‘রুবিস–ইউডিএস–কিউজি–জেড৭’ নামের বিশাল আকারের মৃত ছায়াপথের (গ্যালাক্সি) খোঁজ পাওয়া গেছে। বিজ্ঞানীদের দাবি, ছায়াপথটি এরই মধ্যে তারা গঠনের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। আর তাই ছায়াপথটিকে মৃত ছায়াপথ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এটি এখন পর্যন্ত সন্ধান পাওয়া সবচেয়ে দূরবর্তী বিশাল মৃত ছায়াপথ।

সুইজারল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব জেনেভার বিজ্ঞানীদের নেতৃত্বে বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা এই মৃত ছায়াপথ নিয়ে গবেষণা করছেন। বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, একটি ছায়াপথ যখন নতুন তারা গঠন করা বন্ধ করে দেয়, তখন তাকে মৃত ছায়াপথ বলে। ছায়াপথে যখন গ্যাসের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়, তখন নক্ষত্রের গঠনও স্থবির হয়ে পড়ে। মহাকাশে থাকা অনেক ছায়াপথ প্রত্যাশার তুলনায় বেশ আগেই তারা গঠন করা বন্ধ করে দিয়েছে।

আরও পড়ুনমহাকাশ থেকে ফিরলে নভোচারীদের শরীরে যেসব প্রভাব পড়ে১৭ মার্চ ২০২৫

খোঁজ পাওয়া ছায়াপথটি গত বছরের মার্চে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ প্রথম শনাক্ত করে। জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের তোলা ছবি পর্যালোচনা করে বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, মহাবিশ্বের শুরু বা বিগ ব্যাং বিস্ফোরণের ৭০ কোটি বছর পর ছায়াপথটির তারা গঠন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। প্রায় ৬৫০ আলোকবর্ষ দূরে থাকা ছায়াপথটির মতো আরও অনেক মৃত ছায়াপথ মহাবিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে আছে। এ ধরনের ছায়াপথগুলোয় অনুজ্জ্বল তারা থাকলেও নতুন ও উজ্জ্বল তারা গঠনের জন্য পর্যাপ্ত ঠান্ডা গ্যাস ও ধুলার অভাব রয়েছে।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে বিজ্ঞানীরা মহাবিশ্বের প্রাথমিক সময়ের সক্রিয় তারা গঠন করা ছায়াপথ পর্যবেক্ষণ করছেন। তবে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে শুধু সক্রিয় নয়, মৃত ছায়াপথ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম ত ছ য় পথ ছ য় পথট গঠন ক

এছাড়াও পড়ুন:

সবার নজরের বাইরে থাকা চৈতী দেশের জন্য আনল স্বর্ণপদক

একটু বড় হওয়ার পর মেয়েকে দেখে চিন্তায় পড়ে যান মা–বাবা। অন্য শিশুদের মতো বাড়ছে না সে। হাত–পা ছোট, উচ্চতাও থমকে গেছে। পরে বুঝতে পারেন—চৈতী বামন।

যে মেয়েকে নিয়ে একসময় দুশ্চিন্তার পাহাড়ে আটকা পড়েছিল পরিবার, আজ সেই চৈতীই আনন্দের আলো ছড়াচ্ছে। দেশের জন্য প্রথমবারের মতো এশিয়ান ইয়ুথ প্যারা গেমসে স্বর্ণপদক এনে দিয়েছে চৈতী রানী দেব।

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভূনবীর গ্রামের শিলু রানী দেব ও সত্য দেবের মেয়ে চৈতীর বয়স ১৩ বছর। উচ্চতা মাত্র ৩ ফুট ৭ ইঞ্চি। কিন্তু তার লক্ষ্য নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া । সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে চলমান এশিয়ান ইয়ুথ প্যারা গেমস ২০২৫–এ বর্শা নিক্ষেপ ও ১০০ মিটার দৌড়ে সে জিতে নিয়েছে দুটি স্বর্ণপদক। ৭ ডিসেম্বর এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে, চলবে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

চৈতীর প্রতিভা আছে। অনুশীলনে সে খুব আন্তরিক। সে কিছু করতে চায়। আশা করছি, ওকে দিয়ে একটা ভালো ফলাফল পাবমেহেদী হাসান, বিকেএসপির প্রধান প্রশিক্ষক

চৈতীর স্বর্ণপদক পাওয়ার বিষয়টি দুবাই থেকে প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন স্পোর্টস ফর হোপ অ্যান্ড ইনডিপেনডেন্সের (শি) প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী শারমিন ফারহানা চৌধুরী।

যে মেয়েকে সবাই দেখত শুধু উচ্চতায়

ভূনবীর দশরথ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী চৈতী একসময় গ্রামবাসীর নজরে পড়ত শুধু তার খর্বাকৃতির জন্য। খেলাধুলায় তার যে অসাধারণ প্রতিভা আছে, তা ছিল চোখের আড়ালে।

তবে এই ছবি এখন বদলে গেছে। গ্রামবাসী বাড়িতে এসে খোঁজ নেন। শিক্ষকেরা খেলতে উৎসাহ দেন, ছবি তোলেন। স্কুলে সে এখন ‘তারকা’।

দুবাইয়ে বর্শা নিক্ষেপে স্বর্ণপদক জয়ের পর চৈতী

সম্পর্কিত নিবন্ধ