আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করাসহ জুলাই গণহত্যার বিচার, রাষ্ট্রীয় সংস্কার এবং গণপরিষদ নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। সেখানে তাঁরা বলেন, বিচার ও সংস্কারের আগে জাতীয় নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না।

আজ শনিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বরের স্বাধীনতা চত্বরে (গোলচত্বর) এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে দলটি। এতে জাতীয় নাগরিক পার্টির মিরপুর ও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার নেতা–কর্মীরা অংশ নেন। সমাবেশ শেষে একটি মিছিল মিরপুর ১০ থেকে শুরু হয়ে মিরপুর মডেল থানার সামনে গিয়ে শেষ হয়।

বিক্ষোভ মিছিল থেকে ‘বিচার, বিচার, বিচার চাই, আওয়ামী লীগের বিচার চাই’, ‘অ্যাকশন টু অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাশশন’, ‘আওয়ামী লীগের গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে’ এমন বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়।

সমাবেশে যোগ দিয়ে বক্তব্য দেন শহীদ মিরাজের বাবা মাসুদ ফরাজী। তিনি বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নিহতদের হত্যার বিচারের আগে দেশে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। আগে বিচার ও সংস্কার, পরে নির্বাচন হতে হবে। আমরা আজকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি জানাচ্ছি।’

এনসিপির মিরপুর থানা প্রতিনিধি রাসেল খন্দকার বলেন, ‘বিচারের আগে কোনো নির্বাচন নয়, আগে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের স্বীকৃতি দিতে হবে। না হলে আমাদের আন্দোলনের বৈধতা কোথায়? শহীদদের বৈধতা কোথায়? এখানে সংবিধানের দোহাই দিয়ে ’৭২ সাল থেকে স্বৈরাচার কায়েম করা হয়েছে।’

সংস্কার এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রোক্লেমেশন (ঘোষণাপত্র) ছাড়া কোনো নির্বাচন নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের দাবি না মানা হলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’

সমাবেশে বক্তব্য দেন এনসিপির মিরপুর মডেল থানা প্রতিনিধি এস এম সায়েম, তানভীর আহমেদ, গোলাম রব্বানী, শাহ আলী থানা প্রতিনিধি রানা খানসহ প্রমুখ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এনস প আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

চিকিৎসার অভাবে শ্রমিক মৃত্যুর অভিযোগ, বন্দরে মহাসড়ক অবরোধ

অসুস্থ শ্রমিককে ছুটি না দেওয়া, চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণের প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অবরোধ করেন শ্রমিকরা। এতে মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনে যানজটের সৃষ্টি হয়। সোমবার (৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মহাসড়কের মদনপুর অংশে তারা এ অবরোধ করে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিচারের আশ্বাসে এগারোটায় মহাসড়ক থেকে সরে যায় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। 

শ্রমিকরা জানান, 'লারিস ফ্যাশন' নামে একটি রপ্তানিমুখি গার্মেন্টসের নারী শ্রমিক রিনা (৩০) অসুস্থ অবস্থায় ডিউটি করে যাচ্ছিলেন। গতকাল তিনি অসুস্থতা বোধ করলে কর্তৃপক্ষের কাছে ছুটির আবেদন করেন। তবে কর্তৃপক্ষ তার আবেদনে কোনো সাড়া না দিয়ে কাজ করে যেতে বাধ্য করেন। পরে অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে সহকর্মীরা তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত শ্রমিক রিনা কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার দুলালের মেয়ে। অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ এ মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। 

বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ লিয়াকত আলী জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সড়িয়ে দেন। সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক ও পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ