ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ জানিয়েছেন, ‘গাবতলি টার্মিনালে আন্তঃজেলা বাস প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য আলাদা রাস্তা নির্মাণ করা হবে। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের সব আন্তঃজেলা বাস বিআরটিএর ডিপোতে প্রবেশ এবং ডিপো থেকে বের হওয়ার ক্ষেত্রে এই রাস্তা ব্যবহার করবে। আন্তঃজেলা বাসের যাতায়াতের জন্য এটি হবে ডেডিকেটেড রাস্তা।’ তিনি জানান, ‘আন্তঃজেলা বাস আমিনবাজার ব্রিজ হয়ে সোজা রাস্তা দিয়ে আর ডিপোতে প্রবেশ করবে না এবং ডিপো থেকে বের হবে না। এর ফলে গাবতলি টার্মিনালকেন্দ্রিক শৃঙ্খলা ফিরবে। যানজট ব্যাপকভাবে কমে যাবে।’

শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর গাবতলি টার্মিনালের বিআরটিএ ডিপো পরিদর্শন শেষে এ সংক্রান্ত এক সভায় তিনি এসব কথা বলেছেন।

এসময় তিনি বলেন, ‘সড়কে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে ডিএনসিসি, বিআরটিএ, ডিএমপিসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো সমন্বিতভাবে কাজ করছে। গাবতলি টার্মিনালের বাহিরে কোন গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে না। এছাড়া টার্মিনালের বাহিরে কোন পরিবহনের টিকেট কাউন্টার থাকবে না। আন্তঃজেলা যাতায়াতের সব কাজ হবে টার্মিনালের ভিতরে।’

তিনি জানান, ‘ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করতে দ্রুত সময়ের মধ্যে মিরপুর-১ থেকে মিরপুর-১৩ পর্যন্ত প্রধান সড়কে ট্র‍াপার বসানো হবে। এছাড়াও যেসব ওয়ার্কসপে অবৈধ অটোরিকশা বানানো ও মেরামত হয় সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেসব ওয়ার্কসপ বন্ধ করে দেওয়া হবে।’

বিআরটিএ ডিপো পরিদর্শন ও সভায় অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান মো.

ইয়াসীন, ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগে. জেনা. মো. মঈন উদ্দিন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরওয়ার, ডিএনসিসির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুর রহমান, অঞ্চল-৪ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন, নির্বাহী প্রকৌশলী (ট্রাফিক সার্কেল) নাঈম রায়হান খান প্রমুখ।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ড এনস স গ বতল ব আরট এ ড এনস স প রব শ গ বতল

এছাড়াও পড়ুন:

সুদানে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী হতাহতের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার শোক

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের অতর্কিত ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীদের হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

প্রধান উপদেষ্টা শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, “শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালনের সময় আমাদের ছয়জন বীর শান্তিরক্ষীর শাহাদাত বরণ এবং আরো আটজনের আহত হওয়ার সংবাদে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের বিপুল অবদান আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত; বীরদের এই আত্মত্যাগ একদিকে জাতির গৌরব, অন্যদিকে গভীর বেদনার।”

আরো পড়ুন:

সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত: আইএসপিআর

ঢামেক হাসপাতালে নিরাপত্তা জোরদার

তিনি নিহত শান্তিরক্ষীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। একই সঙ্গে আহত শান্তিরক্ষীদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আহত শান্তিরক্ষীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিত করতে  জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইতিমধ্যেই জাতিসংঘের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। এই দুঃসময়ে সরকার শান্তিরক্ষীদের পরিবারগুলোর পাশে থাকবে।”

বিবৃতিতে তিনি এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা আন্তর্জাতিক শান্তি ও মানবতার বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধ।”

তিনি জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা আরও জোরদারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।

নিহত শান্তিরক্ষীদের মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা এবং আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ চালিয়ে যাবে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ