অভিনেতা সিদ্দিকুরের ১০ দিন রিমান্ড চায় পুলিশ
Published: 30th, April 2025 GMT
রাজধানীর গুলশান থানার একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমানকে ১০ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন করেছে পুলিশ।
আজ বুধবার ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে সিদ্দিকুরকে হাজির করে তাঁকে রিমান্ডে নেওয়ার এই আবেদন করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়েছে, গত ১৯ জুলাই গুলশান থানার শাহজাদপুরে রিকশাচালক জব্বার আলী হাওলাদারকে গুলি করা হয়। গুলিবিদ্ধ জব্বরকে গুরুতর জখম অবস্থায় রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। জব্বরকে গুলি করে জখম করার ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করার জন্য সিদ্দিকুরকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।
সিদ্দিকুরকে রিমান্ডে নেওয়ার এই আবেদন করেছেন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুস সালাম।
নথিপত্রের তথ্য বলছে, রিকশাচালক জব্বারকে গুলি করার ঘটনায় সিদ্দিকুর জড়িত বলে আদালতকে জানিয়েছে পুলিশ।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার সিদ্দিকুরকে মারধরের একাধিক ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
ভিডিওতে দেখা যায়, জামাকাপড় ছেঁড়া অবস্থায় সিদ্দিকুরকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে একদল যুবক। এ সময় কেউ কেউ তাঁর গায়ে হাত তুলছিলেন। আর কান্নাকাটি করছিলেন সিদ্দিকুর। ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় তাঁকে আওয়ামী লীগের দোসর বলে স্লোগান দিচ্ছিল লোকজন। জামাকাপড় ছেঁড়া অবস্থায় রাস্তায় হাঁটিয়ে সিদ্দিকুরকে রমনা থানা-পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরে সিদ্দিকুরকে গুলশান থানা-পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সুদানে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী হতাহতের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার শোক
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের অতর্কিত ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীদের হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, “শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালনের সময় আমাদের ছয়জন বীর শান্তিরক্ষীর শাহাদাত বরণ এবং আরো আটজনের আহত হওয়ার সংবাদে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের বিপুল অবদান আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত; বীরদের এই আত্মত্যাগ একদিকে জাতির গৌরব, অন্যদিকে গভীর বেদনার।”
আরো পড়ুন:
সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত: আইএসপিআর
ঢামেক হাসপাতালে নিরাপত্তা জোরদার
তিনি নিহত শান্তিরক্ষীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। একই সঙ্গে আহত শান্তিরক্ষীদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আহত শান্তিরক্ষীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিত করতে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইতিমধ্যেই জাতিসংঘের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। এই দুঃসময়ে সরকার শান্তিরক্ষীদের পরিবারগুলোর পাশে থাকবে।”
বিবৃতিতে তিনি এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা আন্তর্জাতিক শান্তি ও মানবতার বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধ।”
তিনি জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা আরও জোরদারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।
নিহত শান্তিরক্ষীদের মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা এবং আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ চালিয়ে যাবে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল