দিনাজপুরের বিরল উপজেলার ধর্মজৈন সীমান্তে ধান কাটার সময় দুই বাংলাদেশি কৃষককে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এ ঘটনায় দুই ভারতীয় নাগরিককে ধরে এনে আটকে রেখেছেন বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী। 

শুক্রবার (২ মে) দুপুরে ধর্মজৈন সীমান্তের ৩২০ মেইন পিলারের সাব পিলার ৯ ও ১০ এর মাঝামাঝি থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠকের প্রস্তুতি চলছিল।

ধরে নিয়ে যাওয়া বাংলাদেশিরা হলেন- মাসুদ ও এনামুল। আটক ভারতীয়রা হলেন- অবিনাশ টুডু ও ফিলিপ সরেন।

আরো পড়ুন:

বেড়ানোর কথা বলে পাচারের চেষ্টা, ভারতীয় গ্রেপ্তার

আখাউড়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে যুবক আহত

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ ধর্মজৈন সীমান্তে ধান কাটছিলেন মাসুদ ও এনামুল। দুপুর ১২টার দিকে ৩২০ মেইন পিলারের সাব পিলার ৯ ও ১০ এর মাঝামাঝি থেকে তাদের ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ। ঘটনাটি জানাজানি হলে, বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী অবিনাশ টুডু ও ফিলিপ সরেন নামে দুই ভারতীয় নাগরিককে ধরে এনে আটকে রাখেন। তাদের কারুলিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাখা হয়েছে।

ধর্মজৈন বিওপি ক্যাম্পের নায়েব সুবেদার রেজাউল করিম বলেন, “আজ দুপুরে ধর্মজৈন সীমান্তে ধান কাটাতে যাওয়া দুই বাংলাদেশি নাগরিককে তুলে নিয়ে গেছে বিএসএফ। বিষয়টি জানতে পেরে বাংলাদেশি নাগরিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে দুই ভারতীয় নাগরিককে আটক করেন।”

তিনি আরো বলেন, “আমরা বিএসএফ-এর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছি। পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করা হবে।”

ঢাকা/মোসলেম/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসএফ আটক ব এসএফ

এছাড়াও পড়ুন:

নওগাঁয় ১০ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ

নওগাঁর ধামইরহাট সীমান্ত দিয়ে ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। 

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ভোরে ধামইরহাট উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন সীমান্ত পিলার ২৫৬/৭ এস কাছ দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হলে বিজিবির সদস্যরা তাদেরকে আটক করেন। তাদের মধ্যে দুজন পুরুষ এবং আটজন নারী। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছেন পত্নীতলা ১৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন।

আরো পড়ুন:

গাংনী সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ

বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে ১০ রোহিঙ্গাকে ঠেলে দিয়েছে বিএসএফ

আটকরা হলেন—আছমা বেগম (৪০), খাদিজা বেগম (৩৪), পাখি বেগম (২৪), রুমা বেগম (২৫), কাকলি আক্তার (২৭), রুজিনা আক্তার (৩৩), কোহিনুর বেগম (২৬), নাসরিন বেগম (৩৩), মঞ্জুরুল ইসলাম (৩৬), সুমন হোসেন (২৭)। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তারা প্রত্যেকেই বাংলাদেশের নাগরিক।

বিজিবি জানিয়েছে, আগ্রাদ্বিগুন বিওপির টহল কমান্ডার জেসিও সুবেদার মো. জিহাদ আলীর নেতৃত্বে একটি টহল দল সীমান্তের শূন্য লাইন থেকে আনুমানিক এক কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মহেষপুরে ওই ১০ জনকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে আটক করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে ভারতে যান। মুম্বাই শহরে পুরুষ দুজন রাজমিস্ত্রি হিসেবে এবং নারী আটজন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। সেখানে তাদেরকে আটক করে ভারতীয় পুলিশ। গত ২৯ জুলাই ভারতের হরিবংশীপুর বিএসএফ ক্যাম্পে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে বিএসএফ ওই ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিলে বিজিবি টহল দল তাদের আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ঢাকা/সাজু/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মুজিবনগর সীমান্তে ১৭ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর বিএসএফের
  • চুয়াডাঙ্গায় বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক, ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর
  • দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ 
  • নওগাঁয় ১০ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ
  • নওগাঁর সীমান্ত দিয়ে ১০ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • পঞ্চগড়ের দুই সীমান্ত দিয়ে আরও ১৭ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • গাংনী সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ
  • চোরাচালানে গিয়ে বিএসএফের হাতে আটক, ফিরিয়ে এনে ব্যবস্থা নিচ্ছে বিজিবি