বন্দরে সন্ত্রাসী হামলায় ২ নারীসহ আহত ৫
Published: 28th, April 2025 GMT
বন্দরে রেমিট্যান্স যোদ্ধা এক নারী ৩৫ বছরের অর্জিত সকল ধন সম্পদ নিজ খালা খালু কর্তৃক আত্মসাতের ঘটনায় প্রতিবাদ করার জের ধরে সন্ত্রাসী হামলায় ২ নারী ও ১ শিশুসহ ৫ জন আহত হয়েছে। ওই সময় হামলাকারিরা ৪ আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়।
আহতরা হলো মিম (২৪) মাকসুদা (১৭) সাকিল (১০) জামাতা নুরু মিয়া (৩৫) ও আনজু মিয়া (৪৫)। স্থানীয়রা আহতদের জখম অবস্থায় উদ্ধার করে সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেছে। গত রোববার (২৭ এপ্রিল) রাতে বন্দর উপজেলার কেওঢালা এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
এ ব্যাপারে আহত আনজু মিয়া প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহন করে সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে প্রতারক ও হামলাকারি খালু ইমান আলী তার স্ত্রী রেহানা বেগম, ছেলে অপু, মেয়ে ইমা, জনি, আনোয়ারা, বাদশা ও মুসলিমা নাম উল্লেখ্য করে আরো ৫/৬ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে বন্দর থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বন্দর উপজেলার কেওঢালা এলাকার অভিযোগের বাদী আনজু মিয়ার মা মোরশেদা বেগম দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে প্রবাসে জীবন যাপন করে আসছিল।
অভিযোগের বাদী মায়ের বিদেশ থাকা কালীন সময়ে তার পাঠানো টাকা দিয়ে জমি, বসতবাড়ী, কাপড়ের কারখানাসহ দুইটি দোকান ক্রয় করে তার খালা রেহেনা বেগম তার স্বামী ইমান আলী। এর ধারাবাহিকতা গত ২৩ এপ্রিল দুবাই প্রবাসে থাকা কালীন অবস্থায় রেমিট্যান্স যোদ্ধা নারী মোরশেদা বেগম মৃত্যু বরণ করে। পরে গত রোববার (২৭ এপ্রিল) তার মৃতদেহ তার নিজ বাড়িতে আনা হয়।
ওই সময় রেমিট্যান্স যোদ্ধা নারী ছেলে আনজুসহ অন্যান্য ওয়ারিশগন তাদের জায়গা সম্পত্তি হিসাব জানতে চাইলে ওই সময় প্রতারক খালা রেহানা বেগমের হুকুমে তার স্বামী ইমান আলী, ছেলে অপু, মেয়ে ইমা, জনি, আনোয়ারা, বাদশা ও মুসলিমাসহ আরো ৫/৬ অজ্ঞাত নামা সন্ত্রাসী লাঠিসোটা নিয়ে প্রবাসী নারী ছেলে আনজু মিয়া ও তার জামাতা নুরু মিয়া উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে বেদম ভাবে পিটিয়ে নিলাফুলা জখম করে।
পরে তাদের চিৎকারের শব্দ পেয়ে আনজু মিয়ার মেয়ে মিম ও ভাতিজি মাকসুদা ও ভাতিজা শাকিল এগিয়ে আসলে হামলাকারিরা তাদেরকে পিটিয়ে নিলাফুলা জখম করে বসত বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে দেয়।
  
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
নতুন চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগে যে ১০টি বিষয় ভাববেন
নতুন চাকরির প্রস্তাব হাতে পেয়ে উত্তেজনা স্বাভাবিক। ফোনে ‘জব অফার’ নোটিফিকেশন দেখলেই মন উচ্ছ্বাসে ভরে ওঠে। কিন্তু ক্যারিয়ার বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেন, আবেগে ভেসে সঙ্গে সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিলে পরবর্তী সময় হতাশা, কাজে অসন্তুষ্টি বা ঝরে পড়ার আশঙ্কা থাকে। নতুন চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগে ১০টি বিষয় খুঁটিয়ে ভাবা জরুরি।
১. বেতনপ্রথম যে বিষয়টি আসে, তা হলো বেতন। মাসিক, সাপ্তাহিক বা ঘণ্টাভিত্তিক হিসাব, বেতনের ক্ষেত্রে সবকিছুই বিবেচনা করা প্রয়োজন। বেতন কি আপনার প্রত্যাশার সঙ্গে মেলে, কর কাটার পর হাতে কত টাকা পাবেন এবং স্থানীয় জীবনযাত্রার খরচ মেটানো যাবে কি—এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে দেখুন। শুধু মূল বেতন নয়, বোনাস, কমিশন এবং পারফরম্যান্স ইনসেনটিভও মূল্যায়ন করুন।
২. সুযোগ-সুবিধাবেতন গুরুত্বপূর্ণ হলেও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা যেমন স্বাস্থ্যবিমা, পেনশন, ছুটি, শিশু যত্ন সহায়তা বা প্রতিষ্ঠানে খাবারের সুবিধা—সবকিছুই বিবেচনা করতে হবে। কখনো কখনো এই সুবিধাগুলো মূল বেতনের চেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে।
৩. যাতায়াত ও অবস্থানদৈনিক যাতায়াতের সময় কত লাগবে, তা হিসাব করা জরুরি। দীর্ঘ যাতায়াত শুধু ক্লান্তি নয়, মানসিক স্বাস্থ্যেও প্রভাব ফেলে। ঘুমের সমস্যা, উদ্বেগ, পরিবারের সঙ্গে কম সময়—এসব সমস্যা এড়াতে অফিসের অবস্থান ও যাতায়াতের সুবিধা বিবেচনা করুন।
৪. কাজ ও ব্যক্তিগত জীবনের ভারসাম্যনতুন চাকরি মানেই নতুন রুটিন। আপনার ব্যক্তিগত জীবন ও কাজের ভারসাম্য কেমন হবে, সেটি মূল্যায়ন করুন। ফ্লেক্সিবল সময়, রিমোট বা হাইব্রিড কাজের সুযোগ, স্বায়ত্তশাসন—এসব বিষয় আপনার সন্তুষ্টি নির্ধারণ করবে।
নতুন পদের দায়িত্বগুলো কেমন, তা বোঝা খুব জরুরি।