সাগরপথে অবৈধভাবে মিয়ানমারে পাচারের সময় একটি ট্রলার থেকে ৬০০ বস্তা ইউরিয়া সার জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড। এসময় ১০ পাচারকারী আটক হয়।

শুক্রবার (২ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কোস্ট গার্ড পূর্ব জোনের গণমাধ্যম কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এইচ এম এম হারুন-অর-রশিদ।

আটককৃতরা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।

আরো পড়ুন:

ফেনীতে ৩ কোটি ২০ লাখ টাকার বালু জব্দ

ট্রেনে বিজিবির অভিযান, কোটি টাকার হেরোইন জব্দ

লেফটেন্যান্ট  কমান্ডার হারুন-অর-রশিদ জানান, ৫৮ দিন মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা চলমান থাকায় সাগরে কোনো ট্রলার অবস্থান করা বেআইনি। বৃহস্পতিবার (১ মে) মধ্যরাতে টেকনাফের সেন্টমার্টিন উপকূলের গভীর সাগরে কাঠের তৈরি একটি সন্দেহজনক মাছ ধরার ট্রলার দেখতে পান কোস্ট গার্ড জাহাজ ‘তাজউদ্দিন’-এর সদস্যরা। ট্রলারটিকে থামার নির্দেশ দিলে সেটি দ্রুত পালানোর চেষ্টা করে। পরে ধাওয়া করে ট্রলারটি জব্দ করা হয়।

তিনি আরো জানান, ট্রলারটিতে তল্লাশি চালিয়ে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে পাচারের জন্য বহন করা ৬০০ বস্তা ইউরিয়া সার জব্দ করা হয়। এ সময় ট্রলারে থাকা ১০ পাচারকারীকেও আটক করা হয়। জব্দকৃত ট্রলারটি টেকনাফ স্থলবন্দর সংলগ্ন কোস্ট গার্ডের জেটিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। উদ্ধার করা সার টেকনাফ কাস্টমস অফিসে জমা রাখা হয়েছে।

কোস্ট গার্ডের এই কর্মকর্তা জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে টেকনাফ থানায় মামলা করা হয়েছে।

ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আটক

এছাড়াও পড়ুন:

গজারিয়ায় জনতার হাতে আটক ৩, অস্ত্র-গুলি উদ্ধার

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ২১ রাউন্ড কার্তুজ, ৩টি রামদা, ২০টি ককটেল ও ৬টি পেট্রলবোমাসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের শিমুলিয়া গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন- নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়ার ছেলে আবু হানিফ (৪২), চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার হাঁপানিয়া গ্রামের জসীম ব্যাপারীর ছেলে রাসেল (২৫) এবং গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের বালুয়াকান্দি গ্রামের মুজাফফর ব্যাপারীর ছেলে লোকমান (৩০)।

আরো পড়ুন:

ঢামেক হাসপাতালে নিরাপত্তা জোরদার

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সম্প্রতি এলাকায় চুরি-ডাকাতি বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয়ভাবে গ্রাম পাহারার ব্যবস্থা করা হয়। গত রাত আড়াইটার দিকে ১০-১২ জন লোকের উপস্থিতি টের পায় পাহারাদার দল। এ সময় তাদের ধাওয়া দেওয়া হলে কয়েকজন পালিয়ে গেলেও জনতার হাতে আটক হন তিনজন। পরে আটককৃতদের কাছ থেকে ২১টি কার্তুজ, ৩টি রামদা, ২০টি ককটেল ও ৬টি পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়। গণপিটুনি দিয়ে তাদের আটকে রাখে উত্তেজিত জনতা। শুক্রবার তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নূরে আলম জিকু বলেন, ‘‘আহত তিনজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তবে, কারো আঘাতই গুরুতর নয়। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের পুলিশের কাছে দেওয়া হয়েছে।’’

গজারিয়া থানার ওসি মো. হাসান আলী বলেন, ‘‘জনতার হাতে আটক তিনজনকে থানায় আনা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে কিছু অস্ত্র-গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’’

ঢাকা/রতন/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গজারিয়ায় জনতার হাতে আটক ৩, অস্ত্র-গুলি উদ্ধার