টাঙ্গাইলে চলন্ত মোটরসাইকেলে ককটেল নিক্ষেপ, দুই ভাই গুরুতর আহত
Published: 9th, May 2025 GMT
টাঙ্গাইলের সখীপুরে চলন্ত মোটরসাইকেলে ককটেল নিক্ষেপের ফলে মাসুম পারভেজ মায়া ও মঞ্জুরুল ইসলাম মোর্শেদ নামে দুই ভাই গুরুতর আহত হয়েছেন। দুই ভাই তাদের এক ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় এই ককটেল হামলার শিকার হন। এই ঘটনায় ইমন নামের একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাত ১২টার দিকে উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের গড়বাড়ির বারো মন্ডলিয়া এলাকায় এই এই ককটেল হামলা করা হয়।
আহত মাসুম পারভেজ মায়া ও মঞ্জুরুল ইসলাম মোর্শেদ সখীপুর উপজেলার তৈইলধারা গ্রামের আবু সাঈদের ছেলে। এসময় মায়ার ছেলে সনেট মোটরসাইকেলে থাকলেও সে আহত হয়নি। আহত দুই ভাইকে ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরমধ্যে মাসুম পারভেজ মায়ার অবস্থা সঙ্কটাপন্ন বলে স্বজনরা জানিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, ছেলেকে নিয়ে দুই ভাই মোটরকেলে বারো মন্ডলিয়া থেকে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলনে। এসময় চলন্ত অবস্থায় তাদের উপর পরপর চারটি ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। মুহূর্তে ককটেলগুলো বিষ্ফোরিত হয়ে মোটরসাইকেলে আগুন ধরে যায়। এতে আহত হন দুই ভাই মায়া ও মোর্শেদ।
আহত মঞ্জুরুল ইসলাম মোর্শেদ জানান, কয়েকদিন আগে স্থানীয় আসাদুল নামের একজনের সাথে তাদের বিরোধ হয়েছিল। রাতে আসাদুল আর তার ভাই মোশারফ তাদের উপর ককটেল নিক্ষেপ করে। পূর্বে আসাদুলের নামে ককটেল ফাটিয়ে প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতির মামলা ছিল। সেই মামলায় সম্প্রতি সে জামিনে বের হয়েছে।
সখীপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার একেএম মামুনুর রশীদ জানান, ককটেলের ঘটনায় দুইজন আহত হয়েছে। পূর্ব শত্রুতার জেরে এই ঘটনা। ককটেলের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
ঢাকা/কাওছার/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিক তুহিন হত্যা: আরো একজন গ্রেপ্তার
গাজীপুর মহানগরীর চন্দনা চৌরাস্তা এলাকায় সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় শহিদুল ইসলাম নামে আরো একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এ নিয়ে গ্রেপ্তার আসামির সংখ্যা দাঁড়ালো আটজনে।
শনিবার (৯ আগস্ট) দুপুরে কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলা সদরের পুরানবাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১৪।
গ্রেপ্তার শহীদুল ইসলাম ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলার মৃত আবদুল করিমের ছেলে।
আরো পড়ুন:
সাংবাদিক হত্যার বিচার দাবিতে ববিতে মানববন্ধন
সাংবাদিক তুহিন হত্যা: ৭ আসামি দুই দিনের রিমান্ডে
রবিবার (১০ আগস্ট) গাজীপুর মেট্রোপলিটন বাসন থানার ওসি শাহিন খান বলেন, সাংবাদিক হত্যা মামলার আসামি শহিদুলকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১৪। আসামিকে বাসন থানায় হস্তান্তর করেন তারা। আদালতের মাধ্যমে তাকে আজ কারাগারে পাঠানো হবে।
গত শনিবার গাজীপুরের পুলিশ কমিশনার কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান বলেন, বাদশা নামে এক ব্যক্তি ব্যাংক থেকে ২৫ হাজার টাকা তুলে ফিরছিলেন। এসময় আসামি গোলাপী তাকে হানিট্রাপে ফেলার চেষ্টা করেন। এটি যখন বাদশা বুঝতে পারেন তখন তার থেকে ছুটতে চান এবং কিল-ঘুষি মারেন। এসময় আগে থেকে ওৎপেতে থাকা অন্য আসামিরা এসে বাদশাকে কোপাতে শুরু করে।
এসময় বাদশা প্রাণ বাজাতে দৌঁড়াতে থাকেন। এটি সাংবাদিক তার পেশাগত কারনেই ভিডিও করেন। আসামিরা সাংবাদিক তুহিনকে ভিডিও ডিলেট করতে বলে কিন্তু তিনি রাজি হননি। একপর্যায়ে আসামিরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
নিহত আসাদুজ্জামান তুহিন দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের গাজীপুরের স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কাজ করতেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে চন্দনা চৌরাস্তা এলাকায় সন্ত্রাসীদের তাণ্ডবের ভিডিও ধারণ করায় তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ