মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার মেঘনা নদী থেকে নিখোঁজের তিন দিন পর আতাবর (৬৫) নামের এক নৌযান শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের চর বলাকী গ্রামসংলগ্ন নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এর আগে রবিবার বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের তেতৈতলা পুরাতন ফেরিঘাট এলাকায় নোঙর করা একটি বাল্কহেড থেকে নদীতে পড়ে গিয়ে নিখোঁজ হন তিনি। নিহত আতাবর ঢাকার ধামরাই উপজেলার ফুলতলা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি এমভি এস.

এম. এন্টারপ্রাইজ নামক বাল্কহেডে লস্কর হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শী নৌযান শ্রমিক নূর ইসলাম জানান, রবিবার বিকেলে পাথর খালাস শেষে তেতৈতলা পুরাতন ফেরিঘাট এলাকায় বাল্কহেডটি নোঙর করে রাখা হয়। ডেকে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় পেছন থেকে আরেকটি বাল্কহেড — এমভি তোহা এন্টারপ্রাইজ — ধাক্কা দিলে আতাবর মাথায় আঘাত পেয়ে ছিটকে নদীতে পড়ে যান। সঙ্গে সঙ্গে খোঁজাখুঁজি শুরু হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

গজারিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মাহবুব আলম জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ