বুড়িগঙ্গা নদীর তীর থেকে রোববার দুপুরে পলিথিনে মোড়ানো মানুষের দুটি হাত ও দুটি পায়ের টুকরো উদ্ধার করেছে সদরঘাট নৌ থানা পুলিশ। এটি শুক্রবার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে আগানগর মাকসুদা গার্ডেন সিটির সামনে থেকে একটি বস্তায় উদ্ধার হওয়া নারীর খণ্ডিত লাশের অংশবিশেষ হতে পারে বলে পুলিশ ধারণা করছে।

রাজধানীর পোস্তগোলা ব্রিজের উত্তর পাশে আরসিন গেট বুড়িগঙ্গা নদীর পাড় থেকে হাত-পা গুলো উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধার হাত-পায়ের সুরতহাল শেষে মিটফোর্ড মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

সদরঘাট নৌ থানা পুলিশের ইনচার্জ মো.

সোহাগ রানা বলেন, বুড়িগঙ্গা নদীর পানি কমে যাওয়ায় পাড়ে একটি পলিথিনে মোড়ানো মানুষের হাত পা পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। পরে পুলিশকে খবর দিলে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সেগুলো উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছি। ধারণা করা হচ্ছে, কেরানীগঞ্জে বস্তার ভেতরে উদ্ধার হওয়া নারীর খণ্ডিত লাশের অংশবিশেষ হতে পারে। তবে ডিএনএ পরীক্ষা করার পর তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।

দুই দিন আগে শুক্রবার গভীর রাতে আগানগর কেরানীগঞ্জ গার্মেন্টস পল্লী এলাকায় আসমা গার্ডেন সিটির সামনে বস্তার ভেতর থেকে অজ্ঞাত এক নারীর মাথা হাত ও পাবিহীন অংশবিশেষ উদ্ধার করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ