উখিয়ার আশ্রয়শিবিরে ছুরিকাঘাতে রোহিঙ্গা যুবককে হত্যা
Published: 23rd, April 2025 GMT
কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে ছুরিকাঘাতে নুরুল ইসলাম (২৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে নুরুল ইসলামকে ছুরিকাঘাত করা হয়। আজ বুধবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে সৈয়দুল আমিন ওরফে কালা সোনা মিয়া নামের একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত নুরুল ইসলাম উখিয়ার রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের বাসিন্দা। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আরিফ হোসেন।
আশ্রয়শিবিরের রোহিঙ্গাদের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, মাদক কেনাবেচা নিয়ে বিরোধের জের ধরে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। গতকাল রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে আশ্রয়শিবিরের আমগাছতলা এলাকায় সালেহ নামের একজন রোহিঙ্গা মুদিদোকানি নুরুল ইসলামকে ডেকে নেন। এ সময় শিবিরের বাসিন্দা নুরুল আজিম (৩০), সৈয়দুল আমিন (৪০), মো.
খবর পেয়ে আহত নুরুল ইসলামের বড় ভাই মো. রিদোয়ান (২৭) এবং বন্ধু মো.ফারুক (২২) তাঁকে উদ্ধার করতে গেলে হামলাকারীরা তাঁদেরও কুপিয়ে জখম করেন। আহত তিনজনকে কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয় লোকজন। গুরুতর আহত নুরুল ইসলাম আজ বুধবার ভোররাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
তিনি আরও বলেন, নুরুল ইসলামের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় সৈয়দুল আমিনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন র ল ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
সিরিয়ার পর নিজেদের কেন টার্গেট মনে করছে তুরস্ক
মধ্যপ্রাচ্যে আঞ্চলিক ভূরাজনীতিতে এক উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের মধ্যে ইসরায়েল সম্প্রতি সিরিয়ার দামেস্ক ও সুওয়াইদার গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েল দাবি করেছে যে সুওয়াইদায় দ্রুজ মিলিশিয়া ও সুন্নি বেদুইন উপজাতিদের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুজদের রক্ষা করতে এই হামলাগুলো চালানো জরুরি ছিল।
বিশ্লেষকদের মতে, সিরিয়ায় ইসরায়েলের হামলার ফলে নতুন করে যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে, তাতে তুরস্ককে একটি নাজুক পরিস্থিতিতে ফেলে দিয়েছে। আঙ্কারা এখন সিরিয়ার পরিবর্তিত পরিস্থিতির ওপর তাদের কৌশলগত অবস্থান পুনরায় মূল্যায়ন করছে। সীমান্ত নিরাপত্তা, সন্ত্রাস দমন ও সিরিয়ার রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে তুর্কি রাজনীতিবিদেরা নজিরবিহীন চাপের মধ্যে রয়েছেন।
দ্য নিউ আরবকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তুর্কি নিরাপত্তা বিশ্লেষক এরসান এরগুর ব্যাখ্যা করেছেন যে সিরিয়ার আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা করা এখন তুরস্কের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ভিত্তিস্বরূপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, ‘আঙ্কারা এখন আর সিরিয়ার ইস্যুকে কেবল একটি বৈদেশিক নীতির বিষয় হিসেবে দেখে না, বরং এটিকে অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতার বিষয় হিসেবে দেখে।’ তিনি আঞ্চলিক বিভাজন থেকে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়া এবং আবার তুরস্কে শরণার্থীর ঢল নামতে পারে—এমন আশঙ্কার কথাও উল্লেখ করেন।
এরগুর বলেন, তুরস্কের কৌশলটি তার ‘সন্ত্রাসমুক্ত তুরস্ক’ প্রকল্পের ওপর ভিত্তি করে তৈরি। তুরস্কের এ প্রকল্পটি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত করে। তুরস্কের ভূরাজনৈতিক অবস্থান, আঞ্চলিক বাণিজ্য ও নিরাপত্তা নেটওয়ার্কগুলো সঙ্গে গভীর যুক্ততার কারণে আঙ্কারা সিরিয়াকে স্থিতিশীল করতে চায়। এটি শুধু তার সীমান্ত রক্ষা করার জন্য নয়, বরং তার আশপাশে ব্যর্থ রাষ্ট্রগুলোর উত্থান রোধ করার জন্যও।
ইসরায়েলি হামলার পর সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে সেনাবাহিনী ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তরের কাছে ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা যায়। ১৬ জুলাই ২০২৫