আর মাত্র এক পয়েন্ট। সেটুকু পেলেই ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের নতুন চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে লিভারপুল। আজ রোববার টটেনহ্যাম হটস্পারের বিপক্ষে মাঠে নামবে অলরেডরা। জয় কিংবা ড্র—দুয়ের যেকোনো একটি ফল পেলেই আগেভাগেই শিরোপা নিশ্চিত করবে আর্নে স্লটের দল।

লিভারপুলের শিরোপা উৎসবের মঞ্চ প্রস্তত হয়েছে গত ২৪ এপ্রিল আর্সেনালের হোঁচট খাওয়ায়। ক্রিস্টাল প্যালেসের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করে আর্সেনাল তাদের ৩৪তম ম্যাচ শেষে পয়েন্ট দাঁড় করিয়েছে ৬৭-তে। অন্যদিকে ৩৩ ম্যাচে লিভারপুলের পয়েন্ট ৭৯। ফলে টটেনহ্যামের বিপক্ষে অন্তত এক পয়েন্ট পেলেই অলরেডদের আর ধরা সম্ভব হবে না।

শিরোপা সামনে দেখেও বাড়তি আত্মবিশ্বাস দেখাতে নারাজ কোচ আর্নে স্লট। তিনি বলেন, ‘শেষবার আমরা লিগ জিতেছিলাম কোভিডের সময়। এবারও অনেক প্রত্যাশা। তবে এখনই কিছু ভাবছি না। অন্তত এক পয়েন্ট চাই। দলকে পুরো ফিট রাখতে হবে, কারণ রেলিগেশন অঞ্চল থেকেও দলগুলো বড় চমক দেখাচ্ছে। টটেনহ্যাম কঠিন প্রতিপক্ষ, আগেও তাদের বিপক্ষে লড়েছি।’

লিভারপুল সর্বশেষ ২০১৯-২০ মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগের ট্রফি জিতেছিল। এরপর ২০২০-২১ মৌসুমে তারা ছিল তৃতীয়, ২০২১-২২ তে রানার্সআপ এবং ২০২২-২৩ মৌসুমে পঞ্চম হয়েছিল। চলতি মৌসুমে স্লটের অধীনে নতুন করে শিরোপার স্বাদ পেতে মুখিয়ে আছে অ্যানফিল্ডের সমর্থকরা। বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ৩০ মিনিটে টটেনহ্যামের বিপক্ষে শুরু হবে শিরোপা নির্ধারক এই লড়াই।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ