সিরাজগঞ্জের ৫ থানার ওসি বদল, শূন্য ৪ থানা
Published: 6th, May 2025 GMT
সিরাজগঞ্জ জেলার পাঁচটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) রদবদল করা হয়েছে। এই রদবদলের ফলে বর্তমানে চারটি থানায় ওসির পদ শূন্য রয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ মে) সন্ধ্যায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. জিয়াউর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, “সোমবার (৫ মে) রাতে সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার (এসপি) মো. ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই রদবদল করা হয়েছে।”
তিনি বলেন, “বর্তমানে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ, চৌহালী, রায়গঞ্জ ও যমুনা সেতু পশ্চিম থানার ওসির পদ শূন্য রয়েছে।”
আরো পড়ুন:
৫৯৫০ কেজি সরকারি চালসহ বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার
নরসিংদীর সাবেক কাউন্সিলরের লাশ উত্তোলন
সিরাজগঞ্জ সদর থানার ওসি হুমায়ুন কবিরকে সলঙ্গায় থানায়, সলঙ্গা থানার ওসি মোখলেছুর রহমানকে সদর থানায় এবং যমুনা সেতু পশ্চিম থানার ওসি আনারুল ইসলামকে এনায়েতপুর থানার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
রায়গঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান ও এনায়েতপুর থানার ওসি রওশন ইয়াজদানিকে জেলা পুলিশ লাইন্সে বদলি করা হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার (এসপি) ফারুক হোসেন বলেন, “নিয়মিত বদলির অংশ হিসেবেই এই রদবদল করা হয়েছে। এটা চাকরিরই অংশ। শূন্য পদগুলো পর্যায়ক্রমে পূরণ করা হবে।”
ঢাকা/অদিত্য/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স র জগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
সেরা এআই–কর্মীর খোঁজে মার্ক জাকারবার্গ
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিনির্ভর বিভিন্ন উদ্ভাবনে চলা প্রতিযোগিতায় শীর্ষে থাকতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ। এ জন্য এআই প্রযুক্তিনির্ভর ‘সুপার ইনটেলিজেন্স’ নামের নতুন গবেষণাগার চালুর পরিকল্পনা করেছেন তিনি। শুধু তা–ই নয়, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সেরা এআই–গবেষক ও নির্মাতাদের পাশাপাশি এআই খাতের উদ্যোক্তাদের মোটা অঙ্কের বেতনে গবেষণাগারটিতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন মার্ক জাকারবার্গ।
দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অনেককে ১০ কোটি ডলার পর্যন্ত বেতন দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। শুধু তা–ই নয়, সেরা এআই–গবেষক ও নির্মাতাদের কাছে নিজেই ই–মেইল বা হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা পাঠিয়ে মোটা অঙ্কের বেতনে কাজে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন মার্ক জাকারবার্গ। এরই মধ্যে যেসব এআই–গবেষক ও প্রযুক্তি উদ্যোক্তা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেরা উদ্ভাবনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাঁদের অনেকের সঙ্গেই যোগাযোগ করছেন জাকারবার্গ।
মেটার মানবসম্পদ বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ‘রিক্রুটিং পার্টি’ নামে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে প্রতিদিন নিয়োগসংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করছেন জাকারবার্গ। কোনো প্রার্থীকে নির্বাচনের পর তিনিই প্রথম বার্তা পাঠাচ্ছেন। সেই ব্যক্তির কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পেলে নিজ বাসভবনের পাশাপাশি মেটা কার্যালয়ে সাক্ষাতের জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন।
জাকারবার্গের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের বেতনে চাকরির সুযোগ পেয়েও সবাই যে রাজি হচ্ছেন, তা নয়। মেটার অভ্যন্তরীণ কাঠামো ও কৌশলগত অগ্রাধিকার নিয়ে অনিশ্চয়তা ও বিভ্রান্তির বিষয়টি অনেক এআই–বিশেষজ্ঞকে ভাবিয়ে তুলেছে। মেটায় সাম্প্রতিক সময়ে কর্মীদের একাধিকবার দায়িত্ব পুনর্গঠনসহ প্রধান এআই–বিজ্ঞানী ইয়ান লেকুনের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের কৌশলগত মতপার্থক্যের কারণেও দ্বিধায় রয়েছেন তাঁরা।
সম্প্রতি এআই খাতে বড় ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে মেটা। বছরের শুরুতে প্রতিষ্ঠানটির নতুন এআই মডেলের উন্মোচন বেশ বিলম্বিত হয়। পরে জানা যায়, মডেলটির কার্যকারিতা বাস্তবের তুলনায় অতিরঞ্জিত করে উপস্থাপন করা হয়েছিল। এতে বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার পাশাপাশি গুগল ও ওপেনএআইয়ের মতো প্রতিযোগীদের তুলনায় বেশ পিছিয়ে পড়ে মেটা। এরপরই মেটার সুপার ইনটেলিজেন্স গবেষণাগারের জন্য সেরা এআই–কর্মী নিয়োগ দিতে সরাসরি যুক্ত হয়েছেন মার্ক জাকারবার্গ।
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে