ইসরায়েলে হাঙরের বিরল আক্রমণের পর সাঁতারু নিখোঁজ
Published: 22nd, April 2025 GMT
ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের উপকূলে হাঙরের বিরল আক্রমণের পর এক সাঁতারুর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। গতকাল সোমবার হাদেরা শহরের ওলগা সৈকতে এ ঘটনা ঘটে। শহরটি তেল আবিব থেকে ৪০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, সৈকতে উপস্থিত মানুষজনের সামনেই হাঙরের আক্রমণের ঘটনা ঘটে। এ সময় তাঁদের আতঙ্কিত হয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি করতে দেখা যায়।
হাঙরের আক্রমণের ওই জায়গায় স্থানীয় একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে নিঃসৃত গরম পানি এসে সাগরের পানির সঙ্গে মেশে। সাধারণত বছরের এই সময়টাতে ওই পানিতে হাঙরে এসে জড়ো হয়। তবে সচরাচর সেগুলো মানুষের কোনো ক্ষতি করে না।
১৯৪৮ সালে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠা হয়। এর পর থেকে দেশটির জলসীমায় হাঙরের প্রাণঘাতী আক্রমণের কোনো ঘটনা ঘটেনি। আজকের ঘটনার পর ওলগা সৈকত মানুষের প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েলি পুলিশ। একই সঙ্গে নিখোঁজ ব্যক্তিকে উদ্ধারে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, এক ব্যক্তিকে সাগরে ছটফট করতে দেখা যায়। তিনি তীর থেকে কয়েক শ ফুট দূরে পানিতে ছিলেন। এ সময় সৈকতে থাকা মানুষজন ওই ব্যক্তিকে হাঙর আক্রমণ করেছে বলে চিৎকার করতে থাকেন।
আক্রমণের সময় ঘটনাস্থলে থাকা ইলিয়া মোতাই ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম ওয়াইনেটকে বলেন, ‘আমি সে সময় পানির ভেতরে ছিলাম। রক্ত দেখতে পেয়েছিলাম। চিৎকারও শুনেছি। সৈকত থেকে কয়েক মিটার দূরে ছিলাম। এটা ভয় পাইয়ে দেওয়ার মতো ছিল। গতকালও (রোববার) সেখানে ছিলাম। তখনো আমাদের চারপাশে হাঙরের চলাফেরা দেখেছি।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইসর য় ল
এছাড়াও পড়ুন:
সুদানে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী হতাহতের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার শোক
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের অতর্কিত ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীদের হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, “শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালনের সময় আমাদের ছয়জন বীর শান্তিরক্ষীর শাহাদাত বরণ এবং আরো আটজনের আহত হওয়ার সংবাদে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের বিপুল অবদান আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত; বীরদের এই আত্মত্যাগ একদিকে জাতির গৌরব, অন্যদিকে গভীর বেদনার।”
আরো পড়ুন:
সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত: আইএসপিআর
ঢামেক হাসপাতালে নিরাপত্তা জোরদার
তিনি নিহত শান্তিরক্ষীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। একই সঙ্গে আহত শান্তিরক্ষীদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আহত শান্তিরক্ষীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিত করতে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইতিমধ্যেই জাতিসংঘের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। এই দুঃসময়ে সরকার শান্তিরক্ষীদের পরিবারগুলোর পাশে থাকবে।”
বিবৃতিতে তিনি এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা আন্তর্জাতিক শান্তি ও মানবতার বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধ।”
তিনি জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা আরও জোরদারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।
নিহত শান্তিরক্ষীদের মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা এবং আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ চালিয়ে যাবে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল