জব্বারের বলীখেলা শুরু, লড়ছেন বলীরা
Published: 25th, April 2025 GMT
আবদুল জব্বার স্মৃতি বলীখেলা (কুস্তি প্রতিযোগিতা) আজ শুক্রবার বিকেল ৪টা থেকে শুরু হয়েছে। লালদীঘির মাঠে তৈরি করা রিংয়ে বলীরা পরস্পরের সঙ্গে লড়াই করছেন। এবার বলীখেলায় ছোট–বড় বিভিন্ন বলী অংশ নিচ্ছেন।
এবার বয়স্ক কলিম উল্লাহ (৬৬) যেমন রয়েছেন, তেমনি আছে কিশোর ফয়সালের মতো বলী। তাঁদের রিংয়ের পাশে দেখে বাঁধভাঙা উল্লাস দেখা গেছে দর্শকদের।
পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ আনুষ্ঠানিকভাবে বেলুন উড়িয়ে বলীখেলার উদ্বোধনের পর খেলা শুরু হয়।
অংশ নিচ্ছেন গতবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার শরীফ ও রানারআপ রাশেদ বলীও। তৃতীয় স্থান অধিকারী খাগড়াছড়ির সৃজন চাকমাও আছেন।
বলীখেলা তো নয়, এটা যেন পুরো চট্টগ্রাম অঞ্চলের আবেগ অনুভূতির প্রাণের মেলা। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই ভিড় করেন এই বলীখেলা দেখতে। বিভিন্ন উপজেলা ও জেলা থেকে এই বলীখেলা দেখতে এবং অংশ নিতে বলীরা এসেছেন।
মোট ৯০ জন কুস্তিগির বলীখেলার জন্য নাম নিবন্ধন করেছেন এবার। সেখান থেকে চ্যাম্পিয়ন, রানারআপ ও তৃতীয়কে বেঁচে নেওয়া হবে বলে জানান ১১৬তম আবদুল জব্বারের বলীখেলা উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান।
বলীখেলা রিংয়ে গড়ানোর দেড় ঘণ্টা আগে থেকেই বলীরা মাঠে ভিড় করেন। আর ভিড় করেন দর্শকেরা। লালদীঘি মাঠ ছাপিয়ে আশপাশের গাছ, দালান এবং ভবনের ছাদের উৎসুক মানুষ ভিড়।
প্রতিবছর বাংলা ১২ বৈশাখ এই বলীখেলা অনুষ্ঠিত হয়। বলীখেলাকে ঘিরে তিন দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা বসে লালদীঘির আশপাশের এলাকায়। এর আগে বৃহস্পতিবার থেকে লালদীঘির মাঠ ও আশপাশের এলাকায় শুরু হয়েছে বৈশাখী মেলা। ঝাড়ু ও তালপাতার হাতপাখা ছিল নারী-পুরুষের প্রথম পছন্দ। গৃহস্থালির বিভিন্ন সামগ্রী, শিশু–কিশোরদের খেলনা, গৃহসজ্জার জিনিস, তৈজসপত্র, ঝাড়ু, কুড়াল, আসবাবপত্র, গাছপালা, কী নেই এই মেলায়! আগামীকাল শনিবার শেষ হবে এই প্রাণের মেলা। ১৯০৯ সালে বকশিরহাটের ব্যবসায়ী আবদুল জব্বার সওদাগর ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যুবসমাজকে উদ্বুদ্ধ করতে এই বলীখেলার প্রচলন করেছিলেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র বল খ ল
এছাড়াও পড়ুন:
বন্ধুদের নিয়ে ‘উড়াল’
আট বছর আগে জোবায়দুর রহমানকে গল্পটা শুনিয়েছিলেন সম্রাট প্রামানিক। জোবায়দুর তখন সহকারী পরিচালক, স্বপ্ন চলচ্চিত্র নির্মাতা হওয়া। কয়েক বছর পর সত্যি সত্যিই যখন সিনেমা নির্মাণের কথা ভাবলেন, শুরুতেই তাঁর সেই গল্পের কথা মনে পড়ল। সম্রাটকে ফোন করলেন জোবায়দুর, চায়ের দোকানে বসে আবারও গল্পটা শুনলেন। ঠিক করলেন, এ গল্প থেকেই ছবি বানাবেন তিনি।
পেশাদার কোনো প্রযোজকের কাছে যাননি জোবায়দুর, নিজেরাই স্বাধীনভাবে ছবিটি নির্মাণ করেছেন; পাশে ছিলেন ভাই-বন্ধুরা। নির্মাতা বললেন, ‘এটাই আমার প্রথম নির্মাণ, আগে কোনো কাজ করিনি। কী করা যায়? আশপাশের ভাই–বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করলাম। শরীফ সিরাজ, সম্রাট প্রামানিক, জহিরুল ইসলামসহ তিন-চারজন মিলে কাজটা শুরু করি।’ তাঁরা কেন বিনিয়োগ করলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে নির্মাতা জোবায়দুর বলেন, ‘গল্পের কারণে আগ্রহী হয়েছেন তাঁরা।’
শুটিংয়র ফাঁকে তোলা ছবি