রাজশাহীতে রেললাইনের পাশে এক শ্রমিকের লাশ পাওয়া গেছে। তার নাম হাবিবুর রহমান (৫০)। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার চর বারোরশিয়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। পুলিশ ধারণা করছে, চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে ধান কাটা শ্রমিক হাবিবুরের।

রাজশাহী রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়সাল বিন আহসান জানিয়েছেন, বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে তারা খবর পান যে, রাজশাহী নগরের দড়িখড়বোনা রেলক্রসিং-সংলগ্ন এলাকায় একটি লাশ পড়ে আছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

তিনি জানান, হাবিবুর রহমানসহ তার এলাকার কয়েকজন শ্রমিক খুলনায় ধান কাটতে গিয়েছিলেন। ধান কাটা শেষে তারা মহানন্দা ট্রেনে কর চাঁপাইনবাবগঞ্জে ফিরছিলেন। অন্য শ্রমিকরা চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফিরলেও হাবিবুর ফেরেননি। তার লাশ পাওয়া গেছে রেলক্রসিংয়ের পাশে। ধারণা করা হচ্ছে, রাত ৩টার দিকে দড়িখড়বোনা দিয়ে যাওয়া মহানন্দা ট্রেন থেকে পড়ে মারা গেছেন হাবিবুর রহমান। এ ঘটনার কোনো প্রত্যক্ষদর্শী নেই।

ওসি আরো জানান, হাবিবুরের মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে লাশের ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। পুলিশের তদন্তও চলছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা করা হবে। তদন্ত শেষে এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

ঢাকা/কেয়া/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বগঞ জ তদন ত

এছাড়াও পড়ুন:

বাবা পটুয়া কামরুল হাসান স্মরণে মেয়ে শুমোনা হাসানের গান

ভালোবাসা, স্মৃতি ও উত্তরাধিকারকে কেন্দ্র করে এক আবেগঘন পরিবেশে পটুয়া কামরুল হাসানের কন্যা শুমোনা হাসান তার বাবাকে উৎসর্গ করে একটি হৃদয়স্পর্শী গান প্রকাশ করেছেন।

বাবা দিবস উপলক্ষে আজ দ্য ডেইলি স্টার সেন্টারে একটি অনুষ্ঠানে ‘কত দূর বাবা তোমার বাড়ি’ শিরোনামে গানটি প্রকাশ করা হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শুমোনার পরিবার, ঘনিষ্ঠজন, এবং সম্মানিত গণমাধ্যমকর্মীরা।

গানটি শুমোনার নিজস্ব রচনা, সুর এবং কণ্ঠে পরিবেশিত। এতে ফুটে উঠেছে একজন কন্যার তার বাবার সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলো, তাদের ভালবাসা, সংগ্রাম এবং অনন্য সম্পর্কের গল্প। গানের প্রতিটি কথা ও সুর যেন এক আবেগের যাত্রাপথ।

অনুষ্ঠানে শুমোনা বলেন, ‘এই মুহূর্তটি আমার এবং আমার পরিবারের জন্য এক বিজয়ী এবং আবেগময় সময়। বাবার আত্মা সবসময় আমাকে পথ দেখিয়েছে। এই গানটি তার প্রতি আমার ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতার ছোট্ট বহিঃপ্রকাশ।’

শুমোনা জানান, ভবিষ্যতেও তিনি এই ধারা অব্যাহত রেখে তাঁর বাবার স্মৃতিকে সম্মান জানাতে চান সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ