রাজশাহী নগরের বালিয়াপুকুর বড় বটতলা এলাকায় বিএনপি–সমর্থিত দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে ছুরিকাঘাতে চারজন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের সময় ফাঁকা গুলির ঘটনাও ঘটেছে।

আহত ব্যক্তিরা হলেন ওই এলাকার মো. ফিটুর ছেলে নির্ঝর (২৮), হান্নানের ছেলে বিপ্লব (২৮), বাবলুর ছেলে হিমেল (৩৫) এবং শুভ (২৮)। তাঁদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল সন্ধ্যার দিকে বালিয়াপুকুর এলাকায় ক্যারম খেলা হচ্ছিল। এ সময় শুভ নামের এক যুবক হিমেলকে বলেন, তাঁদের কারণে এলাকায় অশান্তি হচ্ছে এবং তাঁদের নামে মামলা রয়েছে। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে হিমেল সেখানে লোকজন ডেকে আনেন। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে ছুরিকাঘাতে শুভ, হিমেলসহ চারজন আহত হন। এ সময় ফাঁকা গুলি ছোড়ার ঘটনাও ঘটে।

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ রকিবুল হাসান ইবনে রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপি–সমর্থিত দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। কয়েকজন আহত হয়েছেন। তবে তাঁদের অবস্থা গুরুতর নয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

মোহাম্মদ রকিবুল হাসান জানান, কয়েক দিন আগের একটি ঘটনার জেরে ঘটনার সূত্রপাত। ওই এলাকায় কনস্ট্রাকশন কাজে বিভিন্ন উপকরণ সরবরাহ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। এ নিয়ে মামলা হয়েছে এবং একজন গ্রেপ্তার আছেন। গতকালের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদেরও গ্রেপ্তার করা হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ঘর ষ এল ক য়

এছাড়াও পড়ুন:

সবাই ভেবেছিলেন কিশোরী ডুবে গেছে, ১০ দিন পর ফোন করে জানাল সে গাজীপুরে আছে

১০ দিন আগে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল করতে গিয়েছিল কিশোরী সোহানা খাতুন। বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান পায়নি। তবে গত বুধবার রাতে মাকে ফোন করেছে সোহানা; জানিয়েছে সে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।

নিখোঁজ হওয়া কিশোরীর নাম সোহানা খাতুন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম কারিগর পাড়ায়। তার বাবা গোলাম মওলা ও মা শিরিনা খাতুন।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯ জুলাই দুপুরে বাড়ির পাশের মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল ও কাপড় ধুতে গিয়েছিল সোহানা। দীর্ঘ সময়েও না ফেরায় তার মা নদীর ধারে যান; দেখেন, সোহানার কাপড় পড়ে আছে। এরপর স্বজন ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ওই রাতে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায়। পরদিন খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ১২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান না পেয়ে অভিযান স্থগিত করে। ২১ জুলাই এক কবিরাজ এনে নদীতে খোঁজার চেষ্টাও করেন সোহানার বাবা–মা।

এমন অবস্থায় বুধবার রাতে হঠাৎ সোহানা তার মায়ের ফোনে কল দিয়ে জানায়, সে ঢাকার গাজীপুরে তার প্রাক্তন স্বামীর কাছে রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সোহানার বাবা গোলাম মওলা। তিনি বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম, মেয়ে নদীতে ডুবে গেছে। সবাই মিলে খোঁজাখুঁজি করেছি। এমনকি কবিরাজও এনেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ বুধবার আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে জানায়, সে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে। আমরা বিষয়টি গতকাল রাতে পুলিশকে জানিয়েছি।’ বিষয়টি বুঝতে না পেরে সবাইকে কষ্ট দেওয়ার জন্য তিনি ক্ষমা চান।

স্থানীয় লোকজন জানান, প্রায় দুই বছর আগে খালাতো ভাই কুতুব উদ্দিনের সঙ্গে পালিয়ে যায় সোহানা এবং দুজন বিয়ে করে। তবে বনিবনা না হওয়ায় তিন মাস আগে সোহানা তাকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে। নদীতে নিখোঁজ হওয়ার ‘নাটক’ করে সে পালিয়ে গেছে।

এ বিষয়ে কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম বলেন, শুরুতে পরিবারের লোকজন জানিয়েছিল, নদীতে গোসলে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে সোহানা। গতকাল আবার তার বাবা জানিয়েছে, মেয়ে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ