সাগরপথে মিয়ানমারে সার পাচারের চেষ্টা, আটক ১০
Published: 2nd, May 2025 GMT
সাগরপথে অবৈধভাবে মিয়ানমারে পাচারের সময় একটি ট্রলার থেকে ৬০০ বস্তা ইউরিয়া সার জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড। এসময় ১০ পাচারকারী আটক হয়।
শুক্রবার (২ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কোস্ট গার্ড পূর্ব জোনের গণমাধ্যম কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এইচ এম এম হারুন-অর-রশিদ।
আটককৃতরা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
আরো পড়ুন:
ফেনীতে ৩ কোটি ২০ লাখ টাকার বালু জব্দ
ট্রেনে বিজিবির অভিযান, কোটি টাকার হেরোইন জব্দ
লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশিদ জানান, ৫৮ দিন মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা চলমান থাকায় সাগরে কোনো ট্রলার অবস্থান করা বেআইনি। বৃহস্পতিবার (১ মে) মধ্যরাতে টেকনাফের সেন্টমার্টিন উপকূলের গভীর সাগরে কাঠের তৈরি একটি সন্দেহজনক মাছ ধরার ট্রলার দেখতে পান কোস্ট গার্ড জাহাজ ‘তাজউদ্দিন’-এর সদস্যরা। ট্রলারটিকে থামার নির্দেশ দিলে সেটি দ্রুত পালানোর চেষ্টা করে। পরে ধাওয়া করে ট্রলারটি জব্দ করা হয়।
তিনি আরো জানান, ট্রলারটিতে তল্লাশি চালিয়ে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে পাচারের জন্য বহন করা ৬০০ বস্তা ইউরিয়া সার জব্দ করা হয়। এ সময় ট্রলারে থাকা ১০ পাচারকারীকেও আটক করা হয়। জব্দকৃত ট্রলারটি টেকনাফ স্থলবন্দর সংলগ্ন কোস্ট গার্ডের জেটিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। উদ্ধার করা সার টেকনাফ কাস্টমস অফিসে জমা রাখা হয়েছে।
কোস্ট গার্ডের এই কর্মকর্তা জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে টেকনাফ থানায় মামলা করা হয়েছে।
ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক
জঙ্গি সন্দেহে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে এক বাংলাদেশি নাগরিক। মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ নামে ওই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয় পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে। এরপর তাকে ফাঁড়িতে নিয়ে এসে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে।
ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ভারত থেকে নিজের দেশে ফিরে যাননি মাসুদ। তিনি অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কাটাগঞ্জ এলাকায় বসবাস করতেন। সম্প্রতি তার বেশ কিছু কর্মকান্ডে সন্দেহ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পরই মাসুদকে ইসলামী উগ্রপন্থী বলে দাবি করে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। যেহেতু তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাই পুলিশ তাকে একজন অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
বিষয়টি সামনে আসার পরই যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের পক্ষে কিছুই জানানো হয়নি।
অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ভারত বাংলাদেশের দিনাজপুর সীমান্ত ও ভোমরা ঘোজাডাঙা সীমান্তে এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরো ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক।
পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ অভিযানে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক বাংলাদেশি নাগরিককে। আটককৃতে ওই ব্যক্তির নাম পঞ্চানন পাল। তিনি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গা থানার বাসিন্দা। ভারতে তিনি পরিচয় বদল করে রূপায়ণ পাল নামে বসবাস করছিলেন বলে অভিযোগ। তার কাছ থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছাড়াও ভারতের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও এমনকি ভারতীয় পাসপোর্ট পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে।
একইদিনে ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময়ে ঘোজাডাঙ্গা ভোমরা সীমান্তের কাছে সরুপনগর এলাকার তারালি সীমান্ত থেকে বিএসএফের ১৪৩নম্বর ব্যাটালিয়নের হাতে আটক হয়েছেন আরো বাংলাদেশি নাগরিক।
সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে আটকের পর তাদের স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশু, তিনজন পুরুষ ও চারজন নারী। এর সবাই বাংলাদেশের সাতক্ষীরা এবং খুলনার বাগেরহাটের বাসিন্দা।
সুচরিতা/শাহেদ