সাবেক এমপি নদভী ও পরিবারের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধান শুরু
Published: 27th, April 2025 GMT
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দীন নদভী, তার স্ত্রী ও শ্যালকের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর উপ-পরিচালক তিন সদস্যের অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেন।
অনুসন্ধান কমিটির দলনেতা করা হয়েছে দুদকের সহকারী পরিচালক এমরান হোসেনকে। বাকি দুই সদস্য হলেন- সহকারী পরিচালক সায়েদ আলম ও উপ-সহকারী পরিচালক আপেল মাহমুদ বিপ্লব।
দুদক চট্টগ্রাম-১ এর উপ-পরিচালক সুবেল আহমেদ বলেন, দুদকে সাবেক এমপি নদভী, তার স্ত্রী রিজিয়া রেজা চৌধুরী ও শ্যালক রুহুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এসেছে। বিষয়টি অনুসন্ধান করে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর সেই আলোকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্বের পাশাপাশি নদভী আর্ন্তজাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান ছিলেন। আল্লামা ফয়জুল্লাহ ফাউন্ডেশনের মালিক ও পরিচালকও তিনি। এই ফাউন্ডেশন বিদেশ থেকে প্রচুর অনুদান এনে দেশে মসজিদ ও মাদ্রাসা তৈরি করেছে। এই টাকা তছরুপের অভিযোগ উঠেছে নদভীর বিরুদ্ধে। এ ছাড়া এমপি থাকার সময় টিআর, কাবিখা, বালু সিন্ডিকেট, টেন্ডারবাজিসহ নানা ক্ষেত্রে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
সবাই ভেবেছিলেন কিশোরী ডুবে গেছে, ১০ দিন পর ফোন করে জানাল সে গাজীপুরে আছে
১০ দিন আগে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল করতে গিয়েছিল কিশোরী সোহানা খাতুন। বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান পায়নি। তবে গত বুধবার রাতে মাকে ফোন করেছে সোহানা; জানিয়েছে সে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।
নিখোঁজ হওয়া কিশোরীর নাম সোহানা খাতুন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম কারিগর পাড়ায়। তার বাবা গোলাম মওলা ও মা শিরিনা খাতুন।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯ জুলাই দুপুরে বাড়ির পাশের মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল ও কাপড় ধুতে গিয়েছিল সোহানা। দীর্ঘ সময়েও না ফেরায় তার মা নদীর ধারে যান; দেখেন, সোহানার কাপড় পড়ে আছে। এরপর স্বজন ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ওই রাতে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায়। পরদিন খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ১২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান না পেয়ে অভিযান স্থগিত করে। ২১ জুলাই এক কবিরাজ এনে নদীতে খোঁজার চেষ্টাও করেন সোহানার বাবা–মা।
এমন অবস্থায় বুধবার রাতে হঠাৎ সোহানা তার মায়ের ফোনে কল দিয়ে জানায়, সে ঢাকার গাজীপুরে তার প্রাক্তন স্বামীর কাছে রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সোহানার বাবা গোলাম মওলা। তিনি বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম, মেয়ে নদীতে ডুবে গেছে। সবাই মিলে খোঁজাখুঁজি করেছি। এমনকি কবিরাজও এনেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ বুধবার আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে জানায়, সে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে। আমরা বিষয়টি গতকাল রাতে পুলিশকে জানিয়েছি।’ বিষয়টি বুঝতে না পেরে সবাইকে কষ্ট দেওয়ার জন্য তিনি ক্ষমা চান।
স্থানীয় লোকজন জানান, প্রায় দুই বছর আগে খালাতো ভাই কুতুব উদ্দিনের সঙ্গে পালিয়ে যায় সোহানা এবং দুজন বিয়ে করে। তবে বনিবনা না হওয়ায় তিন মাস আগে সোহানা তাকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে। নদীতে নিখোঁজ হওয়ার ‘নাটক’ করে সে পালিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম বলেন, শুরুতে পরিবারের লোকজন জানিয়েছিল, নদীতে গোসলে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে সোহানা। গতকাল আবার তার বাবা জানিয়েছে, মেয়ে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।