নোয়াখালীর সদর উপজেলায় বজ্রপাতে এক দিনমজুরের মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার বেলা পৌনে ১১টার দিকে নোয়াখালী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জালিয়াল গ্রামের দালাল বাড়িতে ওই ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম নুরুল আমিন (৪২)। তিনি উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সল্যাঘটিইয়া গ্রামের নূর আহমেদের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নুরুল আমিনসহ চার দিনমজুর একটি বাড়িতে গাছ কাটার কাজ করছিলেন। এর মধ্যেই বিকট শব্দে বজ্রপাত হলে নুরুল আমিন নিহত হন। তাঁর চোখ ও কান দিয়ে রক্ত বের হয়।

সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের মাধ্যমে তিনি বজ্রপাতে এক শ্রমিকের মৃত্যুর বিষয়টি জেনেছেন। তবে নিহত ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।

নোয়াখালী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.

রফিকুল ইসলাম বলেন, জেলা শহর মাইজদীতে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় ২৯ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড হয়েছে। আজ সারা দিন থেমে থেমে বৃষ্টি এবং বজ্রসহ বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে।

গত কয়েক দিনের অসহনীয় তাপপ্রবাহের পর আজ সকালের বৃষ্টিতে জনজীবনে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। তবে জমি থেকে পাকা বোরো ধান কাটা, মাড়াই দেওয়া ও শুকিয়ে ঘরে তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকেরা।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সুদানে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী হতাহতের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার শোক

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের অতর্কিত ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীদের হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

প্রধান উপদেষ্টা শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, “শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালনের সময় আমাদের ছয়জন বীর শান্তিরক্ষীর শাহাদাত বরণ এবং আরো আটজনের আহত হওয়ার সংবাদে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের বিপুল অবদান আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত; বীরদের এই আত্মত্যাগ একদিকে জাতির গৌরব, অন্যদিকে গভীর বেদনার।”

আরো পড়ুন:

সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত: আইএসপিআর

ঢামেক হাসপাতালে নিরাপত্তা জোরদার

তিনি নিহত শান্তিরক্ষীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। একই সঙ্গে আহত শান্তিরক্ষীদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আহত শান্তিরক্ষীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিত করতে  জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইতিমধ্যেই জাতিসংঘের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। এই দুঃসময়ে সরকার শান্তিরক্ষীদের পরিবারগুলোর পাশে থাকবে।”

বিবৃতিতে তিনি এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা আন্তর্জাতিক শান্তি ও মানবতার বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধ।”

তিনি জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা আরও জোরদারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।

নিহত শান্তিরক্ষীদের মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা এবং আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ চালিয়ে যাবে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ