১০ জনের মোহামেডানের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র আবাহনীর
Published: 26th, April 2025 GMT
আবাহনী-মোহামেডান মানেই বাড়তি উত্তেজনার লড়াই। নব্বই দশকের সেই চেনা ঝাঁজ এখন আর না থাকলেও, দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর ম্যাচে গ্যালারি থেকে মাঠ—সব জায়গাতেই ছড়িয়ে পড়ে টানটান উত্তাপ। কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে শনিবারের ম্যাচেও দেখা গেল সেই চিত্র। নাটকীয়তা ও দুই দফা খেলা বন্ধ হওয়ার মধ্যেও গোলের দেখা পেল না কোনো দল। ফলে জমজমাট লড়াই শেষ হলো গোলশূন্য ড্রয়ে।
এই ড্রয়ে অবশ্য লাভ হয়েছে মোহামেডানের। আলফাজ আহমেদের দল এখন ৩১ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে শীর্ষে। আর ২৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আবাহনী।
ম্যাচের শুরুটা ছিল ধীর গতির। অষ্টম মিনিটে সুমন রেজার হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এরপর ধীরে ধীরে গতি পেল খেলা। তবে বিরতির আগে মোহামেডান বড় ধাক্কা খায়। আবাহনীর সুমন রেজাকে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন মাহবুব আলম। এ ঘটনা গ্যালারিতে উত্তেজনা ছড়ায়। দর্শকরা ফ্লেয়ার ও বস্তু ছুড়ে মারলে পাঁচ মিনিটের জন্য খেলা বন্ধ হয়ে যায়।
খেলা শুরুর পর আবারও গ্যালারিতে বিশৃঙ্খলা বাধে। এবার বোতল ছুড়ে মারেন দর্শকরা। মোহামেডানের খেলোয়াড়রা শান্ত থাকার আহ্বান জানালেও পরিস্থিতি সামাল দিতে শেষ পর্যন্ত পুলিশের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন হয়। দশ মিনিট বন্ধ থাকার পর আবার শুরু হয় ম্যাচ।
এসবের প্রভাব পড়ে মাঠের খেলাতেও। দুই দলই ছন্দ হারিয়ে ফেলে। দ্বিতীয়ার্ধে সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন আবাহনীর মোহাম্মদ ইব্রাহিম। গোলরক্ষক সুজন হোসেনের ভুলে ফাঁকা পোস্ট পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন তিনি।
শেষ দিকে আবাহনী কিছু আক্রমণ করলেও ফল আসেনি। ফলে ১০ জনের মোহামেডানের বিপক্ষেও ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচন চায় ছাত্রশিবির
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন চলতি মাসের ২৭ নভেম্বর আয়োজনের দাবি জানিয়েছে শাখা ইসলামী ছাত্রশিবির।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সংগঠনটির নেতারা জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসান বরাবর এ দাবি জানিয়ে একটি স্মারকলিপি দেন।
আরো পড়ুন:
জকসু নির্বাচন নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ ছাত্র সংগঠনগুলোর
জবি প্রশাসনের কাছে ২০ দাবি জানাল ইউটিএল
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ২০ বছর পর এই প্রথম জকসু নির্বাচন হতে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি ও আন্দোলনের পর প্রশাসন নির্বাচন আয়োজনের রোডম্যাপ প্রকাশ করেছে। কিন্তু সম্প্রতি একটি গোষ্ঠী নির্বাচন বানচালের নীলনকশা শুরু করেছে, যা শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকার ক্ষুণ্নের অপচেষ্টা।
এতে আরো বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পূর্বনির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী নির্বাচন না করলে তা হবে শিক্ষার্থীদের ভোটাধিকার হরণের সামিল। কারণ ১৩ ডিসেম্বর থেকে ২১তম ব্যাচের ভর্তি পরীক্ষা, ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস এবং পরবর্তী শীতকালীন ছুটির কারণে ডিসেম্বর মাসে নির্বাচন করা সম্ভব নয়।
এ সময় সংগঠনটির নেতারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ঘোষিত তারিখ অনুযায়ী ২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। নির্বাচন বিলম্বের কোনো যৌক্তিক কারণ নেই।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী