বিশ্বকাপ খেলা নিশ্চিত হওয়ার পর আইসিসি র‍্যাঙ্কিংয়েও সুখবর পেলেন বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটাররা। আজ প্রকাশিত সর্বশেষ ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ে ক্যারিয়ার-সর্বোচ্চ রেটিং পয়েন্ট পেয়েছেন বাংলাদেশ নারী দলের তিন বোলার নাহিদা আক্তার, রাবেয়া খান ও মারুফা আক্তার। ব্যাটিংয়ে ক্যারিয়ার-সর্বোচ্চ রেটিং পয়েন্ট পেয়েছেন শারমিন আক্তার, রিতু মনি ও মারুফা আক্তার।

লাহোরে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে হারার পর অপেক্ষায় ছিল বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ে ১০.

৫ ওভারেই থাইল্যান্ডের দেওয়া ১৬৭ রানের লক্ষ্য পেরোলেও নেট রান রেটের সূক্ষ্ণতম ব্যবধানে (০.০১৩) পেছনেই থাকে বাংলাদেশের। তাতে আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে ভারতে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপের টিকিট পেয়ে যায় নিগার সুলতানার দল।

বাংলাদেশের তৃতীয় ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ উইকেট নেওয়া বাঁহাতি স্পিনার নাহিদা দুই ধাপ এগিয়ে ১০ নম্বরে উঠেছেন। নাহিদার রেটিং পয়েন্ট এখন ৬১৮। তাঁর আগের সর্বোচ্চ ছিল ৬১৬, যা গত সপ্তাহেই পেয়েছিলেন নাহিদা। রেটিংয়ে সর্বোচ্চ পয়েন্ট পেলেও নাহিদার এটি সর্বোচ্চ অবস্থান নয়। ২০১৪ সালে সপ্তমস্থানে উঠেছিলেন তিনি।

বোলিংয়ে ১০ নম্বরে উঠেছে বাংলাদেশের নাহিদা আক্তার

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব শ বক প

এছাড়াও পড়ুন:

সুদানে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী হতাহতের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার শোক

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের অতর্কিত ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীদের হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

প্রধান উপদেষ্টা শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, “শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালনের সময় আমাদের ছয়জন বীর শান্তিরক্ষীর শাহাদাত বরণ এবং আরো আটজনের আহত হওয়ার সংবাদে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের বিপুল অবদান আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত; বীরদের এই আত্মত্যাগ একদিকে জাতির গৌরব, অন্যদিকে গভীর বেদনার।”

আরো পড়ুন:

সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত: আইএসপিআর

ঢামেক হাসপাতালে নিরাপত্তা জোরদার

তিনি নিহত শান্তিরক্ষীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। একই সঙ্গে আহত শান্তিরক্ষীদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আহত শান্তিরক্ষীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিত করতে  জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইতিমধ্যেই জাতিসংঘের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। এই দুঃসময়ে সরকার শান্তিরক্ষীদের পরিবারগুলোর পাশে থাকবে।”

বিবৃতিতে তিনি এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা আন্তর্জাতিক শান্তি ও মানবতার বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধ।”

তিনি জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা আরও জোরদারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।

নিহত শান্তিরক্ষীদের মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা এবং আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ চালিয়ে যাবে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ