মহাকাশে বিশাল আকারের মৃত ছায়াপথের খোঁজ পাওয়া গেছে
Published: 27th, April 2025 GMT
‘রুবিস–ইউডিএস–কিউজি–জেড৭’ নামের বিশাল আকারের মৃত ছায়াপথের (গ্যালাক্সি) খোঁজ পাওয়া গেছে। বিজ্ঞানীদের দাবি, ছায়াপথটি এরই মধ্যে তারা গঠনের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। আর তাই ছায়াপথটিকে মৃত ছায়াপথ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এটি এখন পর্যন্ত সন্ধান পাওয়া সবচেয়ে দূরবর্তী বিশাল মৃত ছায়াপথ।
সুইজারল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব জেনেভার বিজ্ঞানীদের নেতৃত্বে বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা এই মৃত ছায়াপথ নিয়ে গবেষণা করছেন। বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, একটি ছায়াপথ যখন নতুন তারা গঠন করা বন্ধ করে দেয়, তখন তাকে মৃত ছায়াপথ বলে। ছায়াপথে যখন গ্যাসের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়, তখন নক্ষত্রের গঠনও স্থবির হয়ে পড়ে। মহাকাশে থাকা অনেক ছায়াপথ প্রত্যাশার তুলনায় বেশ আগেই তারা গঠন করা বন্ধ করে দিয়েছে।
আরও পড়ুনমহাকাশ থেকে ফিরলে নভোচারীদের শরীরে যেসব প্রভাব পড়ে১৭ মার্চ ২০২৫খোঁজ পাওয়া ছায়াপথটি গত বছরের মার্চে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ প্রথম শনাক্ত করে। জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের তোলা ছবি পর্যালোচনা করে বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, মহাবিশ্বের শুরু বা বিগ ব্যাং বিস্ফোরণের ৭০ কোটি বছর পর ছায়াপথটির তারা গঠন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। প্রায় ৬৫০ আলোকবর্ষ দূরে থাকা ছায়াপথটির মতো আরও অনেক মৃত ছায়াপথ মহাবিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে আছে। এ ধরনের ছায়াপথগুলোয় অনুজ্জ্বল তারা থাকলেও নতুন ও উজ্জ্বল তারা গঠনের জন্য পর্যাপ্ত ঠান্ডা গ্যাস ও ধুলার অভাব রয়েছে।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে বিজ্ঞানীরা মহাবিশ্বের প্রাথমিক সময়ের সক্রিয় তারা গঠন করা ছায়াপথ পর্যবেক্ষণ করছেন। তবে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে শুধু সক্রিয় নয়, মৃত ছায়াপথ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম ত ছ য় পথ ছ য় পথট গঠন ক
এছাড়াও পড়ুন:
প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিকের লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ পরিবারের
নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিক সৈয়দ মাসুম বিল্লাহর (২০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মাসুমের বাম হাতের একটি আঙুলের নখ উপড়ে ফেলার আলামত থাকায় তার পরিবার অভিযোগ করছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে কালনা মধুমতি সেতুর পশ্চিম পাশে রাস্তার ওপর মাসুমকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ইজিবাইকের চালক সুজন শেখ তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। বিকেলে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
মাসুম বিল্লাহ লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামের মৃত সৈয়দ রকিবুল ইসলামের ছেলে।
আরো পড়ুন:
জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় চট্টগ্রামে প্রথম অভিযোগপত্র দাখিল
সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা: ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন
মাসুমের স্বজনরা জানিয়েছেন, শালনগর ইউনিয়নের এক কিশোরীর সঙ্গে মাসুমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির বিয়ের খবর পেয়ে শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে তিনি ঢাকা থেকে লোহাগড়ায় আসেন। সকালে পরিবারের সঙ্গে তার শেষবার কথা হয়, এরপর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।
মাসুম বিল্লাহর চাচা শরিফুল ইসলাম বলেছেন, “আমরা শুনেছি, সকালে লোহাগড়া বাজারের একটি পার্লারে মেয়েটির সঙ্গে মাসুমের কথা হয়। এর পর মেয়েটির বাবার কাছ থেকে হুমকি পায় সে। পরে হাসপাতাল থেকে ফোন পেয়ে মাসুমের মৃত্যুর খবর জানি। তার বাম হাতের নখ উপড়ানো ছিল। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”
মাসুমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া ইজিবাইক চালক সুজন বলেছেন, “ঘটনাস্থলে কোনো দুর্ঘটনার চিহ্ন ছিল না। তবে মনে হয়েছে, কেউ মাসুমকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়েছে।”
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম শনিবার (২ আগস্ট) সকালে সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা মাসুম বিল্লাহকে মৃত অবস্থায় লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে থানায় নিয়ে আসি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।”
ঢাকা/শরিফুল/রফিক