানের হামলা শুরু হয় রাত ১১টার পরপর। এ সময় ইসরায়েলের জেরুজালেম ও হাইফা শহরে বেজে ওঠে সাইরেন। হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় হাইফায় অবস্থিত তেল শোধনাগার। পরে রাত আড়াইটার দিকে দ্বিতীয় দফায় হামলা শুরু করে ইরান। তখন তেল আবিব ও জেরুজালেমে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, শনিবার রাতে দুই দফায় ৭৫টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। প্রথম দফায় ছোড়া হয় ৪০টি। এতে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের তামরা শহরে চারজন নিহত হন। দ্বিতীয় দফায় ছোড়া হয় ৩৫টি ক্ষেপণাস্ত্র। এর একটি আঘাত হানে তেল আবিবের কাছে বাত ইয়াম এলাকায়। এতে অন্তত ছয়জন নিহত ও প্রায় ২০০ জন আহত হন। এ ছাড়া রেহভোত শহরে আহত হয়েছেন ৪০ জন।
ইসরায়েলি হামলায় জ্বলছে ইরানের শাহরান তেলের ডিপো। গতকাল দেশটির রাজধানী তেহরানের কাছে।