আবদুল জব্বার স্মৃতি বলীখেলা (কুস্তি প্রতিযোগিতা) আজ শুক্রবার বিকেল ৪টা থেকে শুরু হয়েছে। লালদীঘির মাঠে তৈরি করা রিংয়ে বলীরা পরস্পরের সঙ্গে লড়াই করছেন। এবার বলীখেলায় ছোট–বড় বিভিন্ন বলী অংশ নিচ্ছেন।

এবার বয়স্ক কলিম উল্লাহ (৬৬) যেমন রয়েছেন, তেমনি আছে কিশোর ফয়সালের মতো বলী। তাঁদের রিংয়ের পাশে দেখে বাঁধভাঙা উল্লাস দেখা গেছে দর্শকদের।

পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ আনুষ্ঠানিকভাবে বেলুন উড়িয়ে বলীখেলার উদ্বোধনের পর খেলা শুরু হয়।

অংশ নিচ্ছেন গতবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার শরীফ ও রানারআপ রাশেদ বলীও। তৃতীয় স্থান অধিকারী খাগড়াছড়ির সৃজন চাকমাও আছেন।

বলীখেলা তো নয়, এটা যেন পুরো চট্টগ্রাম অঞ্চলের আবেগ অনুভূতির প্রাণের মেলা। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই ভিড় করেন এই বলীখেলা দেখতে। বিভিন্ন উপজেলা ও জেলা থেকে এই বলীখেলা দেখতে এবং অংশ নিতে বলীরা এসেছেন।

মোট ৯০ জন কুস্তিগির বলীখেলার জন্য নাম নিবন্ধন করেছেন এবার। সেখান থেকে চ্যাম্পিয়ন, রানারআপ ও তৃতীয়কে বেঁচে নেওয়া হবে বলে জানান ১১৬তম আবদুল জব্বারের বলীখেলা উদ্‌যাপন কমিটির আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান।

বলীখেলা রিংয়ে গড়ানোর দেড় ঘণ্টা আগে থেকেই বলীরা মাঠে ভিড় করেন। আর ভিড় করেন দর্শকেরা। লালদীঘি মাঠ ছাপিয়ে আশপাশের গাছ, দালান এবং ভবনের ছাদের উৎসুক মানুষ ভিড়।

প্রতিবছর বাংলা ১২ বৈশাখ এই বলীখেলা অনুষ্ঠিত হয়। বলীখেলাকে ঘিরে তিন দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা বসে লালদীঘির আশপাশের এলাকায়। এর আগে বৃহস্পতিবার থেকে লালদীঘির মাঠ ও আশপাশের এলাকায় শুরু হয়েছে বৈশাখী মেলা। ঝাড়ু ও তালপাতার হাতপাখা ছিল নারী-পুরুষের প্রথম পছন্দ। গৃহস্থালির বিভিন্ন সামগ্রী, শিশু–কিশোরদের খেলনা, গৃহসজ্জার জিনিস, তৈজসপত্র, ঝাড়ু, কুড়াল, আসবাবপত্র, গাছপালা, কী নেই এই মেলায়! আগামীকাল শনিবার শেষ হবে এই প্রাণের মেলা। ১৯০৯ সালে বকশিরহাটের ব্যবসায়ী আবদুল জব্বার সওদাগর ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যুবসমাজকে উদ্বুদ্ধ করতে এই বলীখেলার প্রচলন করেছিলেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র বল খ ল

এছাড়াও পড়ুন:

৫ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু

আগামী ফেব্রুয়ারিতে জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ ৫ দফা দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ ফটকে এই সমাবেশ শুরু হয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল। দলের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর কমিটির নেতারা সমাবেশে বক্তব্য দেবেন। জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।

জামায়াত সূত্র জানিয়েছে, সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হবে। মিছিলটি বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ ফটক থেকে বের হয়ে পুরানা পল্টন মোড়, জাতীয় প্রেসক্লাব ও মৎস্য ভবনের পাশ দিয়ে শাহবাগ পর্যন্ত যেতে পারে।

এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন আল ফালাহ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ৫ দফা দাবিতে তিনদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি।

জামায়াতের দাবিগুলো হলো- জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করা; আগামী জাতীয় নির্বাচনে সংসদের উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করা; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করা; ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।

একই দাবিতে আগামীকাল ১৯ সেপ্টেম্বর দেশের সব বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভ মিছিল এবং ২৬ সেপ্টেম্বর দেশের সব জেলা বা উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল করবে জামায়াতে ইসলামী।

সম্পর্কিত নিবন্ধ