লালমনিরহাটের বুড়িমারী রেলস্টেশন থেকে সরাসরি আন্তঃনগর ‘বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেন’ চালুর দাবিতে মহাসড়ক-রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি সাময়িক স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। লালমনিরহাট-ঢাকা রেলপথে চলাচলকারী আন্তঃনগর ‘বুড়িমারী এক্সপ্রেসের’ যাত্রীদের জন্য লালমনিরহাট-বুড়িমারী রুটে একটি বিশেষ ‘শাটল ট্রেন চালুর আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে’ এ ঘোষণা দেওয়া হয় আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে।

মঙ্গলবার বিকালে অবরোধ স্থগিত ঘোষণার পর মহাসড়ক-রেলপথে যান চলাচল শুরু হয়। অবরোধের কারণে পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দর, সরকারি কলেজ মোড়, সরেঅর বাজার, বাউরা বাজার এলাকায় আটকে ছিল শত শত যানবাহন।

আন্দোলনের সমন্বয়ক ও পাটগ্রাম পৌর বিএনপির সভাপতি মোস্তফা সালাউজ্জামান ওপেল বলেন, ইঞ্জিন ও কোচ সংকট কাটিয়ে বুড়িমারী-ঢাকা পথে সরাসরি ‘বুড়িমারী-এক্সপ্রেস’ চালু না হওয়া পর্যন্ত চার উপজেলার ওই ট্রেনের যাত্রীদের জন্য বুড়িমারী-লালমনিরহাট রুটে একটি শাটল ট্রেন চালুর আশ্বাস দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। ফলে আমরা আন্দোলন স্থগিত করছি।

আন্দোলন প্রত্যাহারের ফলে লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কের পাটগ্রাম অংশে ৩৫ ঘণ্টা পর যান চলাচল শুরু হয়। অপরদিকে গতকাল সন্ধ্যায় ৯ দিনের মাথায় বুড়িমারী-লালমনিরহাট পথে শুরু হয় ট্রেন চলাচল। এর আগে গত সোমবার রাতে হাতীবান্ধার আন্দোলনকারীরা অবরোধ তুলে নিলে মহাসড়কে যান চলাচল শুরু হয় এবং গতকাল সকাল থেকে লালমনিরহাট-হাতীবান্ধা পথে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।

এদিকে গতকাল বিকালে পাটগ্রাম শহীদ আফজাল মিলনায়তনে জেলা প্রশাসন ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সেখানে ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জি আর সারোয়ার, পাটগ্রামের ইউএনও জিল্লুর রহমান, ওসি আশরাফুজ্জামান সরকার, পৌর বিএনপির সভাপতি মোস্তফা সালাউজ্জামান ওপেল, বুড়িমারী এক্সপ্রেস বাস্তবায়ন সংগ্রাম উন্নয়ন পরিষদের আহ্বায়ক এ টি জে সিদ্দিকী কাঁকন ও সদস্য সচিব আকবর বিন আফছার।

বুড়িমারী এক্সপ্রেস চালুর পর থেকেই ট্রেনটি ঢাকা-লালমনিরহাট পথে চলাচল করছে। এতে জেলার আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলার যাত্রীরা সরাসরি ট্রেনটির সুবিধা পাচ্ছে না।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র লপথ অবর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

মাগুরায় শিশু ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য ৩ চিকিৎসকের

মাগুরায় আট বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চতুর্থ দিনের মতো সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

এ দিন শিশুকে চিকিৎসা প্রদানকারী তিন চিকিৎসক সাক্ষ্য দেন। তারা হলেন– মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ডা. সোহাস হালদার, নাকিবা সুলতানা এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের  ডা. ইসরাত জাহান। তারা সবাই শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছিল মর্মে সাক্ষ্য প্রদান করেন।  

এর আগে সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে মামলার ৪ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, বিগত চার কার্যদিবস একটানা সাক্ষ্য গ্রহণ চলেছে। এ নিয়ে মোট ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। মামলায় মোট ৩৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হবে। আগামী রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাদে অন্য সব সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন। বুধবার আসামিপক্ষের আইনজীবী স্বাধীনভাবে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। তিনি আদালতে আসামিরা নির্দোষ বলে যুক্তি উপস্থাপন করেন। আসামিরাও নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন। 

বেড়াতে এসে ৬ মার্চ রাতে মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুর হিটু শেখের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয় ৮ বছরের শিশুটি। এই ধর্ষণের ঘটনা দেশজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘুরে ঢাকা সিএমএইচে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। ১৩ মার্চ শিশুটি সেখানে মারা যায়। এ ঘটনায় শিশুটির মা আয়েশা আক্তার বড় মেয়ের শ্বশুর হিটু শেখসহ চারজনকে আসামি করে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। রিমান্ডে হিটু শেখ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ