চলতি বছরের প্রথম ৩ মাসে ৯৯ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্‌লস। আর সব ধরনের খরচ বাদ দেওয়ার পর শত কোটি টাকার ব্যবসার প্রায় অর্ধেকটাই মুনাফা করেছে কোম্পানিটি।

সরকারি মালিকানাধীন এই কোম্পানি গত জানুয়ারি থেকে মার্চ—এই ৩ মাসে মুনাফা করেছে ৪৮ কোটি টাকা। আর এই সময়ে ব্যবসা করেছে ৯৯ কোটি টাকার। অর্থাৎ কোম্পানিটি যা আয় করে, সব খরচ বাদ দেওয়ার পর তার প্রায় অর্ধেকই মুনাফা। কোম্পানিটির গত জানুয়ারি-মার্চের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে। গতকাল সোমবার কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় এই প্রতিবেদন অনুমোদন করা হয়। আর শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি হিসেবে নিয়ম অনুযায়ী, আর্থিক প্রতিবেদনের এসব তথ্য স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের জানানো হয়েছে।

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দেওয়া কোম্পানিটির তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ৩ মাসে কোম্পানিটির মুনাফা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে সাড়ে ৭ কোটি টাকার বেশি বা প্রায় ১৯ শতাংশ বেড়েছে। ২০২৪ সালের প্রথম ৩ মাসে কোম্পানিটি মুনাফা করেছিল ৪০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। অথচ এই সময়ের ব্যবধানে কোম্পানিটির আয় বা ব্যবসা বেড়েছে সোয়া ২ কোটি টাকা বা সোয়া ২ শতাংশের মতো। চলতি বছরের প্রথম ৩ মাসে কোম্পানিটি ব্যবসা করেছে ৯৯ কোটি ৪২ লাখ টাকার। গত বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৯৭ কোটি ২০ লাখ টাকা।

সাবমেরিন কেব্‌লসের আর্থিক বছরের হিসাব করা হয় জুলাই-জুনের অর্থবছরের হিসাবে। সেই হিসাবে, গত মার্চ শেষে কোম্পানিটির তিনটি প্রান্তিক শেষ হয়েছে। শেয়ারবাজারের নিয়ম অনুযায়ী, তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে প্রতি প্রান্তিক শেষে আয়-ব্যয়ের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন দাখিল করতে হয়। তার আগে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সভায় এই আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করতে হয়। এসব প্রক্রিয়া শেষে গতকাল সাবমেরিন কেব্‌লস তাদের ৯ মাসের (জুলাই-মার্চ) আয়-ব্যয় ও মুনাফার তথ্য প্রকাশ করেছে।

আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটি গত ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) ২৯৪ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে। তার আগের অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৩৩৮ কোটি টাকা। সেই হিসাবে, ১ বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির ৪৪ কোটি টাকার ব্যবসা কমেছে। তবে ৯ মাসের বিবেচনায়ও দেখা যায়, কোম্পানিটি যে পরিমাণ আয় বা ব্যবসা করে, তার প্রায় অর্ধেকই মুনাফা। গত জুলাই-মার্চে ২৯৪ কোটি টাকার আয়ের বিপরীতে সব ধরনের খরচ বাদ দিয়ে কোম্পানিটি মুনাফা করেছে ১৪০ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ৩৩৮ কোটি টাকার ব্যবসা করে কোম্পানিটি মুনাফা করেছিল ১৬৮ কোটি টাকা।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র প রথম ৩ ম স বছর র প রথম ট ক র ব যবস অন য য় ৯৯ ক ট

এছাড়াও পড়ুন:

৪ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম: ৭ অডিটর নিষিদ্ধ

‎পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত চারটি কোম্পানির সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদনে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও আইনের লঙ্ঘন থাকা সত্ত্বেও তা নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উত্থাপন না করায় সাত নিরীক্ষক (অডিটর) প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ বছরের জন্য অডিট এবং অ্যাসিউর‍্যান্স কার্যক্রমে অংশগ্রহণের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

সেইসঙ্গে ওই নিরীক্ষা ফার্ম এবং নিরীক্ষকদের কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হবে না, সেই মর্মে ব্যাখ্যা তলব করে তাদের শুনানিতে ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

আরো পড়ুন:

সোনালী পেপারের শেয়ার কারসাজি: ১১ কোটি ৮২ লাখ টাকা জরিমানা

পুঁজিবাজার উন্নয়নে ডিএসই ও ডিসিসিআইয়ের যৌথ সভা

‎গত মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে ৯৭৩তম কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ‎বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

‎সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক এ হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস; রিংসাইন টেক্সটাইল লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯ এবং ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক যথাক্রমে: আহমেদ অ্যান্ড আক্তার, মাহফেল হক অ্যান্ড কোং, আতা খান অ্যান্ড কোং এবং সিরাজ খান বসাক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস; আমান কটন ফাইব্রাস লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক ইসলাম কাজী শফিক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস এবং ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৮ ও ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক মাহফেল হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস আর্থিক প্রতিবেদনে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও সিকিউরিটিজ আইনের লঙ্ঘন থাকা সত্ত্বেও নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উত্থাপন করেনি। 

এ সকল নিরীক্ষা ফার্ম এবং নিরীক্ষককে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত সকল কোম্পানি, সকল ধরনের বিনিয়োগ স্কিম (যথা- মিউচ্যুয়াল ফান্ড, অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ও এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড) এবং পুঁজিবাজারে মধ্যস্থতাকারী সকল প্রতিষ্ঠানের অডিট ও অ্যাসিউর‍্যান্স কার্যক্রম পরিচালনার উপর নিষেধাজ্ঞা তথা পাঁচ বছরের জন্য অডিট ও অ্যাসিউর‍্যান্স কার্যক্রমে অংশগ্রহণে কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হবে না এই মর্মে ব্যাখ্যা তলব করে শুনানি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

‎ঢাকা/এনটি/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৪ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম: ৭ অডিটর নিষিদ্ধ
  • সেপ্টেম্বরের ১৬ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ২০ হাজার কোটি টাকা
  • বাংলাদেশ ব্যাংক এক দিনে ২৬ ব্যাংক থেকে ৩৫ কোটি ডলার কিনল কেন