একসময় চিঠিই ছিল যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম। কাগজের পাতায় লেখা হতো অনুভূতির ভাষা—ভালোবাসা, অভিমান, অপেক্ষা কিংবা বিদায়ের কথা। আজকের দ্রুতগতির প্রযুক্তিনির্ভর যুগে চিঠি যেন হারিয়ে যেতে বসেছে। সেই ভুলে যাওয়া চিঠিকে নতুন করে আবিষ্কারের লক্ষ্যে হুমায়ূন আহমেদের ভক্তদের সংগঠন হিমু পরিবহণ–এর ব্যতিক্রমী ধারাবাহিক আয়োজন—চিঠি উৎসব ‘ডাকপিয়ন ৩’। গতকাল শুক্রবার বেলা তিনটায় রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে দুই দিনব্যাপী এ উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
চিঠির গুরুত্ব ও আবেদন তুলে ধরতে ফেসবুক ইভেন্টের মাধ্যমে দেশ–বিদেশ থেকে চিঠি আহ্বান করে হিমু পরিবহণ। এতে ব্যাপক সাড়া মেলে। অনেকেই তাঁদের পুরোনো চিঠি, পারিবারিক স্মৃতিচিহ্ন, প্রেমপত্র কিংবা কোনো বিখ্যাত ব্যক্তির লেখা দুর্লভ চিঠি পাঠান। প্রাপ্ত চিঠিগুলোর মধ্য থেকে বাছাই করে সর্বমোট ৬৪টি চিঠি স্থান পেয়েছে এবারের প্রদর্শনীতে।
আরও পড়ুনটাইমস হায়ার এডুকেশন র্যাঙ্কিং: দেশসেরা বুয়েট ও ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাবির অবস্থান কোথায়২৫ এপ্রিল ২০২৫চিঠিগুলোর ধরনও বৈচিত্র্যময়। কিছু চিঠি কোনো প্রিয়জনের উদ্দেশে লেখা, কিছু আবার কখনো পাঠানো হয়নি—রয়ে গেছে ড্রয়ারে আটকে। কোনোটি নিছকই ব্যক্তিগত, আবার কোনোটি ইতিহাসের অংশ, যেখানে উঠে এসেছে বিশেষ কোনো সময়ের পটভূমি কিংবা সামাজিক বাস্তবতা। প্রদর্শনীর অন্যতম আয়োজক রুপম জানান, ‘আমরা চেষ্টা করেছি এমন চিঠিগুলো তুলে ধরতে, যেগুলোয় শুধু লেখার সৌন্দর্য নেই, রয়েছে একটা সময়। একটা অনুভব।’
প্রদর্শনীর প্রথম দিনেই ছিল উল্লেখযোগ্য দর্শনার্থীর ভিড়। নানা বয়সী দর্শনার্থী এসে পড়ছেন চিঠির পৃষ্ঠা। কেউ থমকে দাঁড়িয়েছেন কোনো ছাপার অক্ষরে। কেউবা নীরবে চোখ মুছছেন নিজের ফেলে আসা দিনগুলোর কথা মনে করে।
হিমু পরিবহণের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা চিঠিকে শুধু একটি প্রদর্শনীর বস্তু হিসেবে দেখছে না; বরং এটি মানুষের অনুভূতি, সময় ও সম্পর্কের সাক্ষ্য বাহক হিসেবে নতুন প্রজন্মের সামনে উপস্থাপন করতে চায়।
আজ শনিবার বেলা তিনটা থেকে দুই দিনব্যাপী চিঠি প্রদর্শনী ‘ডাকপিয়ন ৩’–এর শেষ দিনের প্রদর্শনী। হুমায়ূন–ভক্তদের সংগঠন হিমু পরিবহণের আয়োজনে এই ভিন্নধর্মী চিঠি উৎসবে দর্শনার্থীরা দেখতে পারবেন দেশ–বিদেশ থেকে সংগৃহীত ৬৪টি বাছাই করা চিঠি। যার মধ্যে রয়েছে ব্যক্তিগত, ঐতিহাসিক ও বিখ্যাত ব্যক্তিদের চিঠিও।
আরও পড়ুনপিএইচডি ফেলোশিপ দিচ্ছে সরকার, গবেষকেরা মাসে পাবেন ২৫০০০৫ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
যে কারণে সালাহ-ফন ডাইকদের কাছে এই শিরোপা বিশেষ
একসময় ইংলিশ ফুটবলের রাজা তারাই ছিল। ষাটের দশকের মাঝামাঝি থেকে আশির দশকের শেষ পর্যন্ত তো বলতে গেলে লিভারপুলেরই একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল ইংল্যান্ডের শীর্ষ লিগে। তখন অবশ্য নামটা প্রিমিয়ার লিগ ছিল না, ছিল প্রথম বিভাগ লিগ। ১৯৯২ সালে প্রিমিয়ার লিগ নাম হওয়ার পর থেকে যেন লিভারপুলের দুর্ভাগ্যের শুরু। প্রথম বিভাগ যুগে ১৮টি লিগ জেতা লিভারপুল প্রিমিয়ার লিগ যুগে এসে জিততেই ভুলে গেল!
প্রিমিয়ার লিগে শুরু হলো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের একচ্ছত্র রাজত্ব। স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের অধীন ১৩বার লিগ জিতে ইউনাইটেডের মোট লিগ শিরোপা হয়ে গেল ২০টি। লিভারপুলকে পেরিয়ে তারা হয়ে গেল ইংল্যান্ডের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল ক্লাব।
ইউনাইটেডের সেই আধিপত্যও শেষ হলো ২০১৩ সালে ফার্গুসনের অবসরের পর। কিন্তু রাজত্ব ফিরে পেল না লিভারপুল। ইংলিশ ফুটবলের নতুন রাজা হয়ে ওঠল ম্যানচেস্টার সিটি। পেপ গার্দিওলার অধীন সর্বশেষ সাত মৌসুমে ছয়বার শিরোপা জিতে সিটি একের পর এক নতুন রেকর্ড গড়তে থাকল।
আরও পড়ুনলাল সমুদ্রে গোল উৎসবে চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল১১ ঘণ্টা আগেমাঝে ২০১৯-২০ মৌসুমে ৩০ বছর পর লিভারপুল পেল ইংলিশ লিগের শিরোপার স্বাদ। তবে পৃথিবী তখন করোনা মহামারি চলছে। শিরোপা উৎসব হলো না লিভারপুলের মনের মতো।
এবার আর্নে স্লটের অধীন প্রথম মৌসুমেই আবার চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল। সেটাও কী রাজকীয়ভাবে! চার ম্যাচ হাতে রেখে, নিজেদের মাঠ অ্যানফিল্ডে, ভরা গ্যালারির সামনে। লিভারপুলের এটি ২০তম লিগ শিরোপা, ইউনাইটেডের সঙ্গে যৌথভাবে তারাও এখন ইংল্যান্ডের সবচেয়ে সফল ক্লাব।
ইতিহাস গড়া এই ট্রফি জেতার পর কী বলছেন লিভারপুলের খেলোয়াড়েরাকোডি গাকপোর উদ্যাপন