‘মাধবপুরের ২ কৃষককে ভারতে নির্যাতন’, ফেরত এনেছে বিজিবি
Published: 21st, April 2025 GMT
হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুরের দুই কৃষককে ভারতে নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
মাধবপুর সীমান্তের ওপারে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সিধাই এলাকায় রবিবার (২০ এপ্রিল) সকালে ঘটনাটি ঘটে। পরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আটককৃতদের দেশে ফিরিয়ে আনে বিজিবি।
ভিডিওতে দেখা যায়, ভারতীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সামনেই কিছু লোক বাংলাদেশি দুই কৃষককে মারধর করছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পিকআপ ভ্যানে ওঠানোর সময়ও তাদের মারধর করা হয়।
আরো পড়ুন:
উলুখালীতে বাংলাদেশি জেলেদের ওপর বিএসএফের ‘হামলা’
আরাকান আর্মির কবল থেকে ফিরলেন ৫৫ জেলে
ভারতে নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিরা হলেন- মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের তুলশীপুর গ্রামের আব্দুল আলীর ছেলে তোফাজ্জল হোসেন (৫৩) ও একই গ্রামের ফরিদ মিয়ার ছেলে জামাল মিয়া (৫৪)।
জানা গেছে, পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ সদস্যরা হরিণখোলা সীমান্ত ফাঁড়ি বিজিবি সদস্যদের কাছে রবিবার বিকেল পৌনে ৬টার দিকে আটক তোফাজ্জল হোসেন ও জামাল মিয়াকে হস্তান্তর করে। সীমান্তের মেইন পিলার ১৯৮৮ যার জিআর ৪১৭৫৭৮ মানচিত্র ৭৮পি/৮ শূন্য লাইনে বিএসএফ ও বিজিবি সদস্যদের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সোমবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়ান ৫৫ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানজিল আহমেদ জানান, পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ভারতে আটক তোফাজ্জল হোসেন ও জামাল মিয়াকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
মাধবপুর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) কবির হোসেন জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশে অভিযোগে মামলা হয়েছে। তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা/মামুন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসএফ অভ য গ ম ধবপ র
এছাড়াও পড়ুন:
পূজাকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।
সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য।
সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।
এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।
এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।