বিরল সীমান্তে ২ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, দুই ভারতীয় আট
Published: 2nd, May 2025 GMT
দিনাজপুরের বিরল উপজেলার ধর্মজৈন সীমান্তে ধান কাটার সময় দুই বাংলাদেশি কৃষককে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এ ঘটনায় দুই ভারতীয় নাগরিককে ধরে এনে আটকে রেখেছেন বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী।
শুক্রবার (২ মে) দুপুরে ধর্মজৈন সীমান্তের ৩২০ মেইন পিলারের সাব পিলার ৯ ও ১০ এর মাঝামাঝি থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠকের প্রস্তুতি চলছিল।
ধরে নিয়ে যাওয়া বাংলাদেশিরা হলেন- মাসুদ ও এনামুল। আটক ভারতীয়রা হলেন- অবিনাশ টুডু ও ফিলিপ সরেন।
আরো পড়ুন:
বেড়ানোর কথা বলে পাচারের চেষ্টা, ভারতীয় গ্রেপ্তার
আখাউড়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে যুবক আহত
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ ধর্মজৈন সীমান্তে ধান কাটছিলেন মাসুদ ও এনামুল। দুপুর ১২টার দিকে ৩২০ মেইন পিলারের সাব পিলার ৯ ও ১০ এর মাঝামাঝি থেকে তাদের ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ। ঘটনাটি জানাজানি হলে, বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী অবিনাশ টুডু ও ফিলিপ সরেন নামে দুই ভারতীয় নাগরিককে ধরে এনে আটকে রাখেন। তাদের কারুলিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাখা হয়েছে।
ধর্মজৈন বিওপি ক্যাম্পের নায়েব সুবেদার রেজাউল করিম বলেন, “আজ দুপুরে ধর্মজৈন সীমান্তে ধান কাটাতে যাওয়া দুই বাংলাদেশি নাগরিককে তুলে নিয়ে গেছে বিএসএফ। বিষয়টি জানতে পেরে বাংলাদেশি নাগরিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে দুই ভারতীয় নাগরিককে আটক করেন।”
তিনি আরো বলেন, “আমরা বিএসএফ-এর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছি। পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করা হবে।”
ঢাকা/মোসলেম/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসএফ আটক ব এসএফ
এছাড়াও পড়ুন:
জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক
জঙ্গি সন্দেহে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে এক বাংলাদেশি নাগরিক। মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ নামে ওই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয় পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে। এরপর তাকে ফাঁড়িতে নিয়ে এসে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে।
ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ভারত থেকে নিজের দেশে ফিরে যাননি মাসুদ। তিনি অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কাটাগঞ্জ এলাকায় বসবাস করতেন। সম্প্রতি তার বেশ কিছু কর্মকান্ডে সন্দেহ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পরই মাসুদকে ইসলামী উগ্রপন্থী বলে দাবি করে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। যেহেতু তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাই পুলিশ তাকে একজন অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
বিষয়টি সামনে আসার পরই যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের পক্ষে কিছুই জানানো হয়নি।
অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ভারত বাংলাদেশের দিনাজপুর সীমান্ত ও ভোমরা ঘোজাডাঙা সীমান্তে এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরো ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক।
পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ অভিযানে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক বাংলাদেশি নাগরিককে। আটককৃতে ওই ব্যক্তির নাম পঞ্চানন পাল। তিনি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গা থানার বাসিন্দা। ভারতে তিনি পরিচয় বদল করে রূপায়ণ পাল নামে বসবাস করছিলেন বলে অভিযোগ। তার কাছ থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছাড়াও ভারতের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও এমনকি ভারতীয় পাসপোর্ট পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে।
একইদিনে ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময়ে ঘোজাডাঙ্গা ভোমরা সীমান্তের কাছে সরুপনগর এলাকার তারালি সীমান্ত থেকে বিএসএফের ১৪৩নম্বর ব্যাটালিয়নের হাতে আটক হয়েছেন আরো বাংলাদেশি নাগরিক।
সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে আটকের পর তাদের স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশু, তিনজন পুরুষ ও চারজন নারী। এর সবাই বাংলাদেশের সাতক্ষীরা এবং খুলনার বাগেরহাটের বাসিন্দা।
সুচরিতা/শাহেদ