আ.লীগকে রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না: সারজিস
Published: 30th, April 2025 GMT
আওয়ামী লীগকে ‘খুনি-সন্ত্রাসী সংগঠন’ উল্লেখ করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বলেছেন, ‘‘তাদের দেশে আর কোনো রাজনৈতিক কার্যক্রম চালাতে দেওয়া হবে না। আগামীর বাংলাদেশে এ সকল সন্ত্রাসীদের যেখানে দেখবে, বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা, শহীদ পরিবার, আহত জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করবে।’’
বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে বগুড়ার পৌরপার্কের শহীদ টিটু মিলনায়তন প্রাঙ্গনে এনসিপি বগুড়া জেলা শাখার আয়োজনে গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের বিচার ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে তিনি এ সব কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, ‘‘জুলাই অভ্যুত্থানে বগুড়া অন্যতম রণক্ষেত্রের একটি জেলা ছিল। এই বগুড়া জেলায় একটার পর একটা আমার ভাইদের শহীদ করা হয়েছে। আমার ভাই-বোনদের শরীর থেকে রক্ত ঝরানো হয়েছে। বিগত ১৬ বছর বগুড়াকে সব দিক থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। জেলার নাম শুনলেই কারো চাকরি হয়নি। চাকরির প্রমোশন আটকে দেওয়া হয়েছে। অবকাঠামোগত উন্নয়নেও চরম বৈষম্যের শিকার হয়েছে বগুড়া।’’
আরো পড়ুন:
একজন আরেকজনের প্রতিপক্ষ হলে ক্ষতি সবার : সারজিস
ভ্যানে গ্রামে ঘুরে মানুষের সঙ্গে কথা বললেন সারজিস আলম
তিনি আরো বলেন, ‘‘আমরা এই বৈষম্যের অবসান চাই।’’ তিনি ঢাকা থেকে বগুড়ার সঙ্গে সরাসরি রেললাইন চালুরও দাবি জানান।
সারজিস আলম বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মরহুম মমতাজ উদ্দিনের ছেলের নাম উল্লেখ করে বলেন, ‘‘বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ মাসুদুর রহমান মিলন এই জেলার শত বছরের ঐতিহ্যবাহী প্যালেস মিউজিয়াম দখল করেছেন। জেলা ক্রীড়া সংস্থা দখল করেছেন। তার মতো অসংখ্য আওয়ামী দালাল বগুড়ায় রয়েছে। এ সব দালালদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে।’’
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বগুড়া জেলা সংগঠক আব্দুল্লাহিত তাকির সভাপতিত্বে সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এনসিপির যুগ্ম-মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সাকিব মাহদী। এছাড়া বক্তব্য রাখেন এনসিপির যুগ্ম-সদস্য সচিব তাহসিন রিয়াজ, যুগ্ম-মুখ্য সংগঠক আলী নাসের খান, যুগ্ম-মুখ্য সংগঠক সাদিয়া ফারজানা দিনা, কেন্দ্রীয় সংগঠক নাজমুল হাসান সোহাগ প্রমুখ। সমাবেশ মঞ্চে বগুড়ার শহীদ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
ঢাকা/এনাম/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আওয় ম ল গ ম খ য স গঠক আওয় ম এনস প
এছাড়াও পড়ুন:
জাকসু নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা, ৩১ জুলাই ভোটগ্রহণ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করা হয়েছে৷ আগামী ৩১ জুলাই সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। একই দিনে ভোট গণনা ও ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
বুধবার রাত পৌনে ১টার দিকে এই তপশিল ঘোষণা করেন জাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান।
এর আগে রাত ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের কাউন্সিল কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তপশিল ঘোষণার কথা জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান। তিনি বলেন, জাকসুর গঠনতন্ত্রের ৮-এর (খ) ধারা অনুযায়ী, আগামী ৩১ জুলাই সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এবং হল সংসদ নির্বাচন একইসঙ্গে অনুষ্ঠিত হবে।
দীর্ঘ ৩২ বছর ধরে জাকসু না থাকায় শিক্ষার্থী প্রতিনিধি ছাড়াই চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্ষদ। উপেক্ষিত হয়ে আসছে শিক্ষার্থীদের চাওয়া-পাওয়া৷ তবে এবার নির্বাচনের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা সেই অধিকার ফিরে পাবে উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, ‘নির্বাচনের মাধ্যমে সিনেটে ৫ জন শিক্ষার্থী প্রতিনিধি আসে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীরা তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে৷ গতকাল পরিবেশ পরিষদের একটি মতবিনিময় সভা হয়েছে, সেখানে একটি সুন্দর পরিবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্রীড়াশীল সংগঠন, শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার ব্যাপারে সম্মত হয়েছি।’
রাত পৌনে ১টার দিকে নির্বাচনী তপশিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান। এ সময় তিনি বলেন, ‘তফশিল অনুযায়ী ১২ মে খসড়া ভোটার তালিকা ও আচরণবিধি প্রকাশ করা হবে৷ ২১ মে খসড়া ভোটার তালিকা নিয়ে আপত্তি গ্রহণ ও আচরণবিধি মতামত গ্রহণ, ৩০ জুন চূড়ান্ত ভোটার তালিকা ও চূড়ান্ত আচরণবিধি প্রকাশ করা হবে।’
আগামী ১ জুলাই থেকে ৩ জুলাইয়ের মধ্যে মনোনয়ন সংগ্রহ করা এবং ৭ জুলাই মনোনয়ন জমাদানের শেষ তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে৷ ৯ জুলাই মনোনয়ন পত্র যাচাই-বাছাই ও খসড়া প্রার্থী তালিকা প্রকাশ শেষে ১১ জুলাই পর্যন্ত মনোনয়নপত্রের বৈধতার বিষয়ে এবং বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানান, এছাড়া ১৪ জুলাই মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ও ১৫ জুলাই প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে এবং ১৬ জুলাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে৷ একই দিন থেকে ২৮ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারণা করা যাবে।